পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো মসজিদ হিসেবে ইসলামের ইতিহাসে যে নামটি সর্বপ্রথম আসে, সেটি হলো মসজিদে ক্বুবা। ইসলামের সূচনালগ্নে এই মসজিদের জন্ম হয়, যা আজও মুসলিম বিশ্বের ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে চলেছে।
৬২২ খ্রিস্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতকালে প্রথমে ক্বুবা নামক এলাকায় অবস্থান করেন। সেখানেই তিনি সাহাবিদের সহযোগিতায় একটি মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। ইতিহাস বলে, মুহাম্মদ (সা.) নিজ হাতে এই মসজিদের প্রথম ইট বসান।
পবিত্র কুরআনে সূরা আত-তাওবায় মসজিদে ক্বুবার প্রসঙ্গ এসেছে। একে বলা হয়েছে, আত-তাকওয়ার ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত মসজিদ। এই আয়াত মুসলিমদের কাছে মসজিদটির মর্যাদাকে আরও মহিমান্বিত করেছে।
যদিও শতাব্দী ধরে একাধিকবার এর সংস্কার ও সম্প্রসারণ হয়েছে, তবুও মসজিদে ক্বুবা আজও ইসলামের প্রথম দিকের সেই ইতিহাসের প্রতীক হয়ে আছে। এখানে নামাজ আদায় করার বিশেষ ফজিলতের কথাও হাদিসে উল্লেখ আছে।
আধুনিক স্থাপত্যে সমৃদ্ধ হলেও মসজিদটি আজও মুসলিমদের জন্য এক আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত লক্ষ লক্ষ মুসল্লি এখানে নামাজ পড়তে আসেন। মদিনায় আগত প্রায় সব হজযাত্রী ও ওমরাহ পালনকারীরা এই ঐতিহাসিক মসজিদ পরিদর্শন করে থাকেন।
মসজিদে ক্বুবা কেবল একটি ইবাদতের স্থান নয়, বরং এটি ইসলামের ইতিহাস, হিজরতের স্মৃতি ও মুহাম্মদ (সা.) হাতে নির্মিত প্রথম দৃষ্টান্তের প্রতীক। সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা এই মসজিদ আজও মুসলিম উম্মাহকে ঐক্য, তাকওয়া ও আধ্যাত্মিকতার বার্তা মনে করিয়ে দেয়।