টানা ১০৩ দিন ধরে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। অঞ্চলটির প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ৬৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, আর ১২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ চরম ক্ষুধার্ত অবস্থায় জীবন যাপন করছে। এদের মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজা প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল গাজার সব ধরনের স্থল ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ। এটা আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সমষ্টিগত অবরোধ।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গত তিন দিনে আমরা খাদ্য ও ওষুধের অভাবে বহু মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত করেছি। এটি এক নির্মম মানবিক বিপর্যয়। সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাত শিশুদের ওপরই পড়ছে।

এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তারও কড়া সমালোচনা করেছে গাজা প্রশাসন। বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান এই গণবিধ্বংসী পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক নীরবতা সত্যিই লজ্জাজনক।

অন্যদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলের ত্রাণের অজুহাতে তাবু শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনার বিরোধিতা করে ৫৯ জন ব্রিটিশ লেবার এমপি ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

‘লেবার ফ্রেন্ডস অব ফিলিস্তিন অ্যান্ড দ্য মিডল ইস্ট’-এর উদ্যোগে পাঠানো ওই চিঠিতে তারা গাজায় ‘জাতিগত নিধন’ বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।

এমপিরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাফাহতে তাবু শহর গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা ফিলিস্তিনি জনগণকে জোরপূর্বক স্থানান্তরের একটি ভয়ানক নজির হবে এবং তাদের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়াবে।