ভারতের উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ভিন্ন সম্প্রদায়ের এক বয়স্ক ব্যক্তির যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর কট্টরপন্থী হিন্দু দাঙ্গাবাজরা অভিযুক্তের কর্মস্থল সংলগ্ন বাজারে জমায়েত হয় এবং সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের দোকানপাট ও রাস্তায় থাকা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
গত বুধবার শহর জুড়ে শুরু হয় তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। এমন খবর ছড়িয়ে পডড়ে উত্তরাখণ্ডে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত মাসের ১২ এপ্রিল। ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায় থাকেন এবং মেয়েটি নৈনিতালে এক আত্মীয়ের সঙ্গে থাকত। এপ্রিলের শেষদিকে মায়ের সঙ্গে দেখা হলে, সে ঘটনাটি জানায়।
এরপর ৩০ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই ভুক্তভোগীর পরিবার। এদিকে অভিযুক্ত উসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হলে তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক প্লাটফর্ম এক্সে ভাইরাল হয়েছে এক মুসলিম নারীর ভিডিও। ওই ভিডিও তাকে বলতে শোনা যায়,কেন নিরপরাধ মুসলিম দোকানদারদের কেন মারা হল?
এসময় তিনি আরও বলেন— “যখন একটি গরুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তখন সবাই কোথায় ছিল? তখন তো কেউ ধর্মের কথা বলেনি! এখন কেন হিন্দু-মুসলিম ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে?”কেন একজন অপরাধীর অপরাধ ধর্মের উপর চাপিয়ে দিয়ে মুসলিমদের নির্যাতন করা হচ্ছে? তার এমন প্রতিবাদে ওই স্থান ত্যাগে বাধ্য হয় হিন্দুত্ববাদী ওই মব।
এদিকে তার এমন সাহসী প্রতিবাদে বাহবা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলেন, অন্যায়ের কোন ধর্ম নেই, যে অন্যায় করে সে ধর্মের কথা শুনে অন্যায় করে না। আরেকজন লিখেছেন,মাশাল্লাহ বোন,এভাবেই প্রতিবাদ হোক বিশ্বজুড়ে।