যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউনের প্রভাবে বিমান চলাচলে বিশাল বিঘ্ন তৈরি হয়েছে। দেশটির ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) শুক্রবার (৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। এ ধাপের পদক্ষেপে ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে প্রায় ৭০০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এই নির্দেশনার আওতায় নেই।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাটডাউনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের প্রায় ৪ শতাংশ বাতিল করা হয়েছে। যদি পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে বাতিলের হার ১০ শতাংশে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আমেরিকান এয়ারলাইনস শুক্রবার ২২০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে, যা প্রায় ১২ হাজার যাত্রীকে প্রভাবিত করেছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ১৮৪টি ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং আগামী সপ্তাহেও আরও বাতিলের পরিকল্পনা রয়েছে।

পরিবহন সচিব শন ডাফি জানান, শুরুতে শুক্রবার ১০ শতাংশ ফ্লাইট কমানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে নিরাপত্তার জন্য ধাপে ধাপে ৪ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাইলট ও কন্ট্রোলারদের অনুপস্থিতি বিমান নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।

এফএএর তথ্যানুযায়ী, চলমান শাটডাউনের কারণে ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী বেতনবিহীন অবস্থায় কাজ করছেন। এতে প্রতিদিন ২০-৪০ শতাংশ কন্ট্রোলার অনুপস্থিত থাকছেন। কিছু বিমানবন্দরে কন্ট্রোলারের অভাবে বিলম্ব ও সীমিত কার্যক্রম দেখা দিয়েছে, এমনকি রকেট উৎক্ষেপণেও প্রভাব পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও প্রাথমিক ধাক্কা সামলানো গেছে, তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত শাটডাউন অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আকাশপথে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। এফএএর সক্ষমতা ক্রমশ কমার কারণে বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।