গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌ-অভিযান ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে ইতালি সরে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছালে ইতালীয় যুদ্ধজাহাজ আর বহরের সঙ্গে থাকবে না। এতে বহরের অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলি হামলার মুখে আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

৪০টিরও বেশি নৌযান ও পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে গঠিত এই বহরে রয়েছেন সংসদ সদস্য, আইনজীবী, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি। তাদের উদ্দেশ্য ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে সরাসরি গাজায় সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।

ইতালি প্রস্তাব দিয়েছিল সাইপ্রাসে নোঙর করে সেখান থেকে সহায়তা পাঠানোর। তবে আয়োজকরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত সপ্তাহে গ্রিস উপকূলে নৌবহরটি ড্রোন হামলার শিকার হয়। ফ্লোটিলা সদস্যরা এ ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও তেলআবিব তা অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েল জানিয়েছে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই গাজায় পৌঁছানো ঠেকানো হবে।

ফ্লোটিলার ইতালীয় মুখপাত্র মারিয়া এলেনা দেলিয়া জানিয়েছেন, “আজ রাতেই আমাদের ওপর ইসরায়েলি হামলা হতে পারে।” ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রীও আশঙ্কা করছেন, বহরটি থামিয়ে সদস্যদের আটক করা হতে পারে।

অন্যদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি নৌবহরটি থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পোপ লিও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সেখানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।