জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস সতর্ক করেছেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হলে তা ‘আত্মসমর্পণের’ শামিল হবে।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের এমন শর্ত মেনে নেওয়া উচিত হবে না, যা আসলে এক বছর আগেই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সম্ভব ছিল।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অবসানে শান্তিচুক্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন জরুরি ভিত্তিতে একটি সমঝোতার জন্য চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। প্রস্তাবিত মার্কিন শান্তি পরিকল্পনায় ক্রিমিয়াসহ কিছু ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার দখল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেওয়া তার জন্য অগ্রহণযোগ্য এবং এটি ইউক্রেনীয় জনগণের সম্পত্তি।

পরবর্তিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে শনিবার ভ্যাটিকানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি সাক্ষাৎ হয়। সেই বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, তারা সংক্ষেপে ক্রিমিয়া ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তার বিশ্বাস, জেলেনস্কি ‘একটি সমঝোতায় আসতে চান। ’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও রবিবার এনবিসিকে বলেন, আমরা একটি শান্তি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছি, তবে এখনও পুরোপুরি যথেষ্ট কাছে নই। সামনে আসছে সপ্তাহটি হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সিদ্ধান্ত হবে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে পারবে কিনা।

এদিকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে রবিবার ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি চাই পুতিন গোলাগুলি বন্ধ করুক, বসে আলোচনা করুক এবং একটি চুক্তিতে সই করুক। আমাদের হাতে একটি সমঝোতার কাঠামো রয়েছে, আমি চাই তিনি এতে সই করে যুদ্ধ শেষ করুন এবং

(সবাই) স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাক।

রোম থেকে ফেরার পথে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, গত সপ্তাহে কিয়েভে রাশিয়ার প্রাণঘাতী হামলার পর তিনি রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, পুতিন আদৌ শান্তি চান কিনা, উল্লেখ করে বলেছেন, তার সাম্প্রতিক আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো যুদ্ধ বন্ধ করতে চান না, বরং আমাকে কেবল বুঝ দিয়েই চলেছেন।