DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য

মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম সফরে ইসরাইল গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সফরে হামাসের হামলার ফলাফল, গাজার বর্তমান অবস্থা এবং ট্রাম্পের প্রস্তাবের আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন রবিও। গত ২৫ জানুয়ারি এক বিস্ফোরক প্রস্তাবে ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনীদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসন করা উচিত। তার এই প্রস্তাব আম্মান ও কায়রোর তীব্র সমালোচনার শিকার হয়।

Printed Edition

১৬ ফেব্রুয়ারি, রয়টার্স : মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবার রাষ্ট্রীয় সফরে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ট্রাম্পের তরফ থেকে ফিলিস্তিনীদের গাজা থেকে উৎখাতের প্রস্তাবের পর গত শনিবার ইসরাইল পৌঁছালেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সফরে হামাসের হামলার ফলাফল, গাজার বর্তমান অবস্থা এবং ট্রাম্পের প্রস্তাবের আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন রবিও। গত ২৫ জানুয়ারি এক বিস্ফোরক প্রস্তাবে ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনীদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসন করা উচিত। তার এই প্রস্তাব আম্মান ও কায়রোর তীব্র সমালোচনার শিকার হয়।

এরই ধারবাহিকতায় ৪ ফেব্রুয়ারি ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প গাজা দখলের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনীকে পুনর্বাসন করে গাজার দখল নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তার প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা এই উচ্ছেদ পরিকল্পনা স্বল্প সময়ের জন্য কার্যকর হবে বলে দাবি করলেও, ১০ ফেব্রুয়ারি আরেক বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তার পরিকল্পনা অনুযায়ী অদূর ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনীদের গাজায় ফেরার সুযোগ থাকবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক আলোড়ন ওঠে বিশ্বজুড়ে। বিশেষত, দীর্ঘদিন ধরেই জন্মভূমির অধিকার স্থায়ীভাবে হারানোর আশঙ্কায় থাকা ফিলিস্তিনীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।