বিচার চাইলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্পের দাবি এগুলো ষড়যন্ত্র। ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটানো হয়েছে। তবে জাতিসংঘ এগুলোকে যান্ত্রিক বিভ্রাট ও সাধারণ ঘটনা বলেই দাবি করছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সফরের সময় ঘটা তিনটি ঘটনাকে 'ট্রিপল স্যাবোটেজ' বা তিন নাশকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি শেষ করেননি। অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সাথে চেয়েছেন বিচারও।জাতিসংঘ সফরের সময় ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প যখন এসকেলেটরে (চলন্ত সিড়ি) উঠছিলেন, তখন সেটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া, তার ভাষণের সময় টেলিপ্রম্পটার কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং অডিটোরিয়ামেও শব্দজনিত সমস্যা দেখা দেয়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনাগুলোর তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প লিখেছেন, জাতিসংঘে একটি দুটি নয় তিনটি অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা ঘটেছে! এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় এটা জাতিসংঘে ‘ট্রিপল স্যাবোটেজ’। তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। বিবিসি।

ইন্দোনেশিয়ায় বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় স্কুলে সরবরাহিত বিনামূল্যে খাবারে বিষক্রিয়ায় কমপক্ষে ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।পশ্চিম জাভা প্রদেশের গভর্নর দেদি মুলিয়াদি বৃহস্পতিবার বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে এই কর্মসূচি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলো। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৮ কোটিরও বেশি স্কুল শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে খাবার সরবরাহের এই উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি শুরু করেছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট।গভর্নর মুলিয়াদি জানান, পশ্চিম বান্দুংয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত মধ্যাহ্নভোজের পর ৪৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরপর বুধবার সেখানে এবং সুকাবুমি অঞ্চলে আরও তিনটি প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যাতে কমপক্ষে ৫৮০ শিশু অসুস্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ছোট হাসপাতালগুলো অসুস্থ শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।স্থানীয় সরকার খাদ্যে গণ বিষক্রিয়ার কারণে পশ্চিম বান্দুং অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। গভর্নর শিক্ষার্থীদের ট্রমা মোকাবিলার পাশাপাশি খাদ্যের মান ও তদারকি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন। রয়টার্স।

ভারতে উড়ন্ত কফিন যুগের সমাপ্তি

অবশেষে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের যুগের সূর্যাস্ত যাচ্ছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর আকাশ সুরক্ষার ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে এই যুদ্ধবিমান ছিল মেরুদ-। তবে একই সাথে এটি তার উড়ন্ত কফিন অপবাদ নিয়েও শিরোনামে ছিল। দীর্ঘ বিতর্ক এবং দুর্ঘটনার পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ভারতের আকাশ থেকে স্থায়ীভাবে বিদায় নিতে চলেছে রুশ নির্মিত এই আইকনিক ফাইটার জেট।এক সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুই-তৃতীয়াংশ যুদ্ধবিমান ছিল এই মিগ-২১। সেই হিসেবে, মিগ-২১-এর অবসরের মাধ্যমে ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে চ-ীগড়ের ২৩ স্কোয়াড্রন (প্যান্থার্স) থেকে এই যুদ্ধবিমানের শেষ বহরটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেবে।মিগ-২১ ফাইটার জেটটি ১৯৬৩ সালে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। সোভিয়েত নকশায় তৈরি এই সুপারসনিক বিমানটি ছিল দ্রুতগামী এবং স্বল্প পরিসরে দ্রুত উপরে ওঠার ক্ষমতাসম্পন্ন, যা এটিকে একসময় বিশ্বের ৫০টিরও বেশি বিমানবাহিনীতে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, কার্গিল যুদ্ধসহ ভারতের বহু বড় সংঘাতে মিগ-২১ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিবিসি