ওমর বিশ্বাস

আসলে রশিদ কাকা অচেনা দুজনকে ওভাবে দেখে জাস্ট কৌতূহল বসে দোকানদারের সাথে গল্প করছিলেন। এখন শহরময় ছড়িয়ে পড়েছে গল্পটা। কেউ পাত্তা দেয়, কেউ দেয় না। কত গল্পই তো হয় সব কি আলোচনার মতো?

আসিফ একই কথা বারবার রিপিট হচ্ছে দেখে সেখান থেকে সরে পড়ে। মনে মনে ঠিক করে প্রয়োজন হলে রশিদ কাকার সাথে দেখা করবে। তাদের চিন্তার সাথে এর কোনো যোগসূত্র আছে নাকি তা আগে বের করতে হবে।

আসিফ স্কুলের বন্ধুদের সাথে কথা বলে। তারা একটা সূত্র আপাতত পেয়েছে যে, বৃষ্টির সাথে এর কিছু একটা সম্পর্ক হয়তো আছে। আরো কয়েকটা সূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। কালকের ঘটনা সত্যি কিনা তা আজকেও আবার পরীক্ষা করে দেখবে আসিফ। বৃষ্টি হলে কি হয় আর বৃষ্টি না হলে কি হয় উভয়টা জানতে হবে। কাল রাতে কে কি দেখল সেটা নিয়ে আলাপ হয়। নতুন কিছু না থাকায় তাদের গল্প অন্য দিকে ঘুরে যায়।

অনেকক্ষণ তারা একত্রে গল্প করছিল। এখন বাসায় যেতে হবে। এরমধ্যে একে একে কাটতে শুরু করেছে। আসিফও বাসার দিকে রওয়ানা হবে এমন সময় হঠাৎ থেমে যায়। সে সিফাতের কাঁধ মুঠোয় করে টেনে ধরে। সিফাতকে থামা দেখে অন্যরাও থেমে যায়।

শোন সিফাত। আসিফ বলে।

আবার কি? সিফাত জানতে চায়।

আসিফ সকালের রশিদ চাচার বিষয়টা বলল। সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনল। তিনি কি দেখেছেন, কখন দেখেছেন, সে যা যা শুনেছে সব বলার পর ওদের বলল, পয়েন্টা মাথায় রাখিছ।

সিফাত ওয়াও করে চেঁচিয়ে ওঠে। সবাই ওর দিকে তাকায়। ও বলল, আরে জায়গাটা তো মিলে গেছে রিফাতের সেই ঘটনার সাথে।

সত্যি তো, কিছু একটা হবে। চেঁচিয়ে ওঠে রিয়াজ। ওরাও সবাই হুররে বলে চিৎকার করে। অথচ রিয়াজের এসবের ওপর কোনো আগ্রহ নেই। তার ধারণা, এর মধ্যে গেলে পরে সে কোনো এক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারে। কে যায় যতসব ঝামেলায়। সে কিছুতেই কোনো বিষয়ে বন্ধুদের সাথে যোগ দিতে চায় না। প্রথম প্রথম থাকবে বলে পরে কেটে পড়ে। তবে তার বাসা থেকে কোনো ঝামেলা নাই। বরং বাসার সবাই চান সে যেন একটু আলো-বাতাসের ভিতর বেড়ে ওঠে। আর রিয়াজ চায় সব ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে।

সেদিন রাতে আসিফ আবার একটা সেট তার ঘরে নিয়ে রাখে। বৃষ্টি হবে না আজ। তবু যদি বৃষ্টি হয় তাহলে সে দেখবে কি করে? আসলেই বৃষ্টির সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা বের করতে হবে। আসিফ আকাশের দিকে চেয়ে থাকে। (চলবে)