পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে থাকাকালীন, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর ১০৮ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সাজা ঘোষণা করে দেশটির একটি আদালত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, গত বছর দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানের গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই সময়কার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এসব নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
আদালতের দেয়া রায় অনুযায়ী, ৫৮ জন নেতাকে ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য ও পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন। বাকিদের ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সাজা হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় জাতীয় পরিষদ ও সিনেটের সদস্য ওমর আয়ুব খান ও শিবলি ফারাজের নামও রয়েছে। আদালত জানিয়েছে, মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে দোষ প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে রায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পিটিআই। দলটির পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক নজির, যেখানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে বিরোধী দলের নেতাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”
পিটিআই রায় চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে। ইমরান খানের মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুখারি বলেছেন, “এই রায় পাকিস্তানের গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। বিরোধীদের দমন করাই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জমি কেলেঙ্কারি এবং রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে।
তবে তিনি বরাবরই এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছেন এবং বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত — যার মূল লক্ষ্য পিটিআইকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।