যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল সরকারের অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত থেকে কার্যকর হওয়া এ পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু সরকারি সেবা। আটকে গেছে লাখো সরকারি কর্মচারীর বেতনও।

বাজেট পাস নিয়ে কংগ্রেসে অচলাবস্থার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হওয়া এ শাটডাউন নিয়ে পুরো দেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এর আগে পাঁচ বছর আগে সর্বশেষ এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। সিনেটে ব্যয় বিল নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের দ্বন্দ্ব চলমান থাকায় শাটডাউনের আশঙ্কা আগেই তৈরি হয়েছিল।

ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা এবারের সংকটের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এটিই প্রথম বড় শাটডাউন। গত সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং কংগ্রেসনেতাদের বৈঠক হলেও সমাধান মেলেনি। উভয় পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত ব্যয় বিল সিনেটে পাস হয়নি।

ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, ডেমোক্র্যাটরা দায়িত্বশীল আচরণ করছেন না। জনগণের ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না।

মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, জরুরি সেবা চালু থাকবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এ অচলাবস্থার বাইরে থাকবেন। তবে অন্য খাতে কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাবে এবং বেতন বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়বেন সরকারি কর্মীরা।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ৩৫ দিনব্যাপী সর্বশেষ শাটডাউন হয়েছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম ছিল। এবার শাটডাউন কতদিন স্থায়ী হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে দুই দলই আপাতত সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না।