সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এক দাবি, ভারতের বিভিন্ন স্কুলে মুসলিম মেয়েদের ‘ব্লাড ক্যান্সারের টিকা’ নামে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে, যা আসলে তাদের বন্ধ্যা বানানোর ষড়যন্ত্র। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ালেও, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি নিছকই গুজব।
বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, ‘ব্লাড ক্যান্সারের ভ্যাকসিন’ দিয়ে ভারতের মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে। কথিত আছে, এই ইনজেকশন ভবিষ্যতে সন্তান জন্মদানে অক্ষম করে দেবে।
জানা গেছে, ভারতে বর্তমানে HPV (Human Papillomavirus) ভ্যাকসিন স্কুল পর্যায়ে মেয়েদের দেওয়া হচ্ছে। এটি আসলে গর্ভাশয়ের গলার ক্যান্সার (Cervical Cancer) প্রতিরোধে কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করেছেন।
এটি কোনোভাবেই রক্ত ক্যান্সার প্রতিরোধক নয়। টিকা বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) HPV ভ্যাকসিনকে নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মীয় বিভাজন ও ভীতি সৃষ্টির জন্য এই ধরনের ভুয়া প্রচার চালানো হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ টিকা নেওয়া থেকে বিরত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে।
ভারতের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. অনুরাধা শর্মা বলেন, HPV ভ্যাকসিন মেয়েদের কিশোর বয়সে দেওয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে তারা ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারে। এটি বন্ধ্যাত্ব ঘটায়-এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।