লেখিকা,

-- তাসলিমা পাটোয়ারী --

জাহেলিয়াত দাসপ্রথার আধুনিক সংস্করণ হল চাকুরী! শুনে হয়তো খুব অবাক বা আশ্চর্য হবেন কিন্ত এগুলো আগে কেউ ভেবেছেন কিনা জানি না তবে যদি ভেবে থাকেন তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আমার মনে হয়, আগের যুগে দাস ক্রয়-বিক্রয় হতো আর এখন একজন ব্যক্তির সত্ত্বাকে কিনে নেয়া হয় নির্দিষ্ট কিছু সময়ে, নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্য, নির্দিষ্ট কিছু টাকার বিনিময়ে। এই সময়ে ব্যক্তিকে যা কাজ নির্ধারণ করে দেয়া হবে সে তা করতে বাধ্য। হোক তা অফিশিয়াল কিংবা আন-অফিশিয়াল কাজ।

একটা বাড়ির গেট পাহারা দেন যে দারোয়ান; তার কিন্ত চাকুরি হলো-বাড়ি পাহারা দেয়া কিন্ত সেই সময়ের মধ্যে তাকে দিয়ে বাড়িতে যারা থাকেন তাদের বাজার করা, হুকুম শোনা, চা-বিস্কিট টানা এমনকি সিগারেট কিনে এনে দেয়ার কাজও করানো হয়।

সে যদি বলে যে, আমার ডিউটির মধ্যে এই কাজগুলি পড়ে না তাই আমি করতে পারবো না তাহলে আর তার চাকরি থাকবে না। আর চাকরি না থাকলেতো তার সাথে এই সমাজের কেউ মেয়েও বিয়ে দিবে না। বাবা-মায়েরা এখন শুধু চাকুরে পাত্র চান; হোক সে সরকারি বা বেসরকারি, পিয়ন কিবা অফিসার, একটা পোস্ট পেলেই হলো। অন্তত লোকের কাছে যেনো পরিচয় দেয়া যায় যে, আমার জামাতা চাকুরিজীবী।

আচ্ছা বলুন তো, আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তো সারা দুনিয়ার বাদশাহ ছিলেন। রাসূলে কারীম (সাঃ) এর জামাতা কোন বড় চাকুরি করতেন? তিনি (সা.) যখন নিজের কলিজার টুকরো কন্যাকে বিবাহ দিয়েছিলেন তখন তো আবু বকর (রাঃ) আরবের একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তা হলো কাপড়ের ব্যবসা। চাকুরিতে যদি এতোই বরকত থাকতো তাহলে সাহাবাগণ সবাই ব্যবসা না করে চাকুরে হতেন।

এখন অনেকেই যুক্তি দিবেন, তখন তো চাকুরির প্রচলন ছিলো না। আমি বলছি না যে, আপনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করুন। আমি এটাই বলতে চায় যে, আপনি যদি চাকরি না পান তাহলে হতাশ না হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে ব্যবসায় নেমে পড়ুন। চাকরি যদি কখনো পেয়ে যান তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আর না পেলে শ্রেষ্ঠ পেশা ব্যবসা। যে দশ, পনেরো, কুড়ি, পঁচিশ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকুরি করবেন সেই টাকা দিয়েই ব্যবসা শুরু করুন।

হ্যাঁ, অনেক আত্মীয় চাকুরির কথা শুনলে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার দিয়ে দেন, বিদেশ যাবার কথা শুনলে দেন কিন্ত ব্যবসার কথা বললে দিতে নারাজ। তাদের জন্য বলবো, আপনি প্রয়োজনে যা পুঁজি আছে তাই নিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়ুন অথবা গ্রামে কিছু জমি নিয়ে চাষাবাদ করুন। যেই এলাকায় যেই ফসলের অথবা ফলের ভালো ফলন হয় সেটাই করুন। পাঁচ বছর করুন দেখবেন আপনি মোটা অংকের কিছু টাকা পুঁজি করতে পারবেন।

আপনার চাষ ভালো না লাগলে, তখন ঐ টাকায় ব্যবসা করুন। নিজের জমি না থাকলে অন্যদের থেকে ২০-২৫ হাজার টাকায় এক বিঘা জমি এক বছরের জন্য ভাড়া নেন। কিন্ত আপনি শিক্ষিত হয়ে চাষ কিংবা ব্যবসাকে হীন ভেবে থাকলে কোনোদিন হতাশা ছাড়া আর কিছুই পাবেন না।

প্রয়োজনে আপনি ফলের বাগান করুন কারণ বর্তমানে ফলের চাষ খুবই লাভজনক। তা নাহলে অন্তত গরুন, ছাগল, ভেড়ার খামার দিবেন অথবা অল্প অল্প করে সব ধরনের শাকের চাষ করুন। এতে অল্প সময়ে ফসল উঠবে এবং খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি হবে। সব সময় সম্মানের কথা ভাববেন না কারণ বেশিরভাগ নবীগণ (সা.) কিন্ত রাখাল ছিলেন (মেষ, ছাগল পালতেন) তবুও আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবী ও আরশের বুকে শ্রেষ্ঠ সম্মানের জায়গা তৈরি করে দিয়েছেন। আপনাকেও আল্লাহ দিবেন কারণ আমাদের আল্লাহ তো ঐ আল্লাহ যিনি রাগের চেয়ে দয়া বেশি দেখান। ধর্মের অবমাননা এবং আল্লাহকে গালি দেয়ার পরেও আল্লাহ কাফের, মুশরিক, মুমিন সবাইকে সমানে আহার, অক্সিজেন, পানীয়, গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি দিয়ে থাকেন।

রাসূলের (সা.) যুগে কিন্ত অধিকাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী এবং চাষী। আরবের মানুষেরা সাধারণত গম, জব ও খেজুরের চাষ করতেন কারণ রুটি ছিল আরবের প্রধান খাদ্য।

ফল চাষ মূলতই একটি লাভজনক চাষ এবং পাশাপাশি লাভজনক ব্যবসা হিসেবেও প্রসিদ্ধ। আপনার যদি কিছু না থাকে এক টুকরো জমিতে শুধু কাগজি লেবুর বাগান করে ফেলেন। এক টাকা পিচ লেবু বিক্রি করলেও আপনার লস হবে না। আমাদের দেশে যে ফল ভালো চাষ হয়, কম বেশি লাভ হয় আপনি সেই চাষ করুন। এখন তো বাংলাদেশে সবকিছুই ফলন হয়। তন্মধ্যে কমলা, মাল্টা, লেবু, আঙ্গুর, আমড়া, পেপে, নারিকেল, পেয়ারা, ড্রাগন আরো জানা অজানা অনেক কিছু। কষ্ট করে একবার একটি বাগান করে ফেলুন, দেখবেন সারা বছর তার ফল ভোগ করতে পারবেন। আপনাকে দিয়ে আরো নতুন কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে।

আমি বলছি না যে, আপনিও আরবের মতো শুধুই খেজুরের চাষ করুন কারণ খেজুর বাংলাদেশে খুব কম হয় বা হয়না বললেই চলে।

রাসূল (সা.) নিরক্ষর হয়েও আল্লাহ তিনাকে সারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ ইচ্ছে করেই এটা করেছেন কারণ আল্লাহ চাননি মুহাম্মাদ (সা.) এর শিক্ষক আল্লাহ ব্যতীত দুনিয়ার কোনো নালায়েক মানুষ হোক। তাই আল্লাহ নিজেই জিব্রাঈল (আ.) এর মাধ্যমে তাকে শিখিয়েছেন সকল কিছু আর আল্লাহই রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শিক্ষক হয়েছেন। আমরা হাজার, কিবা লক্ষ, সার্টিফিকেট নিয়েও কি রাসূল (সা.) এর ঘোড়ার ক্ষুরের নীচের এক দানা বালুর সম পরিমাণ সম্মান অর্জন করতে পারবো?

যদি না-ই পারি তাহলে কেনো আমরা লেখাপড়া শিখে উদ্যোক্তা হতে বা ব্যবসা করতে লজ্জা পায়? অথচ যেখানে কোরআনের প্রথম নাজিল হওয়া আয়াত হলো, ‘ইক্বরা বিইসমি রব্বিকাল্লাযি খালাক্ব’। পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আপনি পড়ুন আল্লাহর জন্য আর লাভ ভোগ করুন ইহকাল ও পরকালে। আপনি পড়লে আপনিই হিসেবে পাকা হবেন আপনাকে কেউ ঠকাতে পারবে না, এতে আপনারই লাভ। আল্লাহ চান সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আপনাকে দক্ষ ও চৌকস করে গড়ে তুলতে।

আমরাতো সেই জ্ঞানার্জনই করতে নেমেছি যাতে আমাদের অন্তত কেউ নিরক্ষর না বলতে পারে, সহজে না ঠকাতে পারে। এজন্যই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ শিক্ষক আল্লাহর বন্ধু, হযরত মুহাম্মাদ (সা.) - কে আল্লাহ মু'মিন, মুসলিম ও অমুসলিম সকলের শিক্ষক হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ হযরত জিব্রাইল (আ.) এর মাধ্যমে সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জ্ঞান, বিজ্ঞান, সকল কিছু শিখিয়েছেন।

আমাদের জেহেনে আল্লাহ তায়ালা জ্ঞান দান করেছেন আর তা শানিত করার প্রধান হাতিয়ার হলো, পড়া। চাকুরিটাই যদি এতো প্রয়োজন হতো তাহলে আল্লাহ যেমন পাপী, তাপি, সবাইকে খাওয়াতে কার্পন্য করেন না তিনি আমাদের সবার জন্য চাকরি ফিক্সড করতেও কার্পন্য করতেন না। আজকাল চাকরি আমাদের ভেতরে সামাজিকভাবে এমন শক্তভাবে অবস্থান করে নিয়েছে যে, আমরা এখন চাকুরিজিবী ছাড়া অন্যদের সুপাত্র, সু-নাগরিক বা প্রথম স্তরের মানুষ হিসেবে মানতেই নারাজ। যেনো লেখাপড়ার মূল উদ্দেশ্যই হলো- চাকুরি করা অথচ ব্যবসায় আল্লাহ বরাকাহ দিয়েছেন ৯% আর পৃথিবীর সব পেশা মিলে দিয়েছেন ১%।

আসল কথা কি জানেন?

অন্ধত্বের প্রলেপ যার চোখে একবার আটকে যায় সে আর কখনোই দিনের আলোয় সবকিছু স্পষ্টভাবে দু'চোখে দেখতে পায় না। শুধু দুই চোখ কেন আরো কয়েক ডজন চোখ ধার করে লাগালেও তারা চিরকাল অন্ধই রয়ে যাবে। ঠিক তেমনই- দাসত্বের প্রলেপ যার অন্তরে একবার বাসা বাঁধে সে কখনো চাকুরে জীবন ছেড়ে সফল বণিক হয়ে উঠতে পারে না। যেখানে দাসত্বেই টাকা মিলে সেখানেতো আর শুধু শুধু বুদ্ধি খরচা করে ব্যবসাবৃত্তি করে লাভ না মেলাটাই স্বাভাবিক কারণ কষ্ট করে টাকা রোজগার সবার জন্য নয়। অথচ চাকুরিতে একটু অনিয়ম ও দুর্নিতী করলেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।

আর আমরা এসব হারাম পয়সাকেই বারাকাহ ভেবে নিয়েছি কারণ ওখানে কেউ জবাবদিহিতা করে না। কলমের খোঁচায় হিসেব এদিক ওদিক করলে কেউ ব্যক্তিকে চোর বলে গাছের সাথে বেঁধে পেটানোর বা সম্মানহানি করার কোনো সম্ভবনা থাকে না। অথচ কোনো বাচ্চা ছেলে যদি ক্ষুধার জ্বালায় পাঁচ টাকার একটি বন রুটিও চুরি করে খায় তাহলে আমরা তাকে গাছের সাথে পিঠমোড়া করে বেঁধে মারধর করি। এই হলো আমাদের সচেতন ও আধুনিক সামাজিকতা।

দাস আর চাকুরের একটিই তফাৎ, দাসেরা ভুল করলে শাস্তি দেয়া হতো আর চাকুরেরা ভুল করলে তাদের পানিশমেন্ট নেই, নেই কোনো জবাবদিহিতা। দাসেরা এক্সট্রা ইনকাম করতে পারতো না, দুর্নিতী করতে পারতো না, ঘুষ খেতে পারতো না আর এখনকার চাকুরিজীবী (চাকরেরা) যুগের উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে সেসব দুর্নিতীকে বৈধ করে নিয়েছে।

আহা চাকরি, আপনার বাবা গ্রামে মারা যায় অথচ আপনি ঢাকা থেকে এসে দিনের দিন বাবার জানাজা করতে পারেন না। আহা প্রবাস, মায়ের মরা মুখটাও দেখার সৌভাগ্য হয় না কলিজার টুকরা সন্তানের। এই হলো চাকুরি। মোবাইলের ছবিতে দেখতে হয় প্রিয় জন্মদাত্রি ‘মায়ের’ মৃত মুখাবয়ব। অথচ এই বাবা-মায়েরাই মেয়েকে বিবাহ দেয়ার জন্য চাকুরে ছেলে, চাকুরে ছেলে, জপতে জপতে মুখ দিয়ে রক্ত উঠিয়ে ফেলেন। চাকরিজীবী ছেলের কাছে মেয়ে না দিতে পারার আফসোসে, ৪৫ বছর বয়েই স্ট্রোক করে মারা যান মা। আহারে দুনিয়া, কি দিলো আর কি দিলো না?

অথচ কবরে জবাব দেয়ার কেউ নেই। কবরের প্রশ্ন যখন হবে, তোমার রব কে? তোমার দ্বীন কি? তোমার রাসূল কে?

যারা পারবেন তাদের জন্য চতুর্থ প্রশ্ন হলো, তুমি কোথা থেকে এগুলো জানলে?

নেককার ব্যক্তি বলবেন, আমি কোরআন পড়ে জেনেছি। আহা, এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের একাই দিতে হবে। কেউ সহযোগীতা করবে না। অথচ আপনি এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য এক সেকেন্ড সময় ব্যয় করতে পারেননি কারণ আপনি তখন ব্যস্ত ছিলেন, মেয়ের জন্য চাকুরে পাত্র খুঁজতে।

চাকুরে ছেলে পেলে অভিভাবকেরা একবারে সোনার টুকরো বলে দাবী করেন। আগে একবার বিয়ে হলেও যুবতী মেয়েকে তার কাছে বিয়ে দিতে অভিভাবকেরা দুই বার ভাবেন না। অথচ ছেলের ব্যবহার ভালো কিনা, নামাজ পড়ে কিনা, বাবা-মা ও আত্মীয়-প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করেন কিনা, এসব জানার প্রয়োজনই মনে করেন না, কুফু মেলানো তো অনেক দূরের কথা! অথচ কদিন পর মেয়ের উপর অত্যাচার হলে, এই অভিভাবকেরাই কোর্টের দুয়ারে ধর্ণা ধরে বসে থাকেন সৌদি স্টাইলে বিচার পাবার আশায়। আহা বিবেক, মেয়েকে বিবাহ করানোর সময় কোথায় ছিল আপনার সৌদিয়া বিবেক?

এই লেখায় লেখিকা তাসলিমা পাটোয়ারী আধুনিক চাকুরিজীবনকে জাহেলিয়াত যুগের দাসপ্রথার নব সংস্করণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, আজকের চাকরি আসলে একজন মানুষের সত্ত্বা, স্বাধীনতা ও চিন্তাশক্তিকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করার আরেক রূপ। দাসদের মতোই চাকুরেদেরও নির্দিষ্ট সময় ও কাজের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হয়; তারা মালিকের নির্দেশে কাজ করতে বাধ্য। তিনি সমাজের সেই মানসিকতাকে তীব্র সমালোচনা করেছেন, যেখানে পাত্র হিসেবে চাকুরেজীবীকেই শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়, অথচ ব্যবসায়ী, কৃষক বা শ্রমজীবী মানুষকে অবমূল্যায়ন করা হয়। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে লেখিকা দেখিয়েছেন— রাসূলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবীগণ ব্যবসা ও চাষাবাদকেই সম্মানজনক জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন; চাকুরি নয়।লেখিকার আহ্বান, হতাশ না হয়ে মানুষ যেন আল্লাহর উপর ভরসা করে ব্যবসা, চাষাবাদ বা অন্য কোনো স্বনির্ভর পেশায় মন দেয়। এতে যেমন আত্মমর্যাদা রক্ষা পায়, তেমনি আল্লাহর বরকতও লাভ হয়। শেষাংশে তিনি সমাজের ভণ্ড “চাকরি-প্রেমী” মানসিকতাকে ব্যঙ্গ করেছেন— যারা কন্যার বিয়েতে চরিত্র বা দ্বীন নয়, বরং চাকুরি দেখেন। অথচ মৃত্যুর পর কবরের প্রশ্নে চাকুরি নয়, কেবল ঈমান ও আমলই উত্তর দিতে সাহায্য করবে। মূল বার্তা: চাকুরি মানুষের স্বাধীন সত্ত্বাকে দাসত্বে পরিণত করে; কিন্তু ব্যবসা ও পরিশ্রম মানুষকে করে স্বাধীন, সম্মানিত ও বরকতময়।