সব বিমানের জন্য আকাশসীমা খুলে দিয়েছে পাকিস্তান। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। খবর আল-জাজিরা ও বিবিসির
রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাটি বলছে, দেশের আকাশসীমা সব ফ্লাইটের জন্য সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান। এরপরই আকাশসীমা খুলে দেয়ার ঘোষণা এলো।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ দেওয়া এক পোস্টে যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।
পরে পৃথকভাবে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতিটি কার্যকর হয়েছে। এর অল্প সময় পরই পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি) ঘোষণা দেয়, সব ধরনের ফ্লাইট চলাচলের জন্য তাদের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৭ মে আজাদ কাশ্মির ও পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। এরপর থেকেই সীমান্তজুড়ে গোলাগুলি ও ড্রোন হামলার মাধ্যমে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
শুক্রবার (৯ মে) মধ্যরাতে ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে আকস্মিক হামলা চালালে উত্তেজনা চূড়ান্তে পৌঁছায়। পরদিন সকালে পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ও স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায়। এতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথাও জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, আমরা সবসময় দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতামূলক পরিবেশ চেয়েছি। তবে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ড নিয়ে কখনও আপস করিনি, করবও না।
অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, শনিবার দুপুরে দুই দেশের সামরিক অপারেশনের মহাপরিচালকদের (ডিজিএমও) মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ হয়। আলোচনার পর তারা সম্মত হন—স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ থাকবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১২ মে আবারও দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ এখন যুদ্ধ নয়, শান্তির পথে হাঁটতে রাজি হয়েছে—এটা এই অঞ্চলের জন্য বড় সুখবর।