মুহাম্মদ ইসমাঈল
বাংলা সাহিত্যে মুসলিম জাগরণের কবি ফররুখ আহমদ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গর্বিত নবাব। যিনি তাঁর সৃষ্টিসম্ভার দিয়ে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ করেছেন। ঋণী করেছেন বাঙালি জাতিকে। দীর্ঘ চার দশকের সাহিত্য সাধনায় তিনি বিপুল পরিমাণ সাহিত্য-শস্য রেখে গেছেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য; যার বৃহদংশই শিল্প, শৈলী ও সৃষ্টিশীলতার গুণে এখনও সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে আবেদনময়ী। কবি ফররুখের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, একজন আধুনিক ও সৃষ্টিশীল কবি হওয়ার পরও আত্মপরিচয় ভোলেননি কখনও। সাহিত্য সাধনার দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তিনি আত্মবিমুখ হননি। বরং তিনি তাঁর কাব্য ও রচনায় ‘বাঙালি মুসলিম’ পরিচয়টি জাগিয়ে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন বরাবর। সাহিত্য সমালোচক ড. আহমদ শরীফ ফররুখ আহমদের এই চেতনাবোধ সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের বাংলা ভাষায় স্বকীয় আদর্শে সাহিত্য সৃষ্টি করতে হবে, আদর্শ হবে কুরআনের শিক্ষা, আধার হবে মুসলিম ঐতিহ্যানুগ, বিষয়বস্তু হবে ব্যক্তি বা সমাজ অথবা বৃহদর্থে জগৎ ও জীবন। এভাবে আমাদের জাতীয় সাহিত্য ও জাতীয় জীবন গড়ে উঠবে। তরুণ কবি ফররুখ আহমদ একান্তভাবে মুসলিম ঐতিহ্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাব্য সাধনা করে পথের দিশারির গৌরব অর্জন করেছেন।’
তবে কবির ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধ যে সৃষ্টিশীলতা, কাব্যের অলংকার ও সাহিত্যের মান ক্ষুণ্ন করতে পারেনি সে সাক্ষ্য দিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমান। তিনি লিখেছেন, ‘তিনি মারা গেছেন একেবারে নিঃস্ব অবস্থায়। না, ভুল বললাম, নিঃস্ব কথাটা তাঁর জন্য প্রযোজ্য নয়। তাঁর মানসিক ঐশ্বর্যের কোনো কমতি ছিল না। তিনি রেখে গেছেন এমন কয়েকটি গ্রন্থ, যেগুলো পঠিত হবে দীর্ঘকাল।’
মুসলিম জাগরণের কবি হিসেবে ফররুখ আহমদ খ্যাতি পেলেও তাঁর কাব্যে মানবিকতা ও রসবোধের কমতি ছিল না। ইসলামি আদর্শই তাঁর কাব্যে মানুষ ও মানবিকতাকে মুখ্য করে তুলেছে। কবি আবু রুশদের ভাষায়, ‘ফররুখ আহমদ রোমান্টিক কবি।... তাঁর কাব্যে সৌন্দর্যের জয়গান অকুণ্ঠ। সুদূরের প্রতি আকর্ষণও তাঁর কাব্যের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। তবু তিনি নিঃসন্দেহে আধুনিক কবি। তাঁর একটি বলিষ্ঠ সজাগ তীক্ষè অনুভূতিশীল মন আছে, যা সৌন্দর্যের অস্তিত্বকে স্বীকার করার সাহস রাখে; কিন্তু রোমান্টিসিজমের বিপদ সম্পর্কে যা সর্বদা সচেতন।’
কবির এই অনুভূতিশীল মন কবিকে আরও বেশি মানবিক করে তোলে, মানুষ ও মানবতার মুক্তির তাড়নায় তাঁকে ব্যাকুল করে। জাগরণ বলি আর মুসলিম সমাজের সংস্কারের ডাক বলি, সব কিছুতেই কবির এই ব্যাকুলতার ছাপ ছিল স্পষ্ট।
যেমন-পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার অমানবিকতা ও রূঢ়তার বিরুদ্ধে কবি লেখেন, ‘তোমার শৃঙ্খলগত মাংসপিণ্ডে পদাঘাত হানি/নিয়ে যাবো জাহান্নাম দ্বারপ্রান্তে টানি/আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও/ধ্বংস হও, তুমি ধ্বংস হও।’ (লাশ/সাত সাগরের মাঝি। বাঙালি মুসলমানের রাজনৈতিক দুরবস্থায় কবিকে প্রতিবাদের ভাষা দেয়, ‘বাঙালি মুসলিম’ পরিচয়ে উদ্বুদ্ধ করে, রাজনৈতিক আত্মনিয়ন্ত্রণের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। কবি দেখেন, ‘বুদ্ধির মুক্তি’ স্লোগানে যে সাহিত্য আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তা মূলত পতিত মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজকে আত্মসমর্পণের মন্ত্রই শেখাচ্ছে। তাই তিনি ‘মুক্তির বুদ্ধি’র পরিবর্তে বাঙালি মুসলিম সমাজকে আত্মনিয়ন্ত্রণের মন্ত্র শেখানোর স্বপ্ন দেখেন।
তবে তাঁর জাগরণী মন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্লোগান প্রচলিত ইসলামি রাজনৈতিক চিন্তার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ ছিল না। বরং তিনি গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন বাঙালি মুসলিম সমাজে ধর্মচিন্তা থেকে রাজনৈতিক মতবাদ পর্যন্ত সব কিছুতে আমূল সংস্কার প্রয়োজন। তবে সেটা অবশ্যই সংস্কার, ইসলামের মৌলিক চেতনার অঙ্গহানি নয়। তাঁর ধর্মীয় মূল্যবোধ ও চেতনা এবং তাঁর সাহিত্যে তার প্রভাব সম্পর্কে আবুল ফজল লেখেন, ‘একটা সুনির্দিষ্ট মতাদর্শে প্রবল বিশ্বাসী থেকেও ফররুখ আহমদ বিশুদ্ধ কবি ছিলেন। এ কারণে আপন লক্ষ্যে সনিষ্ঠ থেকেও কবিতার নানা স্রোতে বিচরণ তাঁর পক্ষে সহজ হয়েছে। আদর্শনিষ্ঠ কবিতা সাধারণত একচোখা হয়ে থাকে। সুখের বিষয়, ফররুখ আহমদের বেলায় তা হয়নি।’
আর সৈয়দ আলী আহসান লিখেছেন, ‘ফররুখের কাব্যপ্রক্রিয়ায় যেহেতু একটা বিশ্বাসের উন্মুখরতা ছিল, তাই তার পাঠকের সংখ্যা আমাদের মাঝে সর্বাধিক। বিশ্বাসের সে একটা কল্লোলিত সমর্থন পেয়েছে। আবার ব্যবহৃত শব্দের পরিধির সার্থক বিবেচনায় এবং ধ্বনি সাম্যের কারণে অবিশ্বাসীরাও তাকে অগ্রাহ্য করতে পারেনি।’
কবি ফররুখ আহমদের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও সমাদৃত কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’র ভাষা ও ভাষ্য, ব্যাকুলতা ও আবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কবি একই সঙ্গে মুসলিম সমাজকে অতীত ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে উজ্জীবিত করছেন আবার তাদের পতিত জীবনযাপন দেখে ব্যথিত হচ্ছেন। তিনি তাদের সোনালি দিনের শোভা গ্রহণ করতে বলছেন, অতীতে ফিরে যেতে নিষেধ করছেন। আর অতীতে ফিরে না গিয়ে ঐতিহ্য ধারণের নামই সম্ভবত জাগরণ। এ ডাক দিয়ে যাওয়ায় ফররুখ আহমদ জাগরণের কবি।
আদর্শিক নিষ্ঠা, জাতির জন্য নিঃস্বার্থ নিবেদন কবি ফররুখ আহমদের জীবনের সৌন্দর্য। এই দৃঢ়তা একসময় কবির জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়ায়। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘খল’ হয়ে উঠতে না পারায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়। আদর্শের সঙ্গে আপস না করায় চাকরিচ্যুত হন তিনি। সীমাহীন সংকটের ভেতর দিয়ে জীবনাবসান ঘটে এই কবির। যে রাজনৈতিক চিন্তার কারণে ফররুখ আহমদকে সতীর্থরাই নির্বাসিত করেছিলেন, সে চিন্তা কিন্তু তাঁকে মোটেও সংকীর্ণ করতে পারেনি।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন শুরু হলে তিনি পাকিস্তান রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং বাঙালির অধিকারের পক্ষে কলম ধরেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা দৃঢ়ভাবেই আশা করা যায় যে পাকিস্তানের জনগণের বৃহৎ অংশের মতানুযায়ী পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নির্বাচিত হবে। যদি তা-ই হয়, তাহলে এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে বাংলা ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে।’ তিনি পাকিস্তানি শাসকদের সমালোচনা করে ‘রাজ-রাজরা’ নামে নাটক রচনা করেন।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান কবি ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কিশোর বয়স থেকে কবিতা রচনা করলেও ২৬ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয়। তাঁর অন্যান্য রচনার মধ্যে রয়েছে, ‘আজাদ কর পাকিস্তান’ (১৯৪৬), ‘সিরাজম মুনীরা’ (১৯৫২), ‘নৌফেল ও হাতেম’ (১৯৬১), ‘মুহূর্তের কবিতা’ (১৯৬৩), ‘হাতেম তা’য়ী’ (১৯৬৬), ‘ হে বন্য স্বপ্নেরা’ (১৯৭৬), ‘ইকবালের নির্বাচিত কবিতা’ (১৯৮০), ‘কাফেলা’ (১৯৮০), ‘হাবেদা মরুর কাহিনী’ (১৯৮১), ‘তসবির নামা’ (১৯৮৬), ‘দিলরুবা’ (১৯৯৪), ‘ঐতিহাসিক অনৈতিহাসিক কাব্য’ (১৯৯৪), ‘অনুস্বার’ ও ‘ ধোলাই কাব্য’।
শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত গ্রন্থের নাম ‘পাখীর বাসা’ (১৯৬৫), ‘হরফের ছড়া’ (১৯৬৮), ‘নতুন লেখা’ (১৯৬৯), ‘ছড়ার আসর’ (১৯৭৯), ‘চিড়িয়াখানা’ (১৯৮০), ‘কিস্সা কাহিনী’ (১৯৮৪), ‘মাহফিল ১ম ও ২য় খণ্ড’ (১৯৮৪) ও ‘ফুলের জলসা’ (১৯৮৫)।
সাহিত্যকর্মের জন্য ফররুখ আহমদ ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার প্রাইড: অব পারফরম্যান্স, ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার এবং একই বছরে ইউনেসকো পুরস্কার লাভ করেন। ইস্কার্টন গার্ডেনের সেই সরকারি বাসাতেই নানা দুঃখ-কষ্ট, অনাহারে-অর্ধাহারে এবং বিনা চিকিৎসায় কবি অবশেষে মৃত্যুবরণ করেন ১৯ অক্টোবর ১৯৭৪। মৃত্যুর পর তাঁকে ১৯৭৭ সালে একুশে পদক এবং ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
কবি ফররুখকে নিয়ে একটি সমৃদ্ধ পাঠকনন্দিত স্মারক বের করেছেন বদরুল ইসলাম মুনীর। এর পূর্বেও চারটি সংখ্যা বের করেছেন। প্রত্যেকটি সংখ্যাতে সম্পাদনার দারুণ ছাপ পরিলক্ষিত হয়। ফররুখকে নিয়ে যদি আমরা কিছু না জানি তা’হলে আমাদের সাহিত্য কিছু জানা হবে না।
আমরা ফররুখকে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখার সুযোগ পাইনি। দূরবীন দিয়ে যতটুকু দেখতে পেরেছি, তিনি ছিলেন আসলে আমাদের জীবন ও জগতের কবি। তথা আমাদের মননের কবি।
তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ কবি। ফররুখ আহমদের তুলনা তিনি নিজেই। ফররুখ আহমদকে মাপার যন্ত্র আমরা আজও আবিষ্কার করতে পারিনি।
কবির ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবিকে নিয়ে “ফররুখ আহমদ ৫০তম মৃত্যুবর্ষ স্মারক-২০২৪” প্রকাশিত হয়। সম্পাদক- “বদরুল ইসলাম মুনীর”। কবি ফররুখকে নিয়ে এ ধরনের স্মারক এরভাবে কেউ প্রকাশ করেননি আমার জানামতে।
বদরুল ইসলাম মুনীর কবি ফররুখকে নিয়ে ভাবেন, চিন্তা করেন। তার সাথে পারিবারিকভাবেও ফররুখকে নিয়ে জানাশুনা আছে। তাকে ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসা থেকেই আজকের আয়োজন। কবি ফররুখকে নিয়ে কোন স্মারক, বই পত্রিকা বা লেখা আলোচনা করার সেই দুঃসাহস আমার নেই। তবে এই স্মারকে আপনি কি কি পাবেন তা আপনাকে জানিয়ে দিলাম।
১৯৮৫ সালে বিবর্তন সূচনা সংখ্যা যখন বের হয় তখন লিখেছিলেন আবু জাফর শামসুদ্দীন, সরকার জয়েনউদ্দীন, সাঈদ-উর-রহমান, আতোয়ার রহমান, ড. এস.এম. লুৎফর রহমান, জুলফিকার আহমদ কিসমতী, বুলবুল সারোয়ার, এম.এ হোসেন পাটওয়ারী।
বিবর্তন স্মরণ সংখ্যা ১৯৮৬ সালে যারা লিখেছেন- কবি তালিম হোসেন, কামরুল হাসান, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, আলী ইমাম, খন্দকার আবুল হামিদ, আলী রিয়াজ, বদরুল ইসলাম মুনীর।
বিবর্তন স্মরণ সংখ্যা ১৯৮৭ সালে যারা লিখেছেন- সুফিয়া কামাল, আখতার উল-আলম, শাহাবুদ্দীন আহম্মদ, মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ, আবদুল মান্নান তালিব, ফজল শাহাবুদ্দীন, মুকুল চৌধুরী।
বিবর্তন স্মরণ সংখ্যা ১৯৮৮ যারা লিখেছেন- সৈয়দ মোহাম্মদ আলিনকি ও বিবর্তন সংঘের পরিচিতি ও কার্যক্রম নিয়ে সংখ্যাটি সমাপ্ত করেছেন কবি ফররুখকে নিয়ে।
দীর্ঘ বিরতির পর এবার অর্থাৎ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিবর্তন প্রকাশিত হয়। এবার যারা লিখেছেন- মোহাম্মদ আজম (মহাপরিচালক) বাংলা একাডেমি, আবদুল মান্নান সৈয়দ, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন, আবদুল হাই শিকদার, কুদরত-ই-হুদা, মাহবুব তালুকদার, মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন, মাহবুবুল হক, বদরুল ইসলাম মুনীর, মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ, বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, বদরুল ইসলাম মুনীর, বিবর্তন সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত।
বিবর্তনে আরো পাবেন- ফররুখ আহমদের ৭ পুত্রের দুলর্ভ ছবি (১২-০২-১৯৭১)। ফররুখকে লেখা বিভিন্ন চিঠি, পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রচারিত “নৌফেল ও হাতেম” এর চুক্তিনামা। ১৮৪ পৃষ্ঠায় বিবর্তন সংখ্যাটি প্রচ্ছদ করেছেন ফরিদী নুমান, সম্পাদকীয় যোগাযোগ-১২৭, আজিমপুর রোড, কনকচাঁপা, ঢাকা-১২০৫। | E mail: [email protected] মূল্য-২৪০ টাকা। স্মারকটি আমাদের গবেষণার কাজেও লাগবে আশা রাখি। বিবর্তনের কাজ নানামুখি। এগিয়ে যাক। এগিয়ে যাক ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল ইসলামের স্বপ্ন। যিনি আমাদের মাঝে নেই। আল্লাহ তাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।