জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে নিউইয়র্কে থাকা ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি বলেছেন— যদি সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করতে চান, তবে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গাজায় চলমান যুদ্ধ অবিলম্বে থামাতে হবে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফরাসি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএম-টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য যে কূটনৈতিক ও প্রতিক্রিয়াশীল চাপ প্রয়োগের ক্ষমতা প্রয়োজন, সেটিই একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই আঙুল তুলেন কারণ অন্য দেশগুলো সেখানে ব্যবহার্য অস্ত্র সরবরাহ করে না। প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে রয়টার্স।

ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তিনি এমন একজন বৈশ্বিক নেতা দেখতে চান যে কার্যকরভাবে সংঘাত রোধ করার উদ্যোগ নেয়; যদি ট্রাম্প সত্যিই সক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং সংঘাত বন্ধ করে দেন, তবে সেটাই নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্যতা প্রমাণ করবে—এরকম মত প্রকাশ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

এর আগে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করছে না—কারণ তার মতে এ ধরনের পদক্ষেপ হামাসকে পুরস্কৃত করার সমতুল্য। একইসঙ্গে তিনি বলেন, গাজায় অবস্থানরত সহিংসতা দ্রুত থামানো ও শান্তি আলোচনা শুরু করাই প্রয়োজন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি এক প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্য করেছেন যে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে শান্তির চেষ্টা করেছেন, তা জাতিসংঘে উপস্থিত অন্যান্য কারো তুলনায় বেশি”—এভাবে ট্রাম্পের কাজের বৈধতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি।

তবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ট্রাম্পের নোবেল সংক্রান্ত সমর্থনও এসেছে—কয়েকটি দেশ, যার মধ্যে কাম্বোডিয়া, ইসরায়েল ও পাকিস্তানও আছে, ২০২৬ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রস্তাবনার কথাও জানিয়েছে।