লেখিকা,

-- তাসলিমা পাটোয়ারী --

এই সমাজে চাইলেও কিছু সত্য কথা বলা যায় না তবে এই সত্যটা জানলে- আপনাদের কাছে এতোটাই তিতা মনে হবে যে, এর কাছে করলা বা নিমপাতাও ফেল হয়ে যাবে। আমাদের সমাজে আজকাল সব ধরনের বাবা-মায়েদের মধ্যেই একটা স্বার্থপরতা ঢুকে গিয়েছে, আর তা এতোটাই তীব্রভাবে ঢুকেছে যে আপনি যতই বোঝান তারা বুঝবে না। এমনকি কেউ যদি বোঝাতে যায় তাহলে তাকে আক্রমণাত্মক ও কুরুচিপূর্ণ ভাষার মাধ্যমে চপেটাঘাত করতেও দ্বিধাবোধ করেন না সমাজের এই নামমাত্র অভিভাবকেরা।

প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ স্বার্থপরতা হলো, পরিবার গরীব হোক বা ধনী; বাবা-মায়েরা চান তাদের ছেল-মেয়েরা লেখাপড়া শিখে চাকরি বাকরি করুক। লেখাপড়াকে তারা শিক্ষার পর্যায়ে না রেখে শুধুমাত্র উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বাচ্চাদের মাথায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। বোঝাচ্ছেন যে- তোমাদের লেখাপড়া শিখে বড় চাকরি করতে হবে। কোটি কোটি টাকা কামাতে হবে। বেশি ধনীরা চায়, ছেলে বাহিরের দেশে গিয়ে লেখাপড়া শিখে ভালো চাকুরী করে যোগ্য হয়ে উঠুক। আর এ স্বপ্ন সবারই থাকে, আমি এটাকে অন্যায় হিসেবে দেখছি না।

অভিভাবকেরা কখনো ভাবেন না যে, বর্তমানে গ্রামের একটা ছেলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয় ৮ বছর বয়সে। আর শহরে হলেতো নার্সারি শেষ করে কেজি ওয়ানে যেতেই লাগে ১০ বছর। এরপর ছেলে এস,এস,সি, ইন্টারমিডিয়েট, গ্রাজুয়েশন, স্নাতকোত্তর শেষ করতে একটা ছেলের বয়স চলে যায় পয়ত্রিশ-চল্লিশের কাছাকাছি কিংবা তারও বেশি। এবার সেই ছেলের জীবনে শুরু হয় নতুন একটা অধ্যায়।

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেটি এতোদিন হতাশায় ছিলো যে, কবে এই লেখাপড়ার পালা শেষ হবে। জীবনে এবার নতুন অধ্যায়ে আসে চাকরির চেষ্টা। চাকরির পরিক্ষা দিতে দিতে ছেলের বয়স হয়ে যায় পঁয়তাল্লিশ। কেউ পাঁচ বছর, কেউ আট বছর এমনকি কেউ দশ বছর পরিশ্রমের পর চাকরি নামের সোনার হরিণের দেখা পায়। আবার কেউ চাকরি না পেয়ে বেকারত্বে অভিশাপ মাথায় নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

ধনী পরিবারের ছেলেরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যায়। সেখান থেকে কেউ দেশে ফিরে আসে আবার কেউ ফিরে আসে না। আর যারা ফিরে আসে তারা মাথাভর্তি বড় টাক অথবা সাদা চুল দাড়ির গোছা নিয়ে দেশে এসে বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজেন- রূপবতী, গুনবতী, ধার্মিক, সর্বোচ্চ ক্লাস এইট নাইনে পড়া মেয়ে।

মাঝখানে এই যে এতোগুলা বছর কেটে গেলো, বাবা-মা কিন্ত জানে তাদের ছেলে বিভিন্ন মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে কিন্ত বাবা-মা সেটাকে হালকাভাবে দেখে থাকে। বয়সের ভ্রম বলে উড়িয়ে দিলেও বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এই ছেলেটা যে এতো বছর মেয়েদের সাথে প্রেম করলো এই গুনাহের দায়ভার কে নিবে একবারও কি বাবা-মা ভেবেছেন?

- না, তারা তো ইহকাল নিয়ে ব্যস্ত, তাদের দুনিয়া চাই। এসব নিয়ে ভাবার সময় কখন?

একটা ছেলে বা মেয়ের যদি বয়সের ভ্রম হয়েই থাকে তবে তা স্থায়ী হতো না। তখনি তারা ভুল করতে শুরু করে যখন তাদের বিয়ের বয়স হয়। বিয়ের বয়স হবার আগে কোনো ছেলে বা মেয়ে কারো দিকে কু-নজরে তাকায় না। বাবা-মা দুনিয়া নিয়ে এতোই ব্যস্ত যে, তারা জানতেও চায় না এই চল্লিশ বছর ছেলেটার কিভাবে কাটছে?

-- তারা মনে করে, সন্তান বিধায় তাদের মধ্যে কোনো যৌন আকর্ষণ হতেই পারে না। তারা ভুলে যায় ওদের শরীরে হরমোন আছে।

যে ছেলেটা বিদেশ থেকে আসলো ওই বাবা জানে তার ছেলে এতো বছর বিদেশে কিভাবে কাটিয়েছে কিন্ত সেটা "ডাজে'ন্ট মেটার"।

অভিভাবকেরা আধুনিক হতে, হতে এতোটাই আধুনিক হয়েছেন যে- ছেলেকে যারা হিফজ পড়ান তারা হিফজ শেষ করে মাদ্রাসায় পড়ান। তারপর ছেলেটি দাখিল, আলিম, ফাজিল/স্নাতক, কামিল, এসব করতে করতে চুল দাড়িতে পাক ধরে গেলেও বিবাহের কথা ভাবেন না। বুড়ো বয়সে যখন একটা চাকরি পায় তখন বিয়ে! আর চাকরি না পেলে কোনো মসজিদের ঈমামতি, তারপর বিয়ে। অনেকের তো বাবা-মা এতোদিন পটলও তুলে ফেলেন কিন্ত ছেলের ফরজ আদায়ের কথা তারা স্বপ্নেও ভাবেন না।

কে শোনে কার কথা। কেউ যদি বোঝাতে যায় তাহলে তাকে তার অতীত নিয়ে খোটা দেয় এসব বাবা-মায়েরা। এই তুমি কে মিয়া এসব বলার? সবাই এসব করে। তোমার বাপেতো এই করছিলো, তোমার দাদায় ঐ করছিলো, তোমার চাচায় ঐ করছিল ইত্যাদি, ইত্যাদি।

-- এখন আমার আমার কথা হলো, কে কি করছে তার বিচার আল্লাহ করবেন কিন্ত আপনার ছেলে/মেয়ে যে এতো বছর ধরে জিনা করলো এর দায়ভার কি আপনাকে নিতে হবে না?

মনে রাখবেন - আপনার ছেলের চল্লিশ বছরের গুনাহের অর্ধেক গুনাখাতা আপনার আমলনামায় লেখা হয়। বিবাহোপযোগী ছেলে/মেয়ের বিয়ে হবার আগ পর্যন্ত যত পাপ করবে সকল পাপের অর্ধাংশ ভাগীদার হবে তার বাবা-মা।

কখনো ভেবেছেন যে, এতো পাপ নিয়ে আল্লাহর দরবারে মুখ দেখাবেন কীভাবে?

রাসুলের (সাঃ) উম্মত হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিবেন কীভাবে?

-- বাবা-মা ভাবেন যে, ছেলে বয়স খাইয়ে বিয়ে করলে তার ইনকাম আরও কিছুদিন বেশি করে খাইতে পারবো নাহলে ছেলেকে বিয়ে করালে আর খেতে পারবো না।

ছেলেকে মানুষ করার সময় ৯৯% বাবা-মায়ের ইচ্ছা থাকে ছেলে অনেক টাকা ইনকাম করবে। কিন্ত কেউ একথা ভাবে না যে, ছেলেটা মানুষ হোক, জান্নাতে প্রবেশের ওয়াসিলা হোক। আমরা সবাই জানি যে- ভালো কাজে আল্লাহ খুশি হন তাই কালে ভদ্রে দুই একটা ভালো কাজ করে তা বুক ফুলিয়ে মানুষকে বলে বেড়াই কিন্ত খারাপ কাজের সময় একবারও ভাবি না যে, এই কাজের জন্য আমি পাপী হচ্ছি! আল্লাহর দরবারে আমাকেই এর জবাবদিহি করতে হবে।

বাবা-মায়েরা শুধু টাকার জন্য ছেলে মানুষ করতে গিয়ে ছেলের বান্ধবীকে নিজের বাড়িতে ছেলের রুমে এলাউ করেন। হায় আফসোস, তারা এগুলোকে কিছুই মনে করে না বরং মনে করেন ছেলের মন ভালো থাকবে, পড়ালেখায় মন বসবে।

ওরে হতভাগা, তাই যদি হয় তাহলে সঠিক বয়সে বিয়ে দিলেইতো হয়। ছেলের মনে কোনো হারাম সম্পর্কের অসুখ থাকবেনা। ঘরে স্ত্রী থাকলে সে সচ্চরিত্রবান থাকবে এবং তার উন্নতির পথ আরো সুগম হবে। এই কথার জবাবে তারা বলেন- তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে বউ ও সংসারের চিন্তায় লেখাপড়া হয়না।

-- দুনিয়ায় যারা সফল হয়েছেন, (পুরুষ হোক অথবা নারী) তারা সবাই কম বয়সেই বিয়ে করেছেন। আমরা যাকে কম বয়স বলি; বাস্তবে সেটাই বিবাহের সঠিক বয়স। মনে রাখবেন, আপনি যে দুনিয়া পাবার জন্য সন্তানের মাধ্যমে পাপ কামাই করছেন সেই দুনিয়ায় আপনি চিরকাল থাকবেন না। মাটির নিচে আপনাকে সাড়ে তিন হাত জায়গা মেপে দেয়া হবে। এক ইঞ্চি কম বেশি করার ক্ষমতা কারো নেই। আপনার যত বড় বিল্ডিং থাকুক না কেনো কবরে আপনার পিঠের নীচে এই আলিশান খাটতো দূরের কথা ভুলেও কাঠের একটা টুকরোও দেয়া হবে না।

সেদিন হয়তো অবাক হবেন যেদিন আল্লাহ আপনাকে জিনার দায়ে শাস্তি দিবেন। আপনি বলবেন, হে আমার রব আমিতো কোনোদিন জিনা করিনি। তখন আল্লাহ আপনার সন্তানের পাপ আপনাকে দেখিয়ে দিবেন। নেক সন্তান আপনার কবরে নেক আমল পৌঁছাতে থাকবে আর বেদ্বীন সন্তান বদ আমল পাঠাতে থাকবে। সেগুলো থেকে আপনি কখনোই রেহায় পাবেন না। তখন শুধু মাথায় হাত রেখে বলবেন, হায় আফসোস্; দুনিয়াতে যদি একটু ভাবতাম তাহলে আজকে এই দিন দেখতে হতো না।

-- এই অভিভাবকেরা "ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ডাকাতি করা লোকেদের চাইতেও জঘন্য"। অর্থবিত্তের লোভে সন্তানকে ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে তারা বিপদে এবং বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে চল্লিশে বিয়ে করে পঞ্চাশে এক ছেলের বাপ হওয়া লোকটি ষাটে ছেলের ইনকাম খেয়ে মরতে না পারলেও ছেলের পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে ঠিকই কবরে চলে যান। আর সত্তরে ছেলের আয় না খেতে পেরে দিনরাত ছেলেকে মানসিক অত্যাচারের জির্জরিত করে ফেলেন অথচ তিনি ভুলেই যান যে এই ছেলে জন্মেই তাকে চুল, দাড়ি পাকা অবস্থায় পেয়েছে।

একটা ছেলেকে চাকরির চিন্তা মাথায় চাপিয়ে না দিয়ে তাকে স্বাবলম্বী করে তুলুন। অভিভাবক হিসেবে নিজ দায়িত্বে সন্তানকে ব্যবসা ধরিয়ে দিন। হালাল ব্যবসায় যে বারাকাহ আল্লাহ দিয়েছেন চাকরিতে সেই বারাকাহ দেননি। চাকরির দুশ্চিন্তা একটি ছেলেকে দিনে দিনে ডিপ্রেশনে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে।

-- লেখাপড়া শুধু চাকরির জন্য নয় বরং ত্রিশ বছর বয়সে লেখাপড়া শেষ হবে তারপর ইনকাম এই আশা ছেড়ে ছেলেদের কুড়ি বছর বয়স থেকেই ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলুন। ফলে সে ঠিক বয়সে উপার্জন ও বিবাহ করতে পারবে। আপনার সন্তান বেঁচে যাবে ডিপ্রেশন থেকে, বেঁচে যাবে জিনা থেকে। আপনি মুক্ত থাকবেন জিনার অর্ধেক গুনাহের ভাগ বয়ে বেড়ানো থেকে।

সন্তানের প্রতি অবিচার করবেন না। তাদের মাথায় চাকরির চিন্তা না ঢুকিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করান। বাংলাদের প্রেক্ষাপটে টাকার বিকল্প কেবই টাকাই কারণ এই দেশে অত্যাধিক মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। আর মধ্যবিত্ত পরিবারের পিতা ও সন্তানেরা উভয়েই এক একটি উপন্যাস। তাদের জীবনীই যেনো একেকটি উপাখ্যান, নাটক, সিনেমা, গল্প। আর এসব বাস্তবতার গল্প অনেক বড়, বড় সিনেমাকেও হার মানিয়ে দেয়।

জীবনে সঠিক সময়ে অর্থ উপার্জন না করতে পারা পুরুষই জানে- প্রতিদিন ঠিক কতবার সে মারা যায়, কতবার সে আত্মহত্যা করে।

আজকাল তো বাবা-মায়েরা শেষ বয়সে পৌঁছে যান দ্রুত আর তখন পাড়া-মহল্লায় ছেলেদের বিরুদ্ধে বদনামে লিপ্ত হন- আমার ছেলে ভাত দেয়না, কাপড় দেয়না, আমাদে দ্যাখেনা ইত্যাদি ইত্যাদি।

-- ওহে অভিভাবক- যখন ছেলের ইনকামের বয়স ছিল তখন কি আপনারা তাকে উপার্জনের পথ ধরিয়ে দিয়েছিলেন?

নাকি তার মাথায় চাকরির বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন?

ইসলাম বলে- পিতা মাতার যদি নিজের চলার উপায় থাকে তাহলে সন্তানকে চাপ না দেয়াই ভালো কারণ প্রতিটি পুরুষের আয়ের প্রতি সবচেয়ে বেশি হক্বদার তার পরিবার (স্ত্রী, সন্তান)। বাবা-মায়ের যে হক্ব নেই এমন নয়। যে পিতা মাতা আয় করতে অক্ষম তারা অবশ্যই সন্তানের প্রতিই নির্ভরশীল হবেন এটাই নিয়ম।

সন্তানের যেমন আয় তেমন খেয়ে, পরে খুশি হন না অধিকাংশ অভিভাবকেরা। সন্তানের আয় তার নিজের নাতি পুতিরা খেলেও যেনো সহ্য হয়না। আসলে সন্তানকে সম্পদ বানাতে না শিখলে শেষ বয়সে গীবতের গুনাহ নিয়ে কবরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবেনা!

শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্য- এক সময়ের কলিজার টুকরাটাও অপর সময়ে বাপ মায়ের চোখের বালিতে রূপান্তরিত হয়। আর এসবের সমাধান হচ্ছে- পুরুষের সঠিক বয়সে উপার্জন করা।

সেজন্য প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে অভিভাবকদেরকেই। আপনারা হেদায়েত হোন তাহলে দেখবেন সন্তানও ঠিক আছে কারণ সন্তানেরা সব সময় পিতা মাতাকে অনুসরণ করে।

এই প্রবন্ধে লেখিকা আধুনিক সমাজের এক ভয়াবহ সত্য উন্মোচন করেছেন-বাবা-মায়ের স্বার্থপরতা ও ভুল ধারণা। আজকের অভিভাবকেরা সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষার চেয়ে চাকরি ও অর্থ উপার্জনের পেছনে দৌড়াতে শেখাচ্ছেন। ফলে একটি ছেলে বা মেয়ের যৌবন পার হয়ে যায় কেবল পরীক্ষার প্রস্তুতি, ডিগ্রি আর চাকরির খোঁজে। এর মধ্যেই তারা গুনাহে লিপ্ত হয়, অথচ বাবা-মা বিষয়টিকে অবহেলা করেন। লেখিকার মতে, সন্তানের বিলম্বিত বিয়ে ও চাকরিনির্ভর জীবন-দর্শন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করছে, আর এর পাপের ভাগীদার হচ্ছেন অভিভাবকেরা নিজেরাই। তিনি দেখিয়েছেন, ইসলাম অভিভাবককে সন্তানের বিবাহ ও হালাল জীবিকার দায়িত্ব দিয়েছে, কিন্তু অধিকাংশ পিতা-মাতা দুনিয়ার লোভে সেই ফরজ দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে সন্তানকে জিনার পথে ঠেলে দিচ্ছেন। লেখিকা বলেন, “সন্তান যখন জিনায় লিপ্ত হয়, তার অর্ধেক গুনাহ বাবা-মায়ের আমলনামায় লেখা হয়।”তাসলিমা পাটোয়ারী আহ্বান জানিয়েছেন- অভিভাবকেরা যেন সন্তানকে কেবল চাকরির চিন্তা না দিয়ে হালাল ব্যবসা ও কর্মসংস্থানে উৎসাহিত করেন, ঠিক সময়ে বিয়ে দেন, এবং জান্নাতের উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। সন্তানকে সম্পদ বানানোই প্রকৃত সফলতা, আর তা না হলে পিতা-মাতা শেষ বয়সে গীবত, হতাশা ও পাপের ভার নিয়ে কবরে যাবেন। মূল বার্তা: সন্তানকে চাকরির বোঝা নয়, দায়িত্ব ও হেদায়েত দিন। লেখাপড়াকে জীবিকার নয়, জীবনের নৈতিকতার মাধ্যম করুন— তাহলেই রক্ষা পাবে পরিবার, সমাজ ও পরকাল।