বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বরাবরই প্রামাণ্য ইসলামী গ্রন্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফাউন্ডেশন প্রকাশ করেছে বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে জালালাইন” । কুরআন তাফসীরের ইতিহাসে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী সংযোজন, যা দীর্ঘকাল ধরে মুসলিম সমাজে অতি জনপ্রিয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংস্করণটি মোট তিন খণ্ডে সমাপ্ত এবং বাংলাভাষী পাঠকের জন্য সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপিত। “তাফসীরে জালালাইন” নামটি এসেছে দুইজন বিশিষ্ট আলেমের নাম থেকে, ইমাম জালালুদ্দীন মাহালি (রহ.) এবং ইমাম জালালুদ্দীন সিউতি (রহ.)। মাহালি (রহ.) সূরা কাহফ থেকে সূরা নাস পর্যন্ত তাফসীর রচনা করেন। পরে তাঁর মৃত্যুর পর সিউতি (রহ.) সূরা ফাতিহা থেকে সূরা ইসরা পর্যন্ত অংশ রচনা করে পুরো তাফসীর সম্পন্ন করেন। তাই এর নামকরণ হয়েছে “জালালাইন” বা “দুই জালাল”-এর তাফসীর। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংস্করণটি তিন খণ্ডে সুসম্পন্ন ও সহজপাঠ্য রূপে প্রকাশিত হয়েছে। এতে রয়েছে প্রাঞ্জল বাংলা অনুবাদ, কঠিন আরবি শব্দের সহজ ব্যাখ্যা, টীকা ও প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা সংযোজন এবং শিক্ষার্থী, গবেষক ও সাধারণ পাঠকের উপযোগী ভাষা। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজে “তাফসীরে জালালাইন” একটি নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ সংস্করণ পাঠকের কাছে আরও বোধগম্য ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। কুরআনের অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রেক্ষাপট বুঝতে এ গ্রন্থের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত “তাফসীরে জালালাইন (৩ খণ্ডে সমাপ্ত)” নিঃসন্দেহে কুরআন শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক অবদান। সহজ ভাষা, সংক্ষিপ্ত অথচ নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যার কারণে এটি শিক্ষার্থী, গবেষক ও সাধারণ পাঠকের জন্য অপরিহার্য গ্রন্থ হয়ে উঠেছে। এই গ্রন্থটি এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যাচ্ছে। বিশ্বস্ত ইসলামী অনলাইন বুকশপ ‘ইসলামিক বণিক ডটকম’-এ বইটি অর্ডার করা যাবে। ওয়েবসাইট : www.islamicbonik.com। বিস্তারিত তথ্য জানতে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭১৯-৩০১৮২৭ নম্বরে। এছাড়া ইউটিউবে এই নম্বর দিয়ে সার্চ করেও ইসলামী বইয়ের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে।
বই
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ‘তাফসীরে জালালাইন’, ঘরে ঘরে কুরআন শিক্ষার অনন্য উদ্যোগ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশ করেছে বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে জালালাইন” । কুরআন তাফসীরের ইতিহাসে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী সংযোজন, যা দীর্ঘকাল ধরে মুসলিম সমাজে অতি জনপ্রিয়।
