মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে ৬১তম দিনে রক্তঝরা বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা। যুদ্ধের মাঠে বোমা নিক্ষিপ্ত হলেও কূটনীতির মঞ্চে শব্দ হয়ে ফিরে এসেছে ট্রাম্পের সেই ‘আলটিমেটাম’—যা হয়তো এই সংঘর্ষের বীজ হয়ে ছিল নীরবে।
রোববার ( ১৫ জুন) সকালে সামাজিক মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখলেন, “আমি তাদের ৬০ দিন সময় দিয়েছিলাম। আজ সেই ৬১তম দিন। এটা কাকতালীয় নয়।”
তবে এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেন তিনি। “যা ঘটছে, তা একান্তই তাদের মধ্যকার হিসেব। আমরা কেবল দেখছি।” কিন্তু এরপরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, “ইরান যদি আমাদের এক চুলও ছোঁয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা পরিণতি বুঝিয়ে দেব, এবং তা খুব তাড়াতাড়ি।”
শনিবার ( ১৪ জুন) রাতে ইরানের চালানো পাল্টা হামলায় উপকূলীয় শহর বাট ইয়ামে একটি আবাসিক ভবনে সরাসরি আঘাত হানে, প্রাণ হারায় ছয়জন। তামরা শহরেও চারজনের মৃত্যু হয়। এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের জরুরি বিভাগ বলছে, রাতভর তারা উদ্ধারকাজ চালালেও পরিস্থিতি এখনও গুরুতর। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ইসরায়েলও চুপ করে থাকেনি। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের বিমান বাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চ প্যাড, মজুত কেন্দ্র ও সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
পূর্বে তেহরানের প্রতিরক্ষা দপ্তর, তেলের গুদাম ও জ্বালানির ট্যাঙ্কে আঘাত হানার পর এবার লক্ষ্য ছিল পশ্চিমাঞ্চল। তবে এই হামলায় ইরানে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো অজানা।
ট্রাম্পের কণ্ঠে হঠাৎই নরম সুর: “আমরা চাইলে এখনই রক্তক্ষয় থামাতে পারি।” কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির পাঠকেরা জানেন, যুদ্ধের বাণ টানার পর আবার তার ঢেউ থামানো সহজ নয়। ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ এখন এক গ্লোবাল রিস্ক—যেখানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ শক্তিগুলো সবাই নিজেদের অবস্থান নিচ্ছে।