ত্রাণ পৌঁছে দিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার পথে বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি এখনও ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ জাহাজে অবস্থান করছেন। জানিয়েছেন, রোববার (৫ অক্টোবর) উপকূলে পৌঁছানোর কথা থাকলেও আরও দেরি হবে। মাঝে মাঝেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি/ভিডিও পোস্ট করে জানাচ্ছেন সেখানকার অবস্থা।

এবার শহিদুল আলমের সহযাত্রীরাও দিলেন বার্তা। জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা। একজন সহযাত্রী বলেন, আমাদের জাহাজের উপর দিয়ে বেশ কয়েকটি সামরিক বিমান উড়ে যাচ্ছে। যা বেশ অপ্রয়োজনীয়। তারা হয়তো কোনোভাবে আমাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য পেয়েছে। আমরা নিশ্চিত নই যে তারা ইসরায়েলি কিনা। তবে আমাদের ধারণা, ভয় দেখাতে তারা এমন করছে।

সুমুদের আরেক যাত্রী বলেন, আমরা গাজাবাসীর জন্য ওষুধ ও বেশ কিছু স্বাস্থ্য সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছি। যা আমাদের পেছনে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।

সেখানে অবস্থানরত এক চিকিৎসক বলেন, আমরা গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য যাত্রা করেছি। যেন তারা গাজা পুননির্মাণের শক্তি পায়। আমি আশাবাদী যে আমরা খুব শিগগিরই সেখানে পৌঁছব। যদি এই নৌকায় না পারি তবে আরেক নৌকায় পারব।

আরেক যাত্রী বলেন, গাজা সম্পর্কে আমি অনেক পড়েছি শুনেছি। কিন্তু যদি সত্যি সেখানে যেতে পারি, তো বিষয়টা অসাধারণ হবে। আমি জানি এটি ধ্বংস হয়ে গেছে, কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমরা এটি পুননির্মাণ করতে পারব। আমি বিশ্বাস করি যে এই গণহত্যা শেষ হতে পারে।

ম্যাডেলিন হাবিব নামের জাহাজের ক্যাপ্টেন বলেন, আমরা আসলেই গাজায় পৌঁছতে যাচ্ছি। আশা করি সেখানে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা শুধু সেখানে প্রবেশই করতে চাই না। বরং ফিলিস্তিনিদের তাদের আঞ্চলিক সমুদ্রে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য একটি করিডোর স্থাপন করতে চাই। যাতে তারা সমুদ্রে বাণিজ্য করতে পারে। এটি তাদের অধিকার।