যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড নামানোর বিরুদ্ধে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে রাজধানীর রাস্তায় টহলরত সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা পোস্টার ও স্লোগানে উঠে আসে, ট্রাম্পকে বিদায় করতে হবে, ডিসিকে মুক্ত করো, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলো ইত্যাদি বার্তা। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় উই আর অল ডিসি। সেখানে অভিবাসী এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র সমর্থকেরাও অংশ নেন।

একজন অংশগ্রহণকারী অ্যালেক্স লফার বলেন, আমরা ডিসির দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। কর্তৃত্ববাদী শাসন মানি না। ফেডারেল পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডকে এখান থেকে সরাতে হবে।

ট্রাম্পের দাবি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই গত মাসে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এজন্য তিনি রাজধানীর মেট্রোপলিটন পুলিশকে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইসিই) সহ বিভিন্ন বাহিনীকে মাঠে নামান। তবে সমালোচকদের মতে, এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে ওয়াশিংটনে সহিংস অপরাধ গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে নেমে এসেছে। ফলে সেনা মোতায়েন নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে।

ন্যাশনাল গার্ড সাধারণত রাজ্যের গভর্নরের অধীনে কাজ করলেও ডিসি গার্ড সরাসরি প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ট্রাম্প আরও ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি শিকাগোতেও ন্যাশনাল গার্ড পাঠাবেন। এরইমধ্যে আইসিই এজেন্ট ও সামরিক যান শিকাগোতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কেসি নামের আরেকজন বলেন, ডিসিতে যা করা হচ্ছে, সেটি অন্য একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলো করে থাকে। এখনই না থামালে অন্য জায়গায়ও একই কাজ শুরু হবে।”

বর্তমানে ছয়টি রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা দুই হাজারের বেশি সেনা ওয়াশিংটনে মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের দায়িত্বের মেয়াদ অন্তত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।