স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুরঃ
গাজীপুরের পিরুজালীর নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ।
হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং দুই পুত্র নিশাত ও নিনিত আগের দিন থেকেই নুহাশপল্লীতে অবস্থান করেন। শনিবার সকালে ভক্তরা হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও কবর জিয়ারত করেন। উপস্থিত ছিলেন হিমু পরিবহন-এর সদস্যরাও।
পরে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদের আজীবনের ইচ্ছা ছিল তার বই আন্তর্জাতিক পেঙ্গুইন প্রকাশনা থেকে বের হোক। সেই স্বপ্ন এবার পূরণ হতে চলেছে—পেঙ্গুইনের সাথে প্রকাশ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, শিগগিরই প্রকাশিত হবে তার বই।
তিনি আরও জানান, হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। তবে ভবিষ্যতে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অনন্য প্রকাশনীর মাজহারুল ইসলাম, ধী প্রকাশনীর আব্দুল্লাহ নাছরে, কাকলি প্রকাশনীর নাসির আহমেদ সেলিমসহ গুণীজন ও ভক্তরা।
নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, সকালে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় দুটি মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের খাওয়ানো হয় শাওন ও তাঁর দুই পুত্রের হাতে।
ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে হুমায়ূনপ্রেমীদের আগমন।
উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাকে তাঁর স্বপ্নের নুহাশপল্লীর লিচুতলায় সমাহিত করা হয়।
উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্রে সমানভাবে জনপ্রিয় এ সাহিত্যিকের রচনার তালিকায় রয়েছে— নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, দারুচিনি দ্বীপ, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, জোছনা ও জননীর গল্প ইত্যাদি।