দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরনগরী বুসানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই পরাশক্তির নেতার এই বৈঠককে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধ ও শুল্কসংক্রান্ত উত্তেজনা কমাতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকটি তিন থেকে চার ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা।
বৈঠকের আগে ট্রাম্প শি জিনপিংকে একজন “কঠিন আলোচক” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আলোচনার ফলাফল ইতিবাচক হতে পারে এবং হয়তো বৈঠকের শেষে কোনো সমঝোতা চুক্তি ঘোষণা দেওয়া হবে। অন্যদিকে, শি জিনপিং জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যবিরোধ নিরসনে তিনি আশাবাদী এবং পারস্পরিক স্বার্থের জায়গা থেকে সমাধান বের করতে চান।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা, শুল্ক আরোপ, প্রযুক্তি খাতের সীমাবদ্ধতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল–সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।
অন্যদিকে, বেইজিং সম্প্রতি আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যক বিরল খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। এর জবাবে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি দেন।
ট্রাম্প বর্তমানে অ্যাপেক (APEC) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করছেন। জাপান সফর শেষ করে তিনি বুধবার বুসানে পৌঁছান। বিশ্বজুড়ে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।