ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির ভাষ্যমতে, বিশ্বের অন্তত ১২০টি দেশ এই আগ্রাসনের বিরোধিতা করে ইরানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
রোববার ইরানের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাগচি বলেন, “আমাদের অবস্থান ছিল যথেষ্ট শক্ত এবং যুক্তিসম্মত। আন্তর্জাতিক মহলসহ ইরানি জনগণও তা উপলব্ধি করেছে। এই বিশ্বজনীন সমর্থন প্রমাণ করে, আমরা সঠিক অবস্থানে ছিলাম।”
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাঁচ দফা পরোক্ষ আলোচনা চালানো হয়, যার দায়িত্ব ছিল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর।
আলোচনার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “অনেকেই হয়তো ভাবেন, আলোচনা করার কারণেই সংঘর্ষ হয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো—আলোচনা না করলেও যুদ্ধ অনিবার্য ছিল। বরং আলোচনার মাধ্যমেই আমরা আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের যুক্তিগুলো তুলে ধরতে পেরেছি।”
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও আবাসিক এলাকাগুলোর পাশাপাশি পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়। এই অভিযানের ১২ দিন পর, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা করে।
জবাবে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩’ নামে প্রতিরোধমূলক হামলা শুরু করে। এই অভিযানে তারা অধিকৃত ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি শহরে মোট ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের আঘাতের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন থেকে এক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যার ফলে আপাতত দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ স্থগিত রয়েছে।