নূরুন্নাহার নীরু

কবি আসাদ বিন হাফিজের কাব্যসমগ্র বইয়ের ২৭০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে একটি দূরদর্শী আখ্যান। নাম তার “সুপ্রভাত বাংলাদেশ। তাঁর কাব্যসমগ্র তে “নমরুদের ঘিলু” অংশে উল্লেখিত ওই আখ্যানে তিনি লিখেছেন, “রেডিওতে এখন ক্রমাগত ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত ঘোষণা করা হচ্ছে। আমাদের আবহাওয়া বিভাগের বরাত দিয়ে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলো প্রতিমুহূর্তে প্রচার করছে সে সংবাদ। বলা হচ্ছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপটি ক্রমাগত ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে মূল ভূখ-ে আঘাত হানবে।

দুদিন আগে যখন এ খবরটি প্রথম প্রচারিত হয় তখনই সব ধরনের নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলার গুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়টি প্রচন্ড শক্তিতে দ্রুত গতিতে মূল ভূখ-ে আঘাত হানবে। আর তখন থেকেই আকাশ অন্ধকার করে টিপ টিপ বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। এখন থেকে থেকে দমকা হাওয়া ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রচ- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে কয়েক হাজার মাইল বেগে বাংলাদেশের রাজধানীর হাটখোলা ও মতিঝিলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে আঘাত হেনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের উপর দিয়ে ধানমন্ডির সুধাসদন ও বত্রিশ নম্বর রোডে আছড়ে পড়বে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি আসাদগেট পার হয়ে জিয়া উদ্যানের পশ্চিম কোল ঘেঁষে সোজা উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে। সময় মতো যারা আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেনি তাদের বিমানের টিকেট কোন কাজে আসবে না। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকালো এবং সঙ্গে সঙ্গে সব বাতি নিভে গেল। আমরা অনুভব করলাম পাপ ও প্রতারণার ১০০ ফুট উচ্চতার ঢেউ দ্রুত উত্তর দিকে ছুটে যাচ্ছে। সেই ঢেউয়ের সাথে এতদিনের পুঞ্জিভূত লীগাবর্জনা কোথায় যেন হারিয়ে গেল। হারিয়ে গেল স্বৈরাচারের ঐরাবত। একবিংশ শতাব্দীর দুঃস্বপ্ন প্রাচীন হিন্দার তুলতুলে মখমলের ঝলমলে সিংহাসন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার সব কিভাবে যেন স্বাভাবিক হয়ে গেল। বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো রাজপথে নেমে এলো উৎফুল্ল লক্ষ কোটি জনতা৷ সূর্য তার ভুবন ভোলানো হাসি ছড়িয়ে বলল সুপ্রভাত বাংলাদেশ।”

২০১৩ সালের ৩০ জুনে লেখা কবির এ উপাখ্যান যেন এইতো সেদিনের ঘটে যাওয়া ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালের এক কথায় ৩৬ জুলাইয়ের চিত্রই তুলে ধরেছে। কি করে সম্ভব? চিন্তাশীল লেখক তাঁর দূরদর্শী চেতনা দিয়ে যেভাবে লীগাবর্জনা তথা স্বৈরাচার পতনের দৃশ্য এঁকেছেন, তা কাব্যজগতে সাড়া জাগানোর মতো বিস্ময়কর এবং কালজয়ীও বচে।

কবি আসাদ বিন হাফিজের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৫৮ এবং মৃত্যু ১ জুলাই ২০২৪। হিসেব মতে তিনি ২০২৪ এ ঘটে যাওয়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দেখে যেতে পারেননি। এমন কি আন্দোলন শুরুর দিনই মহান আল্লাহসুবহানুতা’লা তাঁকে ভালোবেসে নিজ সান্নিধ্যে তুলে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিজয় দেখাতো দূরে। কিন্তু তিনি স্বপ্ন এঁকে গেছেন। একজন মননশীল কবি গভীর ধীশক্তি নিয়ে দেশ ও জাতির জন্য যা চিন্তা করতে পারেন এবং জাতির মুক্তির যে স্বপ্ন দেখতে পারেন তারই নিঁখুত চিত্র এঁকে গেছেন তিনি শিল্পীর মতো বর্ণমালার চাষে তাঁর “নমরুদের ঘিলু” কাব্যগ্রন্থে৷

এ কাব্য গ্রন্থের প্রতিটি কবিতাতেই তাঁর স্বৈরাচারের বিরোধিতা, ফ্যাসিস্টদের পরিণতি, ঘৃণা, প্রতিবাদ ফুটে উঠেছে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে। যে কোন পাঠক পড়তে গিয়ে অবাক বিস্ময়ে হতবাক হবেন বিশেষ করে “সুপ্রভাত বাংলাদেশে” এসে। এমনি এক ভবিষ্যৎবাণী সম্বলিত ঐ উপাখ্যানটি। অথচ তিনি জ্যোতিষী নন। নিরেট ধার্মিক একজন খোদাভীরু মুসলিম কবি। যাঁর লেখনীর পরতে পরতে ফুটে উঠেছে অন্তরের কায়মনো চাওয়া একটি ন্যায়পরায়ণ সুশীল সমাজ, রাসূল (সাঃ) প্রদর্শিত সাম্যের সমাজ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার একটি দূর্বার স্পৃহা। তা কখনো একান্ত প্রভূর দরবারে অত্যন্ত কাকুতি মিনতিতে আবার কখনো জনতার জাগরণে মিসাইলের বেষে।

গত ২০২৪ এর ০৫ অগাস্ট ছিল বাঙালীমুসলিমদের পরম এক প্রাপ্তিকাল। যাকে মুক্ত বাংলাদেশের ২য় স্বাধীনতাও বলা হয়ে থাকে। ১ম জুলাই থেকে শুরু হওয়া ছাত্রদের একটি আন্দোলন যা কোটাবিরোধী আন্দোলন নামেই সমধিক পরিচিত ছিল। যা শুরু হয়েছিল ঢাবির ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা। অবশেষে সে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লো সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি প্রাইভেট সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজেও এবং সারা বাংলাদেশ জুড়ে। খুনী ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা ছাত্রদের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে উঠলো। লেলিয়ে দিল পুলিশ সহ নিজ পেটুয়া বাহিনীকেও। খুন, গুম, হত্যা, রাহাজানি চলতেই থাকল। তাতেও সে তুষ্ট না থেকে বিদ্রুপাত্মক বানও ছুঁড়লো ছাত্রদের প্রতি “রাজাকারের বাচ্চা” বলে। আর যায় কোথা! উত্তাল ছাত্রসমাজ উদ্বেলিত হয়ে উঠলো সাগরের ঢেউয়ের মতো। স্লোগান পাল্টে গেল, দাবি পাল্টে গেল। এক পর্যায়ে ছাত্রজনতা ছুটলো গণভবন অভিমুখে। ইতোমধ্যে অনেক রক্ত বয়ে গেল। রাজপথ রঞ্জিত হওয়া থেকে শ্যামলবাংলার নীল শরৎ হয়ে গেল লালে লাল। শিশু, যুবা, কন্যা, মা কেউই সেদিনের সেই আত্মদান থেকে বাদ পড়লো না। তবু জনতার ঐক্যে ফাটল ধরলো না। ১০০ফুট উচ্চতায় এগিয়ে গেল স্বৈরাচার পতনের ঢেউ। অবশেষে ৫ অগাস্টে হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে দেশ রাহুমুক্ত হলো। প্রতিষ্ঠিত হলো ৩৬ জুলাই নামে সে বছরের জুলাইয়ের ৩০ দিনকে নিয়ে অগাস্টের ৫দিনের হিসেব।

সেদিনের সে দৃশ্য বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্ববাসী দেখেছে। কিভাবে একটি দাম্ভিক, অহংকারী, বাচাল মহিলার তাৎক্ষণিক পতন ঘটেছিল, কিভাবে ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল জনতার মিছিল, ঢল নেমেছিল ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোত্রের সম্মিলনে যাত্রামুখ দূর্নীতি আর জুলুমের আখড়া গণভবন। এযেন আসাদ বিন হাফিজের বর্ণিত সেই “প্রাচীন হিন্দার তুলতুলে মখমলের ঝলমলে সিংহাসনের” ধূলিস্যাতের দৃশ্যই ! ‘২৪ শে এসে পুনঃ এই ছোট্ট ব-দ্বীপটার সীমানায় আছড়ে পড়লো কবির বর্ণিত সেই পূঞ্জীভূত ঘূর্ণিঝড়টি প্রচন্ড শক্তিতে। মূল ভূখ-ে অর্থাৎ খোদ হাসিনার পতনে আঘাত হানতে।

তিনি বর্ণনা করেছেন,” কিছুক্ষণের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপটি ক্রমাগত ঘণীভূত হয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে মূল ভূখন্ডে আঘাত হানবে। বলাই বাহুল্য সে নি¤œচাপটি আর কিছুই নয়। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে পুষে থাকা আক্রোশে বেড়ে ওঠা একটা জেনারেশন যারা জেন-জি নামেই পরিচিত সেই ছাত্রদের মনোঃকষ্ট আর দ্রোহই অবশেষে ঘূর্ণিঝড় হয়ে আঘাত হানে “মার্চ টু ঢাকা” র মাধ্যমে একেবারে মূলের দিকে তথা গণভবনে।

কী অসাধারণ বর্ণনায় তিনি লিখে গেছেন, “পাপ ও প্রতারণার ১০০ ফুট উচ্চতার ঢেউ দ্রুত উত্তর(!) দিকে ছুটে যাচ্ছে। সেই ঢেউয়ের সাথে এতদিনের পূঞ্জীভূত লীগাবর্জনা কোথায় যেন হারিয়ে গেল। কবির কল্পিত এমন দৃশ্য সেদিন চাক্ষুস দেখল বাংলাদেশ, দেখল বিশ^। কোথায় গেল এমন দাম্ভিক, অহংকারী নারীর সভাসদ, পেটুয়া বাহিনী! কেউতো তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলো না! এমন কি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ তিন বাহিনী প্রধানও সেদিন জনতার পক্ষেই পাল্লা ভারী করতে বাধ্য ছিল।

ফলে নিমেষেই উবে গেল ১৬ বছরের জমানো লীগাবর্জনা একটা ঢেউয়ে। সে ঢেউ ছিল জনতার ঢেউ। সেই ঢেউ ছিল নিগৃহীত জনতার রুষ্টতার ঢেউ, সে ঢেউ ছিল অন্যায় আর অহমিকা গুড়িয়ে দেয়ার ঢেউ! সত্যিই তার প্রতিবাদের উচ্চতা কতটা পাহাড়সম ছিল তা হিসেব কষে দেখার মতো নয় বরং কবির কলমে উঠে আসা “পাপ ও প্রতারণার ১০০ ফুট” যেন চির সত্যটাই তুলে ধরলো। এখানে উল্লেখযোগ্য শব্দ “লীগাবর্জনা। কবির এ সুস্পষ্ট শব্দ চয়ন আমাকে অস্বাভাবিকভাবে দুলিয়ে দিয়েছে। কবির এ কথনতো যে কোন স্বৈরাচারের , যে কোন ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধেই একটি জ্বলন্ত চিত্র হতে পারতো। কিন্তু না! তিনি একে বারে স্পষ্টকরেই নির্দিষ্ট শব্দচয়নে জানিয়ে গেলেন এই অবিচার, অনাচার, পাপ ,পঙ্কিলতা, জুলুমবাজী, স্বৈরাচারীতা এ মূহূর্তে নির্দিষ্ট সেই একটি দলের জন্যই মুদ্রিত; যাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল ছাত্রজনতা ২৪ শে এসে। গড়েছে ৩৬ জুলাই। কী অকপট সাহস ও শক্তিতে সে কথাই ব্যক্ত করেছিলেন তিনি ২০১৩ এর ৩০ জুনে। অথচ ২০২৪ শের আন্দোলনের প্রথম প্রহরেই তিনি চলে গেলেন আল্লাহর দরবারে। থেকে গেল তাঁর অসাধারণ ভবিষ্যোদোক্তি!

নমরুদের ঘিলু” নামক গোটা কাব্যগ্রন্থটিই তাঁর হৃদয় চেরা আহাজারী, আকুতি, অন্যায় অসত্যের প্রতিবাদে কল্লোলিত। যেমনঃ “নমরুদের ঘিলু” এ কবিতায় তিনি এঁকেছেন একজন নিপীড়িত মজলুমের ফরিয়াদ। মহান আল্লাহর দরবারে হাত তুলে যেন স্মরণ করছেন, “মাবুদ, নমরুদের ঘিলু তছনছ করার জন্য একটি মশাইতো যথেষ্ট। মূলতঃও তা ই। দাম্ভিক ঔদ্ধ্যত, চরম নিকৃষ্টদের অধঃপতন আল্লাহর দুনিয়ায় মহান আল্লাহ ঐ ক্ষুদ্র উপকরণ দিয়েই ধ্বংস করে দৃষ্টান্ত রেখে দিয়েছেন। নমরুদের মতো ফেরাউনের পতনেও অছিলা ছিল মাত্র নীল দরিয়ার ‘পানি’ আর হাসিনার পতনে কিছু উঠতি বয়সী ছেলের দৌড়ানী’ সেও কি ভাবা যায়? আল্লাহ যেন কবির সে ফরিয়াদ সত্যিই কবুল করে নিয়েছিলেন অনায়াসে। আবার দেখছি “উই রিভোল্ট” কবিতায় তিনি যে দৃশ্য এঁকেছেন তা যেন ২০২৪শের গণআন্দোলনেরই আরেক চিত্র বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকারে মুখর রূপসী বাংলার হাটে-ঘাটে-মাঠে-প্রান্তরে। শুধুই বাঁচার আকুতি। ঠিক তখনি যেখানে তিনি একজন “মেজর” কেও কল্পনা করে গেছেন জাতির মুক্তিতে যাঁর দৃঢ় কন্ঠের বজ্রধ্বনি বেজে উঠবে : “উই রিভোল্ট। অসাধারণ কবি! অসাধারণ আপনার স্বপ্নচিত্র।

কবির লেখা এ ‘সুপ্রভাত বাংলাদেশ’ আমাদের চেতনায় কড়া নেড়ে জানিয়ে দিচ্ছেঃ একজন সত্যাশ্রয়ী, অন্যায়ের প্রতিবাদী, অসত্যের বিরোধী কবি এভাবেই বলে দিতে পারেঃ অসত্য কতটা অসুন্দর, কতটা ভঙ্গুর এবং বিধ্বংসী। ছোট্ট অথচ ধারালো এ উপাখ্যানটিতে কবিমনের দৃঢ়বিশ্বাস এতটাই বদ্ধমূল যে, স্বৈরাচারের তক্তোপোষ নিমিষেই গুড়িয়ে পড়তে পারে বিক্ষুদ্ধ ঘূর্ণিঝড়ে। আর সে ঝড়ের গতি- বিধি, সীমানা, প্রকৃতি কোথা থেকে কোথা দিয়ে কিভাবে উড়ে এসে আঘাত হানবে তাও তিনি তাঁর কল্পিত শব্দবুননে এঁকে দিলেন ঠিক একজন দক্ষ আবহাওয়াবিদের মতো।

৩৬ জুলাই বাস্তবে এনে দিল যেন তাঁর সেই স্বপ্নের আখ্যানঃ “সুপ্রভাত বাংলাদেশ। এমন মননশীল-ধীশক্তি সম্পন্ন কবিদের সম্পর্কেই বলা যায়ঃ কবিরাই দেখাতে পারেন, মুক্তির নিশানা, আলোর ঠিকানা, প্রেমের বন্দনা।

এভাবেই বেঁচে থাকুক সকল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সকল মুক্তিকামীর হৃদকুঠিতে অনাগত কালেও “ তাঁরই সফল আখ্যানঃ সুপ্রভাত বাংলাদেশ। সেই সাথে আবারও প্রতিধ্বনিত হোক সুরা আসশুয়ারায় বর্ণিত সফল কবিদের সম্পর্কে মহাপ্রভূর বানীটিঃ “ তবে তারা নয়, যারা ১/ঈমান আনে, ২/ নেক আমল করে, ৩/ আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, এবং ৪/ অত্যাচারিত হবার পরই প্রতিশোধ গ্রহণ করে। আর যারা যুলুম করে তারা শিগগিরই জানতে পারবে, কেমন গন্তব্যস্থলে তারা গমন করছে?” (২২৭)