ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততায় তীব্র ক্ষোভে উত্তাল ইরান। গত শনিবার (২১ জুন) রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। ঘটনার পরপরই এ হামলাকে ‘সামরিক সফলতা’ বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে এই হামলার জবাব দিতে এবার শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে তেহরান। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো এখন ইরানের মূল লক্ষ্য হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়াতি রোববার (২২ জুন) স্পষ্ট করে বলেন, “মার্কিন আগ্রাসনের পর এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ঘাঁটির আর কোনো স্থান থাকবে না। যদি অন্য কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করে, তাহলে তারাও বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে।”
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে মার্কিন হামলার উৎসস্থান চিহ্নিত করেছে। পাল্টা প্রতিশোধ শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে ইরাক, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, বাহরাইন, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিরিয়ায়। বিশ্লেষকদের মতে, এগুলোর যেকোনো একটি হতে পারে ইরানের পাল্টা জবাবের প্রধান লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০২০ সালে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান, কাসেম সোলাইমানি হত্যার বদলা নিতে। এবার তেমনই আরও বড় কিছুর ইঙ্গিত মিলছে তেহরান থেকে।