ইসলামী ইতিহাসের আলোকে এক তাত্ত্বিক বীক্ষণ

মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের আকাশে যে সকল কবি ধ্রুবতারার মতো আপন মহিমায় ভাস্বর, তাঁদের মধ্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪) এক স্বতন্ত্র ও শক্তিমান কণ্ঠস্বর। মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ হিসেবে পরিচিত এই শিল্পীর কবিতার মূল দর্শন এবং তার প্রকাশ করার ধরন একটি বিশেষ আদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তাঁর কবিতা নিছক প্রকৃতির বর্ণনা বা ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ নয়, বরং এক গভীর ঐতিহাসিক চেতনা ও আদর্শিক দায়বদ্ধতার শৈল্পিক রূপায়ণ। এই আদর্শিকতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং তার মানবতাবাদী দর্শন। ফররুখ আহমদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪) -তে অন্তর্ভুক্ত ‘আউলাদ’ কবিতাটি এই চেতনার এক মর্মস্পর্শী ও বলিষ্ঠ প্রকাশ। আউলাদ শব্দটির আভিধানিক অর্থ বংশধর বা সন্তান-সন্ততি, কিন্তু কবিতার গভীরে প্রবেশ করলে বোঝা যায়, এখানে কেবল জৈবিক উত্তরাধিকার নয়, বরং এক আদর্শিক ও ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারের সংকট ও সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ইসলামী ইতিহাসের পটভূমিতে ‘আউলাদ কবিতার তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি একদিকে যেমন সমকালীন মুসলিম সমাজের অধঃপতনের হাহাকার, অন্যদিকে তেমনি এক স্বর্ণালী অতীতের স্মৃতিচারণ এবং ভবিষ্যতের পুনর্জাগরণের উদাত্ত আহ্বান।

আউলাদ কবিতার মূল প্রবেশদ্বার হলো এর পটভূমি। কবিতাটি যখন রচিত হচ্ছে, তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের করাল ছায়া পৃথিবীকে গ্রাস করেছে, ঔপনিবেশিক শাসনের নাগপাশে ভারতবর্ষ নিষ্পেষিত এবং ১৯৪৩ সালের (১৩৫০ বঙ্গাব্দ) মন্বন্তরে বাংলা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। এই দুর্ভিক্ষপীড়িত, মৃত্যুক্লিষ্ট, ক্ষুধার্ত মানুষের মিছিলই ‘আউলাদ’ কবিতার কেন্দ্রীয় চিত্রকল্প। কবি দেখছেন, “সারবন্দী চলেছে...” এই শবযাত্রা কেবল আক্ষরিক অর্থে মৃত মানুষের নয়, বরং এ এক জীবন্মৃত জাতির প্রতিচ্ছবি, যারা তাদের গৌরবময় অতীতকে বিস্মৃত হয়ে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন বর্তমানের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে ফররুখ আহমদ ইসলামী ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকিয়েছেন। তাঁর কাব্যচেতনায় ইসলামী ইতিহাস কেবল অতীত ঘটনার সংকলন নয়, বরং এটি এক জীবন্ত প্রেরণার উৎস, যা বর্তমানের সংকট উত্তরণে পথের দিশা দেখাতে পারে। কবিতার ছত্রে ছত্রে তিনি যে চিত্রকল্প নির্মাণ করেছেন, তা সমকালীন বাস্তবতার দলিল হলেও এর শেকড় প্রোথিত রয়েছে ইসলামী ইতিহাসের গভীরতম প্রদেশে।

কবিতার প্রথম অংশেই কবি এঁকেছেন এক নির্জীব, গতিহীন, লক্ষ্যভ্রষ্ট কাফেলার ছবি। এই কাফেলা “মরু মাঠ বন পার হয়ে” কোথায় চলেছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট গন্তব্য নেই। তাদের হাতে “কাস্তে, কোদাল, লাঙ্গল” থাকলেও তা দিয়ে তারা যে “তাজা ফসল” ফলাবে, সে আশা দুরাশা মাত্র। এই চিত্রকল্প আমাদেরকে ইসলামের প্রাথমিক যুগের সেই গতিময়, প্রাণবন্ত, বিশ্বাসে অটল মুসলিম সমাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যারা অর্ধপৃথিবীব্যাপী জ্ঞানের, সভ্যতার এবং ন্যায়ের আলো ছড়িয়ে দিয়েছিল। কবি মূলত বর্তমানের স্থবিরতার সাথে অতীতের সেই সৃষ্টিশীলতার বৈপরীত্য তুলে ধরেছেন। ইসলামী ইতিহাসে দেখা যায়, মুসলমানরা কেবল শিক্ষা প্রদানকারী হিসেবে নয়, বরং শ্রেষ্ঠ কৃষক, স্থপতি, বিজ্ঞানী এবং দার্শনিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল। স্পেনের কৃষি বিপ্লব, বাগদাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, সমরখন্দ-বুখারার সাংস্কৃতিক বিকাশ, এই সবই ছিল এক সৃষ্টিশীল ও কর্মমুখর সমাজের পরিচায়ক। ফররুখ আহমদ ‘আউলাদ’ কবিতায় সেই কর্মস্পৃহা ও সৃষ্টিশীলতার অনুপস্থিতিতে হাহাকার করেছেন। ক্ষুধার্ত, বঞ্চিত, “গোর-খোদকের দল” হিসেবে বর্তমান প্রজন্মকে চিত্রিত করার মাধ্যমে তিনি মূলত সেই ঐতিহাসিক পশ্চাদপসরণকেই প্রতীকায়িত করেছেন।

আউলাদ কবিতার একটি শক্তিশালী তাত্ত্বিক দিক হলো মানবতাবাদের বিপর্যয় এবং শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। কবি দেখছেন “মানুষের অভিশাপ” নিয়ে কীভাবে “স্ফীতমেদ শোষক সমাজ” তাদের “গর্বিত আসব” উপভোগ করছে, আর অন্যদিকে “ক্ষুধিত শিশুর শব” পথের ধারে পড়ে থাকছে। এই চিত্র ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার মূলনীতির পরিপন্থী। ইসলামে যাকাত-ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা, বায়তুল মাল বা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সুষম বণ্টন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে ধারণা, তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র কবি এঁকেছেন। ইসলামের ইতিহাসে খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর শাসনকালকে সামাজিক ন্যায়বিচারের স্বর্ণযুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়। কথিত আছে, তাঁর শাসনামলে যাকাত গ্রহণ করার মতো দরিদ্র মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না। ক্ষুধার্ত প্রজাদের অবস্থা নিজ চোখে দেখার জন্য তিনি রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন। ফুরাত নদীর তীরে একটি কুকুর না খেয়ে মারা গেলেও তার জন্য উমরকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে -এই ছিল তাঁর উপলব্ধির গভীরতা। ফররুখ আহমদ আউলাদ কবিতায় সেই আদর্শ খলিফার শাসনের সাথে তাঁর সমকালীন শোষক শ্রেণীর তুলনা করেছেন। “নারী হলো লুণ্ঠিতা গণিকা” - এই পঙক্তিটি কেবল নারীর অবমাননা নয়, বরং সামগ্রিক সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত রূপকে প্রকাশ করে, যা ইসলামী মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিরোধী। ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করেছে, যেখানে কবির সমাজ নারীকে পরিণত করেছে পণ্যে। এই তীব্র বেদনা ও ক্ষোভ থেকেই কবি শোষক সভ্যতাকে অভিশাপ দিয়ে বলেছেন, ধ্বংস হও, তুমি ধ্বংস হও।

কবিতার গভীরে প্রোথিত আরেকটি তাত্ত্বিক ধারণা হলো আত্মপরিচয়ের সংকট এবং তা থেকে উত্তরণের প্রয়াস। কবি এই “আউলাদ” বা নতুন প্রজন্মকে তাদের প্রকৃত পরিচয় ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে চেয়েছেন। তারা কাদের বংশধর? তারা সেই সব “সাত সাগরের মাঝির উত্তরসূরি, যারা একদিন অজানা সমুদ্রে পাড়ি জমিয়েছিল বিশ্বাস ও সাহসের বলে। তারা সেই সব জ্ঞানতাপসের উত্তরাধিকারী, যারা হেরার আলোয় আলোকিত হয়ে অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করেছিল। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম সেই পরিচয় ভুলে “জাহান্নাম দ্বারপ্রান্তে” এসে দাঁড়িয়েছে। এই আত্মবিস্মৃতিই মুসলিম সমাজের পতনের মূল কারণ বলে কবি মনে করেন। ইসলামী ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দেখলে, মুসলমানদের উত্থানের পেছনে মূল চালিকাশক্তি ছিল তাদের ঈমান বা বিশ্বাস এবং জ্ঞানভিত্তিক এক সুদৃঢ় আত্মপরিচয়। তারা নিজেদেরকে পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে মনে করত এবং পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাকে নিজেদের দায়িত্ব বলে গণ্য করত। এই বোধ যখনই লুপ্ত হয়েছে, তখনই তাদের উপর নেমে এসেছে বিপর্যয়। ফররুখ আহমদ এই ঐতিহাসিক সত্যকেই তাঁর কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। তিনি আত্মপরিচয়ের এই সংকটকে তুলে ধরেছেন প্রতীকীভাবে - “গর্বিতের পরিহাসে মানুষ হয়েছে দাস”। এই দাসত্ব কেবল রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক নয়, এ হলো মানসিক ও আত্মিক দাসত্ব, যা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন ঐতিহাসিক আত্মসচেতনতা।

‘আউলাদ’ কবিতার সমাপ্তি নিছক হতাশায় নয়, বরং তা অন্ধকারের বুক চিরে এক নতুন আশার উন্মোচন ঘটায়। এই অধঃপতিত ও জীবন্মৃত প্রজন্মকে কবি শুধু প্রশ্নই করেননি, বরং তাদের চেতনায় আঘাত হেনে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন এই জিজ্ঞাসার মাধ্যমে: “ভুলিবে কি এ নারকী মৃত্যুর যন্ত্রণা?” এই প্রশ্ন কেবল হাহাকার নয়, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে এক জাগরণের আহ্বান। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন এক অনিবার্য বিপ্লবের, এক নতুন প্রত্যূষের। তিনি দেখেছেন, “দিকে দিকে আজ জাগে শতাব্দির বিস্তৃত ক্রন্দন” এবং এই কান্না থেকেই জন্ম নেবে নতুন শক্তি। এই আশাবাদ ইসলামী ইতিহাসের মূল চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইসলামে হতাশার কোনো স্থান নেই। কুরআনে বারবার বলা হয়েছে, “আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না”। ইসলামের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়, মুসলমানরা বহুবার কঠিন সংকট ও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, কিন্তু ঈমানের শক্তিতে তারা ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসস্তূপ থেকে বারবার নতুন করে জেগে উঠেছে। ক্রুসেডের বিপর্যয়, তাতারদের বাগদাদ ধ্বংসের বিভীষিকা - কোনো কিছুই তাদের অগ্রযাত্রাকে চিরতরে থামিয়ে দিতে পারেনি। ইমাম গাজ্জালী, ইবনে তাইমিয়া, সালাহুদ্দিন আইয়ুবীর মতো ব্যক্তিত্বরা এসেছেন সংকটকালে ত্রাণকর্তা হিসেবে। ফররুখ আহমদ সেই ঐতিহাসিক পুনর্জাগরণের প্রেরণাতেই বিশ্বাসী। [৫] তিনি বিশ্বাস করেন, এই ঘুমন্ত “আউলাদ” একদিন জাগবেই। তাদের হাতের “কাস্তে, কোদাল, লাঙ্গল” আবার শস্য ফলাবে, তারা আবার তাদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করবে। কবিতার শেষে তিনি যে “বিপ্লব” এবং “নতুন দিনের” কথা বলেছেন, তা কোনো সহিংস বা ধ্বংসাত্মক বিপ্লব নয়, বরং এ হলো আত্মশুদ্ধি, আত্ম-আবিষ্কার এবং আদর্শিক পুনর্জন্মের বিপ্লব। এ হলো হেরার রাজতোরণের দিকে ফিরে যাওয়ার বিপ্লব, যেখান থেকে একদিন জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র পৃথিবীতে।

ফররুখ আহমদের ‘আউলাদ’ কবিতায় ব্যবহৃত ভাষা, শব্দচয়ন এবং চিত্রকল্প ইসলামী ঐতিহ্য ও ইতিহাস দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। আরবি-ফারসি শব্দের শৈল্পিক ব্যবহার, যেমন - ‘আউলাদ’, ‘জাহান্নাম’, ‘নারকী’, ‘ক্রন্দন’ ইত্যাদি, কবিতাটিকে এক স্বতন্ত্র মেজাজ ও গাম্ভীর্য দান করেছে। ‘মরু মাঠ’, ‘কাফেলা’, ‘হেরার রাজতোরণ’ - এই শব্দগুচ্ছগুলো পাঠককে অবচেতনভাবেই ইসলামী ইতিহাসের সেই কিংবদন্তিতুল্য সময়ে পরিভ্রমণ করায়। তিনি আরব্য উপন্যাসের কাহিনী বা ইসলামি পুরাকথাকে যেভাবে আধুনিক সংকট প্রকাশের জন্য ব্যবহার করেছেন, তা তাঁর কাব্যপ্রতিভার এক অনন্য স্বাক্ষর। ‘আউলাদ’ কবিতায় যদিও সরাসরি কোনো ঐতিহাসিক চরিত্রের নাম উল্লেখ নেই, কিন্তু এর প্রতিটি ছত্রে যে আদর্শিক সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে, তার অনুপ্রেরণা যে ইসলামী ইতিহাসের মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্বদের জীবন থেকে নেওয়া, তা সহজেই অনুমেয়।

উপসংহারে বলা যায়, ফররুখ আহমদের ‘আউলাদ’ কবিতাটি কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের সামাজিক বা রাজনৈতিক অবক্ষয়ের চিত্রায়ণ নয়, বরং এটি ইসলামী ইতিহাসের আলোকে এক গভীর তাত্ত্বিক বীক্ষণ। এই কবিতায় কবি দেখিয়েছেন কীভাবে একটি জাতি তার ঐতিহাসিক ও আদর্শিক মূল থেকে বিচ্যুত হলে অস্তিত্বের সংকটে পতিত হয়। তিনি একদিকে যেমন মুসলিম সমাজের আত্মবিস্মৃতি, শোষণ, বঞ্চনা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে তীব্র কষাঘাত করেছেন, তেমনি অন্যদিকে ইসলামী ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায় থেকে প্রেরণা নিয়ে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন। ‘আউলাদ’ বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তিনি কেবল করুণার চোখে দেখেননি, বরং তাদের মধ্যেই তিনি খুঁজেছেন পুনর্জাগরণের অসীম সম্ভাবনা। ইসলামী ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মানবতাবাদী এবং বিপ্লবী চেতনাকে পাথেয় করে এই ‘আউলাদ’ একদিন জেগে উঠবে এবং নিজেদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করে এক নতুন পৃথিবী নির্মাণ করবে - এই অপ্রতিরোধ্য আশাবাদই ‘আউলাদ’ কবিতাকে কালোত্তীর্ণ করেছে। এটি তাই নিছক একটি কবিতা নয়, বরং এক ঘুমন্ত জাতির প্রতি এক কবির মর্মস্পর্শী জাগরণী সঙ্গীত।