ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানি বাড়ছেই। এর সঙ্গে বাড়ছে অনাহার ও অপুষ্টিজনিও প্রাণহানিও। খবর আল জাজিরার।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকাটিতে ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর অপুষ্টিজনিত কারণে আরও দুই শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।

গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও চার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারজনিত প্রাণহানি বেড়ে ১৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে, এর মধ্যে ৯৬ জনই শিশু।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজার শতাধিক অপরিণত শিশুর জীবন এখন বিপদের মুখে। হাসপাতালে জ্বালানি সংকটে নবজাতকদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

গাজায় কাজ করা এনজিও নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, সেখানে দুই লাখের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এর কারণ হিসেবে তারা শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের অভাবকে দায়ী করেছে।

ইউরোপীয় কমিশনের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তেরেসা রিবেরা বলেন, এই যুদ্ধ অনেকাংশেই গণহত্যার সংজ্ঞায় রূপ নিয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত ৬১ হাজার ১৫৮ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ৪৪২ জন।

গাজা সরকার বলছে, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন, তাদেরও নিহত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।