ডিভোর্স ইংরেজি শব্দ যার অর্থ বিচ্ছেদ, ছাড়াছাড়ি, তালাক। অনেকে একে সেপারেশনও বলে থাকে। এক কথায় ডিভোর্স মানে হলো, আলাদা হওয়া। এখন ডিভোর্স সম্পর্কে আলোকপাত করতে গেলে আগেই এর বিপরীত যেটা সেটা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। যদিও সবাই সব জানেন তবুও বৃথা চেষ্টা করা এই আরকি। এখন বিচ্ছেদের বিপরীতে থাকে রিলেশন বা সম্পর্ক।
এই রিলেশন আবার অনেক ধরনের হয়। রিলেশন ইংরেজি শব্দ যার বাংলা হলো, সম্পর্কে জড়ানো বা আবদ্ধ হওয়া। এখন সে সম্পর্ক হতে পারে বন্ধুত্বের, পারিবারিক, আত্মীয়তার বা যেকোনো সম্পর্ক। আমরা আসলে রিলেশন বলতে যেটা বোঝাতে চাই তা হলো একটি ছেলে ও মেয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। এখন আপনি কাউকে অনুমান করে তার সম্পর্কে বলছেন যে, উনার রিলেশন আছে। যদি তাই হয় তাহলেতো সব মানুষই রিলেশনে আছেন।
আপনি, আমি, আমরা কেউই তো রিলেশন বা সম্পর্কের বাহিরে নয়। সম্পর্ক শব্দটি যখনি রিলেশন হয়েছে তখনি মানুষের নীচ দৃষ্টি সামনে এসেছে। ভালোবাসা শব্দটি যখন Love হয়েছে তখনি ভালবাসার পবিত্রতা লোপ পেয়েছে। কারো অভাব অনুভব করাটা যখন Miss করা হয়েছে তখনি তার সাথে kiss করা শব্দটি ছন্দাকারে জুড়ে পড়েছে আর এভাবেই নোংরামি ছড়িয়ে পড়েছে দিন দিন।
আগে ছেলে আর মেয়ে সম্পর্ক করলে বলতো লাইন করেছে। আগে ছেলে মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করলে বলতো বেরিয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে বদনামের বোঝাটা আপাদমস্তক পড়তো মেয়ের মাথার উপরে। তবুওতো এক রকম ছিল সে সময় আর এখন কি অবস্থা?
আগে মানুষ লুকিয়ে প্রেম করতো আর এখনকার প্রেম হলো কার্তিক মাসে.......এর মতো। সমাজের আনাচে কানাচে এখন নোংরামি ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ এখন অবৈধ সম্পর্ককে কিছু মনেই করে না।
অভিভাবকেরা চান যে, সন্তান অবৈধ সম্পর্ক যত খুশি করুক কিন্ত বিয়ে না করুক। বিয়ের আগে বাপের পকেট কেটে যে টাকা মেয়েদের পিছনে হরদম খরচ করছে তাতে কোনো অসুবিধে নেই কিন্ত হালালভাবে বিয়ে করিয়ে এটা করাতে বাবা মায়েদের ভীষণ আপত্তি। আর কেউ যদি চরিত্র রক্ষার্থে বিবাহ করেনও তখনি অভিভাবকেরা খরচ দেয়া বন্ধ করে দেন এবং তাদেরকে পরিবারে, সমাজে, পাড়ায়, মহল্লায় কোনঠাসা করে ফেলেন।
সমাজের মানুষের কাছে বদনাম করে করে তার ব্যক্তিত্বকে কলুষিত করার অপচেষ্টা চালান তারই আপন ভাই এবং বাবা, মা নামের অমানুষেরা অথচ দশ-বিশটা অবৈধ সম্পর্ক করে যে ছেলে - তার বিরুদ্ধে যদি কেউ অভিভাবকদের কাছে রিপোর্ট দেয় তারা বলে, এই বয়সে এমন একটু আধডু করবেই। এই দিন সবারই ছিল অথচ যে ছেলেটি হালালভাবে করছে সে সমাজের কাছে বাজে ছেলে। তার চরিত্র খারাপ তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বলে এই বয়সে বিয়ে করেছে এসব কথা বলেন অভিভাবক ও পাড়া প্রতিবেশীরা। যেন কি অন্যায় করে ফেলেছে বেচারা হালাল কাজ করে।
অবিভাবকদের অমানুষ বললাম এজন্য যে, এই সমাজে মানুষ পাওয়া আজকাল বড়ই দুষ্কর। যে বাবা আপনার ঘরে সুপারম্যান সে বাবা অন্যের ঘরে গিয়ে হয়ে যাচ্ছেন 'ধর্ষক'। যে 'মা' নিজের সন্তানের কাছে শ্রেষ্ঠ 'মা' তিনিই আবার অন্যের স্বামীকে নিয়ে পরকীয়ায় ব্যস্ত। অন্যের সংসারে অশান্তির কারণ হওয়ায় মাকে প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে অবাধে গালিগাজাল। আসলে আমি নারী পুরুষ কারো পক্ষে বা বিপক্ষে লিখছি না। আমি মানুষ এবং অমানুষের তফাৎটা শুধুমাত্র তুলে ধরছি। আমি মনে করি মানুষরূপী এসব পশুদের মুখোশ খুলে দেয়া দরকার।
এক দশক আগে কি কখনো শুনেছেন যে, শ্বাশুড়ি মেয়ের জামাইয়ের সাথে পালিয়ে বিবাহ করেছেন?
এক বোনের জামাইকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে তারই আরেক বোন, বাবা বিবাহ করছেন নিজের মেয়ের বান্ধবীকে, শিক্ষিকা বিবাহ করেছেন তারই পুত্রসম ছাত্রকে?
আগে শুনেছেন কখনো- শিক্ষক বিয়ে/ধর্ষণ করতেন ছাত্রীকে, ওস্তাদেরা বলাৎকার করতেন শিশু ছাত্রকে?
স্বাভাবিকভাবেই সবাই বলবেন দ্যাখেন নি, শুনেন নি কিন্ত আজকে প্রতি পঞ্চাশটি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবারে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে গ্রাম বা শহরের কোনো পার্থক্য নেই। যারা গ্রামের মানুষ সরল সোজা বলে গলা ফাটান তারা অনেকেই হয়তো গ্রামের মানুষের কুফরি কালাম বা (তাবিজের) বলি হন নি কোনোদিন। কবিরাজি করে কিভাবে মায়ের বুক থেকে সন্তান কেড়ে নিয়ে পুত্রহীন হওয়া ভাইয়ের সম্পত্তি লুট করা যায় তা কেবল গ্রামের সরল ও সহজ মানুষদের কাছেই আপনি পাবেন।
কীভাবে পুকুর ভর্তি মাছ বিষ দিয়ে মারতে হয় তা পাবেন, কীভাবে ভরা ফলের বাগান কেটে সাফ করতে হয় পাবেন, কীভাবে একটা ফুল বা ফলের গাছ লাগালে মাথাটা ভেঙে রাখতে হয় পাবেন, কীভাবে পাকা ধানে আগুন ধরাতে হয় পাবেন, কীভাবে পানের বরজে আগুন লাগায় পাবেন, কীভাবে ছাগলটাকে ভূট্টায় বিষ মিশিয়ে খাওয়াতে হয় তা পাবেন। আরও যেটা পাবেন তা হলো মালিকের গোয়াল থেকে গরু চুরি করে সেই গোয়ালে বসেই পিচ পিচ করে গরুর মাংস কেটে নিয়ে চলে যায় তারা। শহরেও পাবেন না এমন না তবে শহরে ক্ষতি করতে পারা মানুষের চাইতে টাকা কামাই করা ভন্ড কবিরাজ অনেক বেশি।
যাকগে ওসব কথা সেসব নিয়ে নাহয় অন্যদিন লিখবো। এখন বর্তমানে ফ্রি মিক্সিং এতোটাই বেড়েছে যে, জামাই শ্বাশুড়ি এক টেবিলে বসে ভাত খাচ্ছেন হাসতে হাসতে। অথচ আমাদের নানিরা, মায়েরা, জামাইয়ের সামনে যাওয়াতো দূরে থাক জামাইয়ের নাম শুনলেই মাথায় এক হাত ঘোমটা টেনে বসে থাকেন। খাবার সময় হলে মেয়েকে ডেকে খাবার পাঠিয়ে দেন ঘরে। এখন আর এসব দৃশ্য দেখা যায় না হোক তা গ্রামে কিংবা শহরে। এখন শ্বাশুড়ি নিজে জামাইদের প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন আর জামাইও আপ্যায়নে সন্তুষ্ট হচ্ছেন। আগের যুগে জামাই শ্বাশুড়ির মুখ না দেখলেও জামাই আদরে কমতি ছিল না। জামাই আসলে বাড়ির আস্ত মুরগীটা, বাজারের ফ্রেশ মাংস ও মাছটা আগে ঘরে আসতো এতেই জামাইয়েরা খুশি হতেন আর এখন শ্বাশুড়ি তুলে না দিলে জামাইদের নাকি আদর আপ্যায়ন হয় না! কি অদ্ভুত তাইনা?
এখন বেশিরভাগ ডিভোর্স হচ্ছে কয়েক শ্রেণীর মেয়েদের এবং তারা নিজেরাই খুশিমনে ডিভোর্স দিচ্ছেন স্বামীকে। কেন দিচ্ছে?
১. স্বামীর আয় কম এবং আনুগত্যহীনতা
২. স্বামী সময় দেয় না
৩.. মেয়ে চাকুরিজীবী
৪. স্বামী প্রবাসী
৫. অতিরিক্ত কাবিন এবং নামমাত্র কাবিন
৬. যা হবার হয়েছে মেয়ে মানুষ যেহেতু...
৭. যৌতুক
৮. নেশাখোর
৯. জয়েন্ট ফ্যামিলি ও পর্দা
১০. স্ত্রী তার মায়ের কথায় ওঠে ও বসে।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে আমি তা নিম্নে ক্রমানুসারে উল্লেখ করার চেষ্টা করছি।
১. স্বামীর ইনকাম কম এবং আনুগত্যহীনতা:
মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেদের আয় কম হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এখনকার মেয়েরা আগের যুগের মা, চাচীদের মতোন এক কাপড়ে বছর পার করতে কোনোভাবেই অভ্যস্ত এবং রাজি নয়। তারা এতোই উচ্চাকাঙ্খী ও অসহনশীল যে, অমুক ভাবি এই কিনল, তমুক ভাবি ওই কিনল, এখন আমাকেও কিনে দিতে হবে। দিতে হবে মানে দিতেই হবে। যদি দিতেই না পারবা তাহলে বিয়ে করেছ কেন? ইত্যাদি, ইত্যাদি।
তখন যেন সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার চরণগুলো পুরুষদের হৃদয়কে ভেদ করে যায়, "পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি"। আবার কেউ কেউ মনে মনে নজরুলকে গালিগালাজ দিয়েই বলেন, তোমার দারিদ্র তোমাকে মহান করলেও আমার দারিদ্র আমাকে কুখ্যাত করে তুলছে দিন দিন। এই সকল ছেলেরা বউয়ের চাপে অবৈধ ইনকামের প্রতি আসক্ত হচ্ছে দিন দিন। আর যারা পারে না অবৈধ রোজগার করতে তাদের বউ চলে যাচ্ছে, সংসার ভেঙে যাচ্ছে, বাচ্চাদের জীবন নষ্ট হচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে আগে মানুষ যেভাবে স্বামীর আনুগত্য করে সংসার করেছে বর্তমানে তার ছিটেফোঁটাও নেই। স্বামীকে তারা এখনো আপনি ছাড়া কথা বলেন না, যদিও আপনি বলতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। একটা সময় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছিল যখন একশো জনে নব্বই জন নারী স্বামীর মাইর খেয়েই জীবন পার করে দিয়েছেন, না পেয়েছেন ঠিকমতো ভাত, না পেয়েছেন একখানা মোটা কাপড় অথচ আজকে সবকিছু আছে কিন্ত নারীদের সংসারে মন নেই। এজন্য অনেক কিছুই দায়ী। আমি বলছিনা যে বউ পেটানো ভালো বা পিটেয়েই স্ত্রীকে টাইটে রাখতে হবে। আসলে এটি একটি ইসলাম বহির্ভূত কাজ, ইসলামের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক কাজ। তাই বউ পেটানোকে কোনোভাবেই বৈধতা দেয়ার কোনোরকম সুযোগ নেই। স্ত্রী হচ্ছে ঘরের ফুল যত যত্ন দিয়ে রাখবেন ততই কলিজা খুলে দিবে আপনাকে।
আগের মানুষ সারাজীবনে একদিন স্ত্রীকে " ভালবাসি" কথাটি বলতো কিনা তাও ঠিক নেই আর এখন তো বাচ্চারা জন্ম নিয়েই প্রথম ভাষা শিখে, I Love You. বলা। আর তারপর থেকে রাতদিন একই কথা ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি অথচ ভালবাসা নেই; বড়ই আশ্চর্যের ব্যাপার তাইনা?
হ্যাঁ, এই সমাজব্যবস্থার ভেতরে দিনে দিনে সেকুলারিজম ঢুকে পড়ে নিতী-নৈতিকতা, সম্মান সবকিছু গিলে খেয়ে ফেলেছে গোখরো সাপের মতো কিন্ত আমরা তা খালি চোখে দেখতে পাচ্ছি না। ভালবাসা শব্দটি উচ্চারণ করতে যদি লজ্জা না করে তাহলে স্বখানে ভালবাসা থাকেনা আর লজ্জা থাকলেই তা সুন্দর।
নারীকে পন্য বানানোর প্রবনতা আজ এতোই বেশি যে, নারী নিজেকে হাজার পুরুষের সামনে শো- আপ করতেই পছন্দ করেন। পুরুষরাও যে এক নারীতে সন্তুষ্ট বিষয়টি এমন নয়। এক শ্রেনীর কুলাঙ্গার পুরুষেরাই নারীকে পন্য বানাতে সাহায্য করছে।
এখন তো নারী রান্নাটাও ভুলতে বসেছেন কারণ চাকরিতে নারীর ৬০% কোটা। ভোরবেলা আর ঘুম থেকে ওঠা হয় না। সারাদিন অফিস করে রাতে রান্নার এনার্জি থাকেনা শরীরে। কাজের মানুষ মুখে বিষ তুলে দিলে ওইটুকুই অমৃত হিসেবে গলধকরণ করা ছাড়া উপায় কি?
আহা, চাকুরিতে এই সুবিধাটা যদি একজন ছেলের ক্ষেত্রে থাকতো তাহলে কত পরিবার যে সচ্ছল হতো তা বলার মতো না। অথচ ঐ চাকুরিজীবী নারী কিন্ত কোনো বেকার ছেলেকে বিবাহ করতে রাজি নয়। সেও আরেকজন চাকুরিজীবীকেই খুঁজে নেয়। তা নাহলে তো আর স্ট্যাটাস মিলে না আর স্ট্যাটাস না মিললে মানুষের আবার কত্ত রকম কথা!
এখন কথা হলো এই বেকার ছেলেগুলোর তাহলে কি হবে?
বেকারত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া তাদের অন্য কোনো উপায় নেই। কেউতো এখন সরকারি চাকুরে ছাড়া মেয়ে বিয়ে দিতেই রাজি নয়। তাহলে কেন মরণ ছাড়া উপায় নেই?
কারণ পরিবার চাকুরির জন্য দশ বিশ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চার পায়ে রাজি কিন্ত ব্যবসার জন্য একটা পয়সাও দিতে নারাজ অথচ শেষ বয়সে উপনীত হয়ে এই অভিভাবকদেরই সন্তানের প্রতি অভিযোগের শেষ থাকে না। এখন ডিভোর্সের সাথে আত্মহত্যা বাড়ারও একটি অন্যতম কারণ হলো, বেকারত্ব। যদিও সেসব এখন আলোচনার বিষয় না তাই আজকে বাদই থাকুক।
লেখার মূলভাব
তাসলিমা পাটোয়ারীর প্রবন্ধ “ডিভোর্স–০১” এ আধুনিক সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ ও নৈতিক অবক্ষয়ের মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। লেখাটি কেবল বিচ্ছেদের বিষয় নয়, বরং সমাজ, পরিবার ও সম্পর্কের ভাঙনের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে।
লেখিকার মতে, “রিলেশন”, “লাভ” ও “মিস” শব্দগুলোর বিকৃত ব্যবহার যেমন ভালোবাসার পবিত্রতাকে নষ্ট করেছে, তেমনি পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণে নষ্ট হচ্ছে সমাজের মূল্যবোধ। এখনকার মানুষ অবৈধ সম্পর্ককে স্বাভাবিক মনে করে, অথচ হালাল বিয়ে করলে সেই মানুষকে সমাজ তিরস্কার করে।
তিনি দেখিয়েছেন—অভিভাবক, পিতা-মাতা, এমনকি শিক্ষকরাও আজ নৈতিক অধঃপতনের দায় থেকে মুক্ত নন। সমাজে এমন সব অমানবিক সম্পর্ক ও আচরণ বেড়েছে যা আগে অকল্পনীয় ছিল।
ডিভোর্সের মূল কারণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন—
নারীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও ভোগবাদ,
স্বামীর কম আয় বা আনুগত্যহীনতা,
যৌতুক, চাকরি, প্রবাস, ও পরিবারে প্রভাবের দ্বন্দ্ব,
এবং পর্দা ও পারিবারিক শালীনতার অভাব।
প্রবন্ধের সারমর্ম হলো:
আধুনিক সভ্যতার মোড়কে আমরা এক নৈতিকভাবে ভাঙা সমাজে বাস করছি, যেখানে হালালকে লজ্জাজনক আর হারামকে স্বাভাবিক মনে করা হচ্ছে।
লেখিকা আহ্বান জানিয়েছেন— মানুষ ও অমানুষের পার্থক্য বুঝে, নৈতিকতা, পর্দা ও ইসলামী মূল্যবোধে ফিরে আসার।
লেখিকা : তাসলিমা পাটোয়ারী (আকলিমা)