দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর আশপাশের এলাকায় কিছুক্ষণের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরের দিকে টোঙ্গার মূল ভূখণ্ডের প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেসের (জিএফজেড) জিএফজেডের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ১৬ কিলোমিটার গভীরে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্রের ৩০০ কিলোমিটার (১৮৫ মাইল) এলাকায় অবস্থিত উপকূলজুড়ে বিপজ্জনক সুনামি আঘাত হানতে পারে।
তবে ভূমিকম্পের মাত্রা নিয়ে ভিন্ন তথ্যও পাওয়া গেছে। কয়েকটি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, টোঙ্গার ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। প্রাথমিকভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র জানায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৬ ছিল।
পলিনেশীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা। মোট ১৭১টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দেশে ১ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। জনসংখ্যার অধিকাংশই দেশটির মূল দ্বীপ টোঙ্গাটাপুতে বাস করেন।
এর আগে শুক্রবার (২৮ মার্চ) শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ হাজারো মানুষ। ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি ৩৩ তলা ভবন ধসে পড়ার পর এখনো ৭৬ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স