এক বছর নয় দু’বছর নয় টানা ২০ বছর গোপনে পরকীয়া করেন ২৫ বছরের এক দাম্পতি । তাঁদের একান্তে সময় কাটানোর জায়গা ছিল ভাড়াবাড়ি। স্বামীকে লুকিয়ে স্ত্রী যেতেন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে।

স্ত্রী কোথায় যান? সেই সন্দেহে তাঁর পিছু নিয়েছিলেন স্বামী। ভাড়া করা বাড়িতে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে ‘হাতেনাতে ধরে’ ফেলেন তিনি। এর পরেই কাহিনীতে নাটকীয় মোড়। ২৫ বছরের দাম্পত্য ভেঙে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন ওই ব্যক্তি।

পুলিশ জানিয়েছে, মির্জাপুর জেলার বাসিন্দা অরবিন্দ তাঁর স্ত্রীর রিনার সঙ্গে ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে একটি ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে দেখতে পান। এর পর অরবিন্দ উদ্যোগী হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের বিয়ে দিয়েছেন। দুই বাড়ির কয়েক জনের উপস্থিতিতে দু’জন দু’জনের গলায় মালা পরিয়েছেন।

অরবিন্দ এবং রিনার দাম্পত্যের বয়স ২৫ বছর। দম্পতির দুই সন্তান। তবে বিয়ের বছর পাঁচেক পরে পরকীয়া জড়িয়েছিলেন ওই মহিলা। প্রায় ২০ বছর লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেন। হালে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানেই প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটাতেন।

অরবিন্দের দাবি, স্ত্রীর পরকীয়ার কথা তিনি অনেক আগে থেকেই জানতেন। তবে এতদিন প্রমাণ ছিল না। কিছু দিন ধরে তক্কে তক্কে ছিলেন। তার পর জানতে পারেন কোথায় কখন স্ত্রী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন। দিন কয়েক আগে সেই বাড়িতে গিয়ে ‘হাতেনাতে ধরেছেন’ দু’জনকে। মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তির কথায়, ‘স্ত্রীর বন্ধু সেজে ওই লোকটা আমাদের বাড়িতেও আসত। আমার সন্দেহ হত। ওদের হাতেনাতে ধরেছি। এখন ওরা বিবাহিত। আমার কোনও আক্ষেপ নেই। ফুরফুরে লাগছে।’

অন্য দিকে, রিনা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি প্রেম করছিলেন। তিনি বলেন, ‘ওর (প্রেমিক) সঙ্গে আমার দু’দশকের পরিচয়। একটা সময়ে ওর দোকানে আমি কাজ করতাম।’ এখন বিয়ে করে কেমন লাগছে? রিনার জবাব, ‘এ নিয়ে আর কী বলব!’ যদিও এই বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে।