ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার পর অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান কেন্দ্রগুলোতে চালানো এই হামলায় ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে। এখন নজর ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার দিকে।
বিশ্বজুড়ে আলোচিত এ হামলার প্রেক্ষাপটে একজন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার নেতৃত্বে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক করিম সাদ্দাদপুর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, “খামেনি সম্ভবত একজন স্বৈরশাসক হিসেবে তার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ সময় পার করছেন। তার বয়স ৮৬ বছর, তিনি বাঙ্কারে অবস্থান করছেন। শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের অনেকে নিহত, আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ এখন ইসরায়েলের হাতে।”
তিনি আরও বলেন, “এই যুদ্ধ থেকে তার পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই এবং তিনি এতে জয়ীও হতে পারবেন না।”
যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ বাড়ছে, খামেনি আগেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, “ইরান আত্মসমর্পণ করবে না।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের জবাব দেবে তেহরান।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন’ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন শব্দটি রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়, তবে যদি ইরানের বর্তমান সরকার দেশকে ‘আবার মহান’ করে তুলতে না পারে, তাহলে সেই পরিবর্তন কেন নয়?”
বিভাজনের শঙ্কা
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে কিংবা শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে, তাহলে দেশটি অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। এতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।