রয়টার্স: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকস্মিক অবস্থান পরিবর্তনের সমালোচনা করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ গতকাল বুধবার সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন । রাশিয়াকে কাগুজে বাঘ বলায় ট্রাম্পের সমালোচনা করে পেসকোভ বলেছেন, রাশিয়াকে বাঘের সঙ্গে নয়, ভাল্লুকের সঙ্গেই বেশি তুলনা করা হয়। আর কাগুজে ভালুক বলে কিছু নেই।
মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, রাশিয়ার অর্থনীতি বড় সমস্যার মধ্যে রয়েছে এবং এখনই কিয়েভের উচিত দখলকৃত সব জমি ছিনিয়ে নেওয়া। ইউক্রেনের পক্ষে তার অবস্থানের এই পরিবর্তন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ক্রেমলিনের দাবি করেছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপে থাকার পরও রুশ অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। আর ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ধীর অগ্রযাত্রা আসলে একটি কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ, দুর্বলতার লক্ষণ নয়।
এদিকে, ট্রাম্পের ভাষাকে অপমানজনক মনে করলেও বক্তব্যগুলোতে যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টা মেটানোর ইঙ্গিত দেখছে রাশিয়ার জাতীয়তাবাদী ও রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, দ্রুত শান্তিচুক্তি আনার ট্রাম্পের আগের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং তিনি ইউক্রেনের কাঁধে দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। তারা আরও মনে করেন, ট্রাম্প নতুন করে কোনও মার্কিন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেননি, বরং দায়ভার চাপিয়েছেন ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর।
রাশিয়ার কট্টর জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব কনস্টান্টিন মালোফিয়েভ বলেন, হঠাৎ করেই ট্রাম্প বিশ্বকে জানালেন ইউক্রেনের প্রতি তার ভালোবাসার কথা। তিনি আশা করলেন, ইউক্রেন ১৯৯১ সালের সীমানা ফিরে পাবে, এমনকি হয়তো আরও এগোবে। এখন সব দায় ইউরোপের কাঁধে চাপিয়ে ট্রাম্প মানে মানে কেটে পড়বেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মালোফিয়েভের দাবি, আসল বিষয় হলোÍযুক্তরাষ্ট্র হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। সব খরচ দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সহজ করে বললে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে পাঠালেন, আর যুক্তরাষ্ট্র নিজে অস্ত্র বিক্রি করেই যাবে।