দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন : পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশি নিজের দলের নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যখন দলীয় নেতারা কারাগারে বন্দী, তখন বাইরের নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে দোষারোপে ব্যস্ত, যা হতাশাজনক। ২০২৩ সালের ৯ মে’র সহিংসতার এক মামলার শুনানির পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বাইরের নেতৃত্ব কিছুই করছে না, অথচ আমি কারাগার থেকেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। আমি ১৪ ও ১৫ এপ্রিল উমরকোটে ইন্দুস সেচ খালবিরোধী বিক্ষোভে কারাগার থেকেই নেতৃত্ব দেব।
এর আগের দিন মঙ্গলবার কুরেশি দলের নেতৃত্বকে আহ্বান জানান, তারা যেন অভ্যন্তরীণ কোন্দল ভুলে কারাবন্দীদের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে মনোযোগী হয়। বুধবারও তিনি সেই বার্তা পুনরায় উচ্চারণ করেন এবং বলেন, যারা কারাগারে আছেন, তারা দলের বাইরের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের আহ্বান জানাইÍএকতা বজায় রাখুন, মতপার্থক্য থাকলেও সৌজন্য দেখান। কারাগারে বসে আমরা কষ্ট পাই, যখন দেখি আপনারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
তিনি আরও বলেন, পিপিপি (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) সিন্ধুপ্রদেশের জনগণকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা ইন্ডাস রিভার সিস্টেম অথরিটি (ইআরএসএ)-র পানি সরবরাহ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র নিয়ে চুপ থেকেছে। এখন যা বলছে, তা শুধুই মায়াকান্না। এর আগে, কুরেশি ৯ মে’র সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা ছয়টি মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে (এটিসি) হাজিরা দেন। আদালত তার পরবর্তী শুনানি ও জামিন আবেদনের শুনানি আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছে। শাহ মেহমুদ কুরেশির এমন অবস্থান দলের ভেতরে বিভাজনের বার্তা বহন করছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।