পেরুর একটি আদালত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেটসি শ্যাভেজের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিচারাধীন শ্যাভেজ বর্তমানে রাজধানী লিমায় অবস্থিত মেক্সিকান দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন।
৩৬ বছর বয়সী শ্যাভেজ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পেদ্রো ক্যাস্তিলোর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করার পর ক্যাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, যা অভ্যুত্থানচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপর থেকেই পেরু ও মেক্সিকোর সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ক্যাস্তিলোকে গ্রেপ্তারের সময় তিনি পরিবারসহ মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় চান। পরে মেক্সিকো তার স্ত্রী ও সন্তানদের আশ্রয় দেয়। পরবর্তীতে ক্যাস্তিলোর পাশাপাশি শ্যাভেজের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয় এবং মার্চে তাদের বিচার শুরু হয়। ক্যাস্তিলো বর্তমানে কারাগারে থাকলেও শ্যাভেজ জামিনে মুক্ত ছিলেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বেটসি শ্যাভেজ মেক্সিকোতে নিরাপদে যাওয়ার অনুমতি চাইতে গিয়ে নিজেই মেক্সিকান দূতাবাসে আশ্রয় নেন। পেরু এ ঘটনাকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ তুলে মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং উভয় দেশই রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়।
প্রসিকিউশন শ্যাভেজের বিরুদ্ধে ২৫ বছর এবং ক্যাস্তিলোর বিরুদ্ধে ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের দাবি করেছে। আদালত জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় গ্রেপ্তারের পর শ্যাভেজকে পাঁচ মাস বিচার-পূর্ব আটক রাখা হবে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর লিমায় মেক্সিকান দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পেরুর জাতীয় পুলিশ প্রধান অস্কার আরিওলা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক আইন ও আশ্রয় সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী সামাল দেওয়া হবে।