গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি পানি সংগ্রহ কেন্দ্রে ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ জনই শিশু।
রোববার (১৩ জুলাই) স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসা সূত্রের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই দিন গাজার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৮২ জন। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৫২ জন।
আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরো উপত্যকাজুড়ে চরম পানি সংকট চলছে। বহু পানির উৎস এখন দূষিত, কিন্তু তীব্র তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ বাধ্য হচ্ছে সেসব পানি সংগ্রহ কেন্দ্রে যেতে—এবং সেখানেই তারা হামলার শিকার হচ্ছেন।
এই হামলার পেছনে বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, ইসরায়েল এখন গাজার উত্তর থেকে পুরো জনগোষ্ঠীকে দক্ষিণাঞ্চলে সরিয়ে নিতে চাপ সৃষ্টি করছে এবং একযোগে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করেছে।
এর আগের দিন, শনিবার (১২ জুলাই) ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন আরও অন্তত ১১০ জন ফিলিস্তিনি। রাফাহ শহরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থিত সংগঠন ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’–এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবারের অপেক্ষায় থাকা ৩৪ জন নিহত হন এক বোমা হামলায়।
আল জাজিরা জানিয়েছে, মে মাসের শেষদিক থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে জিএইচএফ, তবে এখন পর্যন্ত এই সংস্থার বিতরণকেন্দ্রগুলোতে হামলায় প্রাণ গেছে প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনির।
এদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, চলমান অবরোধ ও হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৬৭ জন শিশু।