আমি নোবেল না পেলে সেটা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপমান----- ট্রাম্প

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সাতটি বড় সংঘাত থামানোর দাবি তুলে এজন্য তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় অপমান হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ভার্জিনিয়ার কুয়ান্টিকোয় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বের সাতটি বৃহৎ সংঘাত থামানোর কাজ করেছেন এবং গাজা সংঘাত বন্ধে প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা এটা মিটিয়ে ফেলেছি। দেখা যাক। হামাসকে রাজি হতে হবে, আর যদি তারা রাজি না হয়, তাহলে তাদের জন্য এটা খুবই কঠিন হবে। সমস্ত আরব দেশ, মুসলিম দেশ রাজি হয়েছে। ইসরায়েলও রাজি হয়েছে। এটা একটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের মধ্যস্থতার দাবি তুলে বলেন, তিনি বিভিন্ন অঞ্চলের যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করেছেন- এর মধ্যে ভারত পাকিস্তান সংঘাত ও ইরান ইসরাইল অন্তর্ভুক্ত। যদিও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজার ওপর ইসরায়েলের অভিযান এখনও পুরোপুরি থামাতে পারেননি তিনি। তবুও ট্রাম্প দাবি করেন, গত কয়েক মাসে তিনি সাতটি সংঘাত থামিয়েছেন এবং গাজায় বর্তমান পরিকল্পনা কার্যকর হলে তা আটটি সংঘাতের সমাধান হবে। তার ভাষ্য, ‘এটা বেশ ভালো, কারণ এর আগে এমনটা কখনো হয়নি।’ নোবেল পুরস্কারের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, ‘এর জন্য আমি কি নোবেল পাব? একেবারেই না। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের যোগ্যতাগুলো বলে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করেছেন, যেখানে অভিবাসীদের জন্য স্থায়ীভাবে দেশে থাকার নিয়ম কঠোর করা হবে। লেবার পার্টির লিভারপুল সম্মেলনে নিজেকে ‘কঠোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’ আখ্যা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, যারা ব্রিটিশ সমাজে থাকতে চান, তাদের অবশ্যই উচ্চ মানের ইংরেজি শিখতে হবে, অপরাধমুক্ত থাকতে হবে, কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত হতে হবে এবং চাকরির পাশাপাশি জাতীয় বিমায় অর্থ প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি সুবিধাভোগী না হওয়ার শর্তও রাখা হয়েছে। শাবানা মাহমুদ বলেন, “আমার কিছু সিদ্ধান্ত লেবারের ভেতরেই অনেকের পছন্দ হবে না, তবে আমি ব্রিটেনের নিজস্ব ভিশনের জন্য লড়ছি।” ইতিপূর্বে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারও অভিবাসন নিয়ে মত দিয়েছেন। নাইজেল ফারাজের পরিকল্পনার সমালোচনা করে স্টারমার বলেছেন, বৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের বহিষ্কার করা হলে তা দেশকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে এবং নাইজেল ফারাজের পরিকল্পনাকে ‘বর্ণবাদী ও অনৈতিক’ আখ্যা দিয়েছেন। নতুন অভিবাসন নীতির সমালোচনাও হচ্ছে। ব্রিটিশ রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন বলেছেন, শর্তগুলো শরণার্থীদের অন্তর্ভুক্তি নয় বরং দেশের জন্য সমস্যা তৈরি করবে। অনেক শরণার্থী চিকিৎসক ও উদ্যোক্তা হয়ে দেশে অবদান রেখেছেন, যা শুরুতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ছাড়া সম্ভব হতো না। ইন্টারনেট।

ফ্রান্সের হোটেলে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতের রহস্যজনক মৃত্যু

ফ্রান্সের নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত নকোসিনথি ইমানুয়েল নাথি মেথেথওয়াকে প্যারিসের একটি অভিজাত হোটেল থেকে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্যারিসের প্রসিকিউটররা কে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার প্যারিসের হায়াট হোটেলের ঠিক নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। রাষ্ট্রদূত মেথেথওয়া ওই হোটেলের ২২ তলায় একটি ঘর বুক করেছিলেন। প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে ঘরের সুরক্ষিত জানালাটি জোর করে খোলা হয়েছিল। ঘটনাস্থলে একজন ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউটর কার্যালয় অনুযায়ী, মেথেথওয়ার স্ত্রী সোমবার তাঁকে নিখোঁজ ঘোষণা করেন। জানান, তিনি রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে একটি অস্বস্তিকর বার্তা পেয়েছিলেন। হায়াট গ্রুপ অফ হোটেলস এবং হায়াট রিজেন্সির সাথে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তারা এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে গভীর দুঃখ ও অনুশোচনার সঙ্গে মেথেথওয়ার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্রদূতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোনাল্ড লামোলা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমার কোনো সন্দেহ নেই যে তাঁর প্রয়াণ কেবল একটি জাতীয় ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলেও তা অনুভূত হচ্ছে। ৫৮ বছর বয়সী নাথি মেথেথওয়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন। সিএনএন