ইউরোপ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য ইউক্রেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- জেলেনস্কি
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সৌদি আরবে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠকের আয়োজন হতে যাচ্ছে। সেখানে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য ইউক্রেন পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে গত শনিবার জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
Printed Edition
৯ মার্চ, রয়টার্স : রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সৌদি আরবে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠকের আয়োজন হতে যাচ্ছে। সেখানে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য ইউক্রেন পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে গত শনিবার জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, যুদ্ধের প্রথম মুহূর্ত থেকেই শান্তি চাইছে ইউক্রেন। আলোচনার টেবিলে বাস্তবসম্মত প্রস্তাব রাখা আছে। এখন কেবল প্রয়োজন দ্রুত সেগুলোর বাস্তবায়ন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ইউক্রেনের জন্য সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জেলেনস্কি যথেষ্ট আন্তরিক নন। সামনের সোমবার সৌদি আরব সফরে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গ সাক্ষাৎ করবেন জেলেনস্কি। এই সফরে তার সঙ্গে থাকবেন ইউক্রেনের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিনিধিবৃন্দ। তারা মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরদিন বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
তিনি বলেছেন, আমরা গঠনমূলক আলোচনায় সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান ও পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলে থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা, জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিই ইয়েরমাক এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছরের যুদ্ধের অবসানের জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির কাঠামো নিয়ে আলোচনা করেছেন। সৌদি আরবে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করে রিয়াদ। এর উদ্দেশ্য ছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের ভয়াবহতম যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পথ খুঁজে বের করা। তবে আলোচনায় কিয়েভের অংশগ্রহণ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা। তাদের আশঙ্কা ছিল, ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্রদের উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করলে, ভ্লাদিমির পুতিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।