আহসানুল হক জুয়েল, নিকলী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের পর্যটন এলাকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিকলীর সদর এলাকা দিয়ে প্রবেশের অন্যতম সরু রাস্তা। প্রচন্ড রোদ ভ্যাপসা গরমে আটকা পড়ে আছে ট্রাকভর্তি গবাদিপশু সহ অন্যান্য যানবাহন। আশঙ্কা দুর্ঘটনার!

কিশোরগঞ্জের একাধিক হাওড়ের পর্যটন স্থানে দক্ষিণ দিক থেকে আসা সকল প্রকারের গাড়ির চালক ও যাত্রীদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হাওড় এলাকায় বর্ষার পানি বাড়ার সাথে সাথেই উপচেপড়া ভীড় দেখা দেয় বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের মাঝে। তবে ১১ জুন দুপুরের দিকে চরম পর্যায়ের ভোগান্তির দৃশ্য চোখে পড়ে জেলার সর্ব বৃহৎ গরুর হাট উপলক্ষে হাওড়ের উত্তর দিকে গরু বোঝাই করা ট্রাকের সাথে দক্ষিণ দিকের একাধিক রাস্তা দিয়ে আসা পর্যটকদের গাড়ীর মুখোমুখি অতিক্রমের সময়। এর ফলে তৈরি হয় তীব্র যানজটের। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে সারি সারি গাড়িকেও। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ চালক ও যাত্রীদের পাশাপাশি গরু-ছাগল ও মহিষগুলোকে গাড়িতেই হাঁপাতে দেখা গেছে। বিপাকে পড়েছে রাস্তার পাশের দোকানী এবং স্থানীয় পথচারীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে রোদারপুড্ডা চৌরাস্তা মোড় থেকে শুরু করে নিকলী সদর পর্যন্ত এ ধরণের ভীড়ের চিত্র। স্থানীয় আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা লোকদেরকেও যানজট বিষয়ে ফোন করে জানানো হয়েছে। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণ যানজট নিরসনে এগিয়ে এলেও তারা অপরিকল্পিত সরু রাস্তার ফলে যানজট নিরসনে ব্যর্থতারই পরিচয় দিচ্ছেন। শুধু নিকলী সদর এলাকাতেই এই অবস্থা নয় বরং আশেপাশের নিকলী টু বাজিতপুর এবং সীমান্তবর্তী কটিয়াদী এলাকার করগাঁও থেকে শুরু করে আঞ্চলিক মহাসড়ক পর্যন্ত এই করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এখানকার সড়ক ও জনপদের রাস্তার নিম্নমানের কাজের ফলে অনেকাংশে ভাঙনের দৃশ্যতো চোখে পড়ার মতোই। বেহাল দশাও এসব রাস্তার যানজট তৈরি এবং ভোগান্তির জন্যে অনেকাংশে দায়ী বলে উল্লেখ করেন স্থানীয়রা। হাওড় অঞ্চল ঘুরে আসতে দেখা পর্যটকদের অনেককেই বলতে শোনা যায় প্রবেশ পথের এসব রাস্তা যদি অচিরেই মেরামত না করা হয় তাহলে বর্ষা মৌসুমে পর্যটক বিমুখ হবে হাওড় অঞ্চল। এছাড়াও ভোগান্তির কারণে গরু বেপারীদেরকে বলতে শোনা যাচ্ছে এ অবস্থা দীর্ঘ সময় ব্যাপী হলে তাদের গরু হিটস্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করেছেন তারা।

নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিনের সাথে এই বিষয়ে কথা হলে তিনি যানজটের বিষয়টি দেখবেন বলেও জানান।

পর্যটন এলাকার অপরিকল্পিত সড়ক ও জনপদের রাস্তার বিষয়ে নিকলী উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এবং উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রেহেনা মজুমদার মুক্তির সাথে মুঠোফোনে ১১ জুন দুপুরে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কাউকেই পাওয়া যায়নি।

তবে স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র দাবি করেছে এই সকল যানজট নিরসনে এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।