রয়টার্স : রাতভর রাশিয়ার ব্যাপক বিমান হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ইউক্রেনের এক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালক নিহত হয়েছেন। গত রোববার ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় শত শত ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। যুদ্ধের চতুর্থ বছরে মস্কো এই ধরনের আক্রমণ আরও জোরদার করেছে। এ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা আরও জোরদারে সহায়তা কামনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।

নিহত পাইলট ম্যাকসিম উস্তিমেঙ্কোর প্রশংসা করেছেন জেলেনস্কি। তাকে মরণোত্তর ইউক্রেনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘হিরো অব ইউক্রেন’ উপাধিতে ভূষিত করেছেন তিনি।

জেলেনস্কি তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, উস্তিমেঙ্কো ২০১৪ সালে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভিযানের সময় থেকেই মিশনে ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘তিনি চার ধরনের বিমান চালানোর দক্ষতা অর্জন করেছিলেন এবং ইউক্রেন রক্ষায় তার গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য ছিল। এ ধরনের মানুষকে হারানো বেদনাদায়ক।’

ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানায়, পাইলট একটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটি উড়িয়ে নিয়ে যান। তবে তার কাছে বেরিয়ে যাওয়ার মতো সময় ছিল না।

টেলিগ্রামে বিমানবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাইলট তার সমস্ত অনবোর্ড অস্ত্র ব্যবহার করে সাতটি আকাশ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেন। শেষ লক্ষ্যবস্তুটি ধ্বংস করার সময় তার বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিচের দিকে নেমে যেতে থাকে।’

এছাড়া রুশ হামলায় কিয়েভজুড়ে ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।