DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরাইলের হাতে নিহত ১১৮ ফিলিস্তিনী

দীর্ঘ ১৫ মাসের বর্বর আগ্রাসনের পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্তমানে চলছে যুদ্ধবিরতি।

Printed Edition

১৩ ফেব্রুয়ারি, আনাদোলু, রয়টার্স : দীর্ঘ ১৫ মাসের বর্বর আগ্রাসনের পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্তমানে চলছে যুদ্ধবিরতি। তবে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরাইলের হাতে নিহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনী। এর মধ্যে ইসরাইলী বাহিনীর চালানো সরাসরি হামলায় প্রাণ গেছে ৯২ জনের। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও আট শতাধিক মানুষ।

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় কমপক্ষে ১১৮ ফিলিস্তিনী নিহত এবং আরও ৮২২ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুর্শ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে সরাসরি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পাশাপাশি আহতদের মৃত্যু বা অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে ইসরাইলী বাহিনীর চালানো সরাসরি হামলায় ৯২ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনী এই কর্মকর্তার মতে, মেডিকেল টিম গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬৪১ ফিলিস্তিনীর লাশ উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে প্রায় ১৯৭ জনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দী বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলী বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল। দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরাইলের এই গণহত্যামূলক যুদ্ধে গাজায় ৪৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনী বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। এছাড়া গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছরের নবেম্বরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।