আন্তর্জাতিক
চার পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করল হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে শেষ দফায় চার ইসরাইলী পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করেছে হামাস। গভীর রাতে হওয়া এই হস্তান্তরের বদলে কয়েকশত ফিলিস্তিনীর মুক্তি আশা করছে তারা।
Printed Edition
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে শেষ দফায় চার ইসরাইলী পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করেছে হামাস। গভীর রাতে হওয়া এই হস্তান্তরের বদলে কয়েকশত ফিলিস্তিনীর মুক্তি আশা করছে তারা। ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, চার জিম্মির দেহাবশেষ বহনকারী কফিন তারা বুঝে পেয়েছে। রয়টার্স, প্রেস টিভি।
গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে চার পণবন্দীর দেহাবশেষ বহনকারী কফিন তারা বুঝে পেয়েছে।
প্রাথমিকভাবে, টিসাচি ইদান, ইতঝাক এলগারাত, ওহাদ ইয়াহালোমি, শ্লোমো মানতজুর নামে ওই চার মৃত পণবন্দীকে শনাক্ত করেছে ইসরাইল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় তারা নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হয়েছিলেন। এই বিনিময়ের মধ্যস্থতা করেছে মিসর। চার পণবন্দীর লাশের বিনিময়ে ৬২০ জন ফিলিস্তিনী জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ইসরাইলের। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে চূড়ান্ত বিনিময় সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।
গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর এই চুক্তির প্রথম পর্যায় চলতি সপ্তাহেই শেষ হওয়ার কথা। তবে এখনও দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে কোনও প্রস্তাব পায়নি বলে জানিয়েছে হামাস।
ইসরাইলকে হামাসের হুঁশিয়ারি
ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তারা বলেছে, আলোচনাই বাকি ইসরাইলী জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার একমাত্র উপায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার হামাস এই ঘোষণা দিয়েছে। ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে চূড়ান্ত বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে চার ইসরাইলী জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তরের পর ইসরাইল ৬৪২ জন ফিলিস্তিনীকে মুক্তি দিতে শুরু করেছে।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সমস্ত বিবরণ এবং বিধানসহ আমাদের পূর্ণ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি এবং চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত আলোচনায় প্রবেশের জন্য আমরা প্রস্তুত।
হামাস আরও উল্লেখ করেছে, গাজায় এখনও আটক ইসরাইলী বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার একমাত্র উপায় হল যুদ্ধবিরতি চুক্তির নিয়ে আলোচনা এবং প্রতিশ্রুতি পূরণ করা।
বন্দী বিনিময়ে বাধা দেওয়ার জন্য ইসরাইল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থ প্রচেষ্টার ফলে তাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা শুরু করা ছাড়া কোনো বিকল্প অবশিষ্ট নেই।
হামাস কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় জীবিত বন্দীর বিনিময়ে শনিবার ফিলিস্তিনী কারাবন্দীদের মুক্তির কথা ছিল। তবে হস্তান্তরের সময় বন্দীদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ইসরাইল প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করেছিল।
বিলম্বের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধবিরতি বানচাল করার অভিযোগ এনেছে হামাস। ফিলিস্তিনী বন্দীদের তথ্য অফিস জানিয়েছে, যে মুক্তির সপ্তম এবং অষ্টম ব্যাচ একত্রিত করা হয়েছে। যার ফলে মোট সংখ্যা ৬৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বৃহস্পতিবার বলেছেন, “সপ্তম এবং অষ্টম ব্যাচ বন্দীদের মুক্তির মাধ্যমে আমরা ফিলিস্তিনী জনগণের একটি অর্জন প্রত্যক্ষ করছি, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়।”