জাকির হুসাইন
শৈল্পিক নান্দনিকতা ও ইতিহাস সংরক্ষণের তাগিদ যে মোহনায় গিয়ে মিলিত হয়, সেখানে তৈরি হয় অমোঘ বাস্তবতার এক আকরলিপি। এখানে আমরা তার নাম দিই ‘সাক্ষাৎকার গ্রন্থ’। যেখানে ব্যক্তি-মানস হারিয়ে যায় ‘স্মৃতির মেঘলা ভোরে’; ফেলে আসা সময়ের অলিগলি ধরে হেঁটে আসেন পুনরায় নতুন করে; ঘুম-ঘোরে থাকা ইতিহাসের ‘প্রিয় (কিংবা অপ্রিয়!) পদরেখা’ ধরে ধরে হাঁটতে থাকেন প্রশ্নকর্তা ও শ্রোতার সম্মুখেÑসেসব চিত্রকল্প আবদ্ধ হয় কালির অক্ষরে। যার মাধ্যমে বর্তমানের বাসিন্দাদের সামনে হাজির হয় অতীতের আয়না; তৈরি হয় আপন সময়ের অবয়বকে নেপথ্য থেকে আবিষ্কার করার এক মহৎ সুযোগ। অতএব, একটি মানোত্তীর্ণ সাক্ষাৎকার-গ্রন্থ একই সাথে ইতিহাসের সাক্ষী ও বর্তমানের দর্পণÑএ দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে পারে। সেজন্য তাৎপর্য, প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব ও অপরিহার্যতার বিচারে এটি সাহিত্যের স্বতন্ত্র অনস্বীকার্য এক জনরা হয়ে হাত ধরাধরি করে বিকশিত হয় কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও অন্যান্য জনরার পাশাপাশি।
সাহিত্য যেহেতু জীবন ও জগতের নান্দনিক চিত্রকল্প আয়োজনের মাধ্যমে বিবিধ বোধ ও বিবেচনার অনুষঙ্গ হাজির করে, সাক্ষাৎকার গ্রন্থ তাই আনকোরা জীবনের বর্ণিল ক্যানভাস তুলে ধরার মাধ্যমে সাহিত্যের অঙ্গনে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করে নেয়। এসব দৃষ্টিভঙ্গি আমলে নিয়ে দেখলে, “জননেতার মুখোমুখি” গ্রন্থটি ব্যক্তির অনুভব ও চিন্তা-ভাবনার জগত উন্মোচনের পাশাপাশি মানুষ ও সমাজের ইতিহাস লাগোয়া বয়ান উপস্থাপন করেছে সফলভাবে; যা খুব ভালোভাবেই গ্রন্থটির মানোত্তীর্ণ হবার রশদ জোগাতে পেরেছে। জননেতা শিরোনামে পাঠকের সামনে উপস্থাপিত হয়েছেন গাজী নজরুল ইসলাম; যিনি দেশের দক্ষিণ অঞ্চল তথা উপকূল ঘেঁষা সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে নির্বাচিত দুই বারের সংসদ সদস্য। সেই সূত্রে এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক; জনমানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া এক বিরল ব্যক্তিত্ব। গ্রন্থটি যতটুকু তার পরিচয় তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা পেশ করে, তারচেয়ে বেশি ফোকাস করে ব্যক্তি নজরুল ইসলাম থেকে কীভাবে জনপদের স্বপ্নের সাথে, মুক্তির সাথে তার চিন্তা ও কর্ম একাকার হয়ে পূর্ণতার দিকে ধাবমান রয়েছেÑ সেই বয়ান। এসব বিবেচনা-ই তৈরি করে দেয় গাজী নজরুল ইসলাম কে আশ্রয় করে গ্রন্থ প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা, তাকে পাঠ করার আবশ্যকতা, তাকে ধারণ করার তত্ত্ব ও ব্যবহারিক পাটাতন।
মানুষের জীবন ও জনপদ গতিশীল থাকে বিবিধ নিয়ামকে। বস্তুগত প্রয়োজনে মানুষ ছুটে চললেও অনেক ক্ষেত্রে অবহেলায় উপেক্ষায় পড়ে থাকে পার্থিব ও পরকালীন জীবনের সমন্বয় সাধনের আবশ্যক দায়িত্ব। সেই দায়িত্বের কথা, সমন্বয়ের রূপরেখা যে আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার জনপদে জনপদে ছড়িয়ে পড়ে সত্তুরের দশকের শেষ কিংবা আশির দশকের শুরুর দিকে, সেই আন্দোলনের বুনিয়াদ সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কয়েকজন ব্যক্তিত্ব বিশেষ ভূমিকা পালন করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি গাজী নজরুল ইসলাম। তাই, আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগরের ইসলাম ও মুসলিমদের সাম্প্রতিক ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাস ও তৎপরতার সাথে সংলগ্ন হয়ে আছে গাজী নজরুল ইসলামের নাম। সেই নাম, সেই ব্যক্তিত্বকে পাঠকের সামনে হাজির করা হয়েছে ‘জননেতার মুখোমুখি’ শিরোনামের গ্রন্থে। যেখানে পাঠক একই সাথে পাঠ করবেন ব্যক্তি নজরুল ইসলামের চিন্তা, অনুভব ও পরিকল্পনার বর্ণনা এবং সেই সাথে সংলগ্ন ইতিহাসকেও। গ্রন্থটির ব্যাক কাভারের বক্তব্য থেকে ‘জননেতার’ ব্যাপারে চমৎকার মন্তব্য প্রকাশ পায়,
“মানুষ পৃথিবীতে আসে প্রতিনিধিত্বের এক গুরুভার কাঁধে নিয়ে। ধাপে ধাপে বেড়ে ওঠা শিশুকে তার কাঁচা রোদের ভোর হওয়া শৈশব, লকলকে কৈশোর, গনগনে যৌবন আর গোধূলি বেলার স্তিমিত বার্ধক্য পেরিয়ে গিয়ে দাঁড়াতে হয় ফিরে যাওয়ার খোলা দরোজার সামনে। এই পথ পেরুনোর সময়কালে সীমাহীন প্রতিবন্ধকতা ও প্রহেলিকাময় অনিবার্য বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। ফলে কেউ হারিয়ে যায় বিস্মৃতির স্তুপের ভেতর, আবার কেউ নিজেকে জানান দিয়ে রয়ে যায় সময়ের অক্ষরে লেখা জ্বলজ্বলে ইতিহাসের অংশ হয়ে। যে ইতিহাস সংরক্ষিত হয় মানুষের স্মৃতিতে আর কালির হরফে সাদা কাগজের জমিনে।
গাজী নজরুল ইসলাম প্রতিনিধিত্বের সেই বোধ ও বিশ্বাসকে জাগরূক রেখে তৎপর থেকেছেন জীবনের ধাপে ধাপে। বিশ্বাস ও কর্মতৎপরতার বাঁক বদলে বৈচিত্র্যপূর্ণ পদরেখা এঁকেছেন সময়ের পরিক্রমার পথে পথে। কর্মবৈচিত্র্যে ভরপুর জীবনকে যাপন শুধু নয়, করেছেন উদ্যাপনের বিবিধ আয়োজন। নিজের সেইসব পদরেখার চিত্রকল্প ভাগাভাগি করে নিয়েছেন পাঠকের সাথে একান্ত আলাপনে”।
দশটি শিরোনামের অধীনে ভাগ করা হয়েছে সম্পূর্ণ আলাপচারিতাকে। প্রথম পর্ব, শৈশবের স্মৃতিচারণ থেকে উঠে এসেছে সেসময়কার পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থার কিছু চিত্রকল্প। সকালে বইখাতা বগলে চেপে স্কুলে যাওয়া, স্কুল থেকে ফেরার পথে সরু খালের ধারে সহপাঠীদের সাথে দুরন্ত খেলায় মেতে ওঠার বর্ণনা পাঠকের সামনে সেইসব অতীতকে যেন তরতাজা করে তুলে ধরে। কেরোসিনের কমলা আলোয় বারান্দায় রাত জেগে পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের সেইসব দিনগুলো যেন আলাপচারিতায় আরও একবার হারিয়ে যাওয়া আর্থ-সামাজিক অতীতকে সামনে নিয়ে আসে। এছাড়া, সেসময়কার সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক, নৈতিকÑইত্যাদি অঙ্গনের সাবলীল বর্ণনা (পৃষ্ঠা ৪২-৪৯) থেকে গাজীর দেখার চোখের পারঙ্গমতা ফুটে উঠেছে চমৎকারভাবে। ব্যতিক্রমী এই দেখার চোখই গাজীকে একজন সাহিত্য অনুরাগী ও চর্চাকারী হিসেবেও পাঠকের সামনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। গ্রন্থভুক্ত আলাপচারিতার একপর্যায়ে আমরা জানতে পারি, গাজীর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পাঁচেরও অধিক এবং একাধিক অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি জমা হয়ে আছে আলমারিতে।
গাজী নজরুল ইসলাম হঠাৎ করে জন পরিসরে আলোচনাযোগ্য হয়ে উঠেননি; তিলে তিলে গড়ে উঠতে হয়েছে সময়ের পরিক্রমায়; তৈরি হতে হয়েছে ভবিষ্যতের জন্য। সেই পরিক্রমায় পিতামাতার কথাবার্তা, প্রতিবেশীদের সাথে ওঠাবসা, অল্প বয়স থেকেই ধার্মিকতার অনুশীলন গাজী নজরুল ইসলামকে যেন ধারাবাহিকভাবে এক গুরুদায়িত্ব পালনের উপযুক্ত করে গড়ে তুলেছে। ভবিষ্যতে যে দায়িত্ব পালনের জন্য এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী তাকে স্বাধীন মতামতের দ্বারা নির্বাচিত করবেÑসে কথা হয়ত শৈশব, কৈশোর আর যৌবনের নজরুল ইসলাম জানতেন না কিন্তু এই দিনের জন্য তিনি তৈরি হয়েছেন ধাপে ধাপে। সে কথার প্রমাণ পাওয়া যায় তার আন্তরিক প্রচেষ্টা, পড়ালেখা এবং দূর শহরের লোভনীয় চাকরী ছেড়ে দিয়ে নিজ এলাকায় চলে আসার বর্ণনা থেকে। যেমনটা বইয়ের শুরুতে সংযুক্ত প্রফেসর ড. কামরুল হাসানের লেখা মূল্যবান ভূমিকায় উঠে এসেছে-
“নেতা হওয়া অতীব সহজ। তবে জননেতা হওয়া ততোধিক কঠিন। জননেতা রাষ্ট্রীয় কোনো পদবি নয়। বরং এটি জনসাধারণের দেওয়া এক মূল্যবান উপহার। অধিক সত্য কথা এটিই যে, জননেতা জনতার ভালোবাসার অন্য নাম। স্মরণ্য বিষয় হলো- জননেতার পদবি স্মারক ধারণ করা কিয়দ পরিশ্রমের। আর এ পদবির মর্যাদা রক্ষা, এর উপর অটল থাকা, এ পদবিকে কলঙ্কিত হতে না দেওয়া অবশ্যই সুবিশাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া থেকেও কঠিন। [......] তিলে তিলে গড়ে ওঠা; শৈশব হতে কৈশোর-যুবক সর্বত্র যার জনসেবার নান্দনিক প্রয়াসে ভরপুর। [......] পরোপকারের অদম্য প্রয়াস, নৈতিকতার নিরবচ্ছিন্ন লালন, সত্যের নির্ভীক পরিপোষণ, শুভ এবং সুন্দরের বিক্রমী লালনই তাকে এই অভিধায় ভূষিত করেছে”।
দেশ, মা ও মাটির সাথে যার হৃদয়জ সম্পর্ক। দেশ ও জাতির সংকটে, মাটির সম্মান রক্ষার প্রয়োজনে তিনি যৌবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছেন নির্দ্বিধায়; অস্ত্র হাতে অংশগ্রহণ করেছেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে। ঠিক যেমনটা আমরা কবি হেলাল হাফিজের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘ যে জলে আগুন জ্বলে’ এর কিংবদন্তি পঙ্ক্তিতে পাই- “এখন যৌবন যার/যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়”। দ্রোহের কাব্যের বাস্তব চিত্র যেন গাজী নজরুল ইসলাম। তখনকার অনুভূতি তার কথাতেই উল্লেখ করতে হয়, “যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তখন আমার বয়স ১৯ বছর। দৌলতপুর বি. এল. কলেজের ছাত্র। [......] শুধু আমার বাড়িকে নয়, দেশের সকল বাড়িগুলোকে রক্ষা করতে হবে। আমার মত সকল যুবকদের বাঁচাতে হবে, তাই আর বিলম্ব না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বের হলাম। [......] খাল-বিল পুকুর, নদী প্রান্তর দীর্ঘ পথ অস্ত্র কাঁধে দলবদ্ধভাবে কতবার কোথায় গিয়েছি, আজ ৫২ বছর পর তা শুধুই স্মৃতি (পৃষ্ঠা ৫২-৫৩)”।
পরিণত বয়সে পৌঁছে গাজী নজরুল জনপদের নেতা ও সেবক হয়েÑদুই বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েÑআবারও বাস্তবিক প্রমাণ দিয়েছেন তার দেশপ্রেম ও মানুষপ্রেমের। সবকিছুর প্রতিদান এই পৃথিবীতে পাওয়া যায় না সমানভাবে, তাই তো এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে তিনি সম্মুখীন হয়েছেন বারবার মামলা, জেল-জুলুম, কারাবরণ আর নজরবন্দীত্বের মতো দুর্বিষহ সময়ের। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দেওয়া প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালনে যেমন নিষ্ঠা ও সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, লেখালেখি, বক্তব্য বিবৃতি ও জাতীয় সংসদের বক্তৃতার মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের চিন্তা ও পরিকল্পনা ছড়িয়ে দিয়েছেন বৃহৎ পরিসরে (পৃষ্ঠা ৫০, ৭৮-৮৩, ৯৪)। এসব বস্তুনিষ্ঠ পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পাঠান্তে আমাদের কাছে ফাঁপা বুলির মতো মনে হবে না, বরং অজান্তেই মনে হবেÑমাটি ও মানুষের কাছাকাছি থেকে জনপদের দুর্দশা ও সংকটকে আপন করে নিয়ে হৃদয় থেকে উৎসারিত কথামালা যেন সেগুলো। সেই সাথে বিজ্ঞোচিত ভঙ্গীতে কথা বলেছেন, জাতীয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিবিধ সংকট ও সম্ভাবনার ব্যাপারে (পৃষ্ঠা ১৫৯-১৭৬)। যা আমাদের কাছে গাজী নজরুল ইসলামের পারঙ্গমতার বিবিধ দিকের উন্মোচন করে সহজেই। প্রকাশ করে দেয় বয়সকে হার মানিয়ে তারুণ্যের আমেজে তৎপর থাকা গাজীর বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিত্বকে। যেমনটা সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী অত্র গ্রন্থের সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদের কলাম থেকেও প্রকাশ পেয়েছে- “জীবনের পরিণত বয়সে পা রেখেছেন তিনি। পেশাগত জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে তিনি এখনো চলেন আঠারো বছরের টগবগে তরুণের মতো”।
অতিবাহিত হয়ে যাওয়া প্রতিটি সময়ই হয়ত ইতিহাস হয়ে থাকবার মতো কাঁচামাল সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় কিন্তু সেই সময়কে ধারণ করবার, গুছিয়ে তুলে আনবার আয়োজনের অনুপস্থিতি আমাদের সবার জানা।
সেই আয়োজন ও উপযুক্ত প্রশ্নমালা সাজিয়ে প্রকাশযোগ্য ঐতিহাসিক বয়ান তুলে আনবার কৃতিত্ব দিতে হয় অত্র গ্রন্থের সম্পাদক ও প্রশ্নকারী ইয়াসিন মাহমুদকে, তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ছাপ লেগে আছে মূল্যবান এই গ্রন্থের পাতায় পাতায়। সবমিলিয়ে ইতিহাসের অপরিহার্য অনুষঙ্গকে সংরক্ষণ করার তাগিদ যারা অনুভব করেছেন, তারাই হাতে নিয়েছেন এই মহৎ ব্যক্তিত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট ইতিহাসকে বইয়ের পাতায় লিপিবদ্ধ করার এই বৃহৎ কলেবরের দায়িত্ব ও কর্মযজ্ঞ। তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইতি টানতে হচ্ছে গ্রন্থালাপটি।