ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজারো মুসল্লি সব বাধা পেরিয়ে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে সমবেত হন।ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজারো মুসল্লি সব বাধা পেরিয়ে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে সমবেত হন।

ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজারো মুসল্লি সব বাধা পেরিয়ে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে সমবেত হন।

পবিত্র রমজান শেষে রোববার (৩০ মার্চ) ঈদের নামাজ আদায়ে ভোর থেকেই আল-আকসায় জড়ো হতে থাকেন ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। তবে ইসরায়েলি বাহিনী মসজিদে প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে।

ইরান প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নামাজে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়তে হয়, তবে শেষ পর্যন্ত হাজারো মানুষ ঈদের নামাজে শরিক হন।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদুল ফিতর আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হলেও, ফিলিস্তিনিদের জন্য দিনটি আতঙ্ক ও শঙ্কার ছায়া নিয়ে এসেছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, আর জেরুজালেমেও ঈদের দিন কঠোর অবস্থান নেয় দখলদার বাহিনী।

২০২৪ সালে আল-আকসায় ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি। তার আগের বছর, ইসরায়েলি আগ্রাসন চলার পরও ১০ লাখ মুসল্লি মসজিদটিতে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন।

তবে চলমান যুদ্ধ ও নিরাপত্তা কড়াকড়ির কারণে এবার ঈদের নামাজে মুসল্লির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

ফিলিস্তিনের ধর্মীয় নেতা ও মুসলিম বিশ্ব একাধিকবার আল-আকসায় মুসলিমদের ইবাদতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল নিয়মিতই এ পবিত্র স্থানে প্রবেশ ও নামাজ আদায়ে কঠোরতা বজায় রাখছে।

অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা আল-আকসায় ঈদের নামাজ আদায় করতে সমবেত হন, যা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থানের প্রতীক।