জ্যামাইকায় ‘শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড়’ হিসেবে পরিচিত হ্যারিকেন মেলিসা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঝড়টি এখন কিউবার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) মেলিসাকে ইতিহাসের সবচেয়ে ধীরগতিসম্পন্ন ও তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মঙ্গলবার, জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিউ হোপ শহরের কাছে ঘূর্ণিঝড়টি ভূমিতে আঘাত হানে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ মাইল (২৯৫ কিলোমিটার), যা ক্যাটাগরি-৫-এর ক্ষমতার চেয়েও বেশি।

জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস বলেছেন, ঝড়ে হাসপাতাল, বাড়িঘর ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সেন্ট এলিজাবেথ এলাকার প্রায় পুরো অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্বীপজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।

ডব্লিউএমও-এর তথ্য অনুযায়ী, মেলিসার কারণে ইতিমধ্যেই ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে—জ্যামাইকার তিনজন, হাইতির তিনজন এবং ডোমিনিকান রিপাবলিকের একজন। এছাড়া আরও একজন নিখোঁজ। সাইক্লোন বিশেষজ্ঞ আন-ক্লেয়ার ফঁতাঁ জানিয়েছে, জ্যামাইকার কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত ৭০০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে, যা দ্বীপের স্বাভাবিক বর্ষার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এতে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এনএইচসি জানিয়েছে, মেলিসা এখনো ক্যাটাগরি-৪ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে কিউবার দক্ষিণাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়ের কারণে কিউবায় প্রচণ্ড বাতাস, জলোচ্ছ্বাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

কিউবা সরকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে এবং দেশজুড়ে দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।