মসলমানের জন্য জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এদিনকে সাপ্তাহিক ঈদও বলা হয়ে থাকে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জুমার দিনের আমল সম্পর্কে বিশেষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যার মাধ্যমে মুসলমানরা গুনাহ মাফের সুযোগ পান।
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করবে, যতটুকু সম্ভব পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করবে, সুগন্ধি ব্যবহার করবে, এরপর মসজিদে গিয়ে দুইজনের মাঝে ভিড় করে বসবে না, আল্লাহ তার জন্য নির্ধারিত নামাজ পড়বে এবং ইমাম যখন খুতবা দেবে তখন চুপ থাকবে, তবে তার এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত তিন দিন পর্যন্ত তার গুনাহ মাফ করা হবে।
(সহীহ মুসলিম, হাদিস: ৮৫৭)
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলেন, জুমার দিনের এই নির্দেশনাগুলো শুধু আধ্যাত্মিক পবিত্রতাই নয়, শারীরিক পরিচ্ছন্নতাকেও গুরুত্ব দেয়। গোসল, সুগন্ধি ব্যবহার ও ভিড় না করার শিক্ষার মাধ্যমে ইসলাম সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার দিকেও আলোকপাত করেছে।
প্রসঙ্গত, জুমার দিন মুসলমানদের জন্য সম্মিলিত নামাজের দিন। এদিনে গোসল ও পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে নামাজে অংশগ্রহণ করাকে বিশেষ ফজিলত হিসেবে উল্লেখ করেছেন নবী করিম (সা.)।