২৪ মার্চ, জেরুসালেম পোস্ট : দক্ষিণ ইসরাইলের র্যামন বিমানবন্দর থেকে রোমানিয়ার একটি সামরিক বিমানে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ৭০ জন ফিলিস্তিনী। গত বুধবার রওনা দেন তারা।

ইসরাইলের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক জেরুসালেম পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, গাজা ছেড়ে অন্যত্র যেতে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনীদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা তাদের অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে এই স্থানান্তরে সহায়তা করেছে। গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান এবং ভূখ-ে মানবিক সহায়তা পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই দলটির যাত্রা শুরু হয়েছে।

ইসরাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, ‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি এবং আমরা যে কোনও গাজাবাসীকে তৃতীয় রাষ্ট্রে যেতে অনুমতি দেব। ’

ইসরাইলের নিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজার যেসব ফিলিস্তিনীরা তৃতীয় দেশে স্থানান্তরিত হতে চান তাদের সহায়তার জন্য একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে কাটজ পরিচালিত একটি বৃহত্তর অভিবাসন উদ্যোগের অংশ।

সপ্তাহান্তে ইসরাইলি সরকার স্বেচ্ছাসেবী অভিবাসন ব্যুরো গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এটি ইসরাইলি এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে গাজাবাসীর ‘নিরাপদ এবং তত্ত্বাবধানে’ প্রস্থানকে সহজতর করবে। জেরুজালেম পোস্ট বলছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই অধিদফতর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবে এবং নির্ধারিত ক্রসিংগুলোতে রসদ ব্যবস্থাপনা করবে, পাশাপাশি স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথে স্থানান্তরের জন্য অবকাঠামো তত্ত্বাবধান করবে। শিগগির এই পদে একজন প্রার্থী নিয়োগ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ প্রতিদিন ১০ হাজার গাজাবাসীকে স্থানান্তরের একটি উচ্চাভিলাষী সময়সীমা প্রস্তাব করেছেন। সমালোচকরা সতর্ক করেছেন, এই কর্মসূচি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতিতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে, যদিও তৃতীয় কোনও দেশ এখনও বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে গ্রহণের জন্য প্রকাশ্যে সম্মত হয়নি।