জসমি উদ্দনি মনছুরি
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ( ১৮৯৯-১৯৭৬) পরাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটকাল থেকে ইসলামী ভাবধারা নিয়ে বেড়ে ওঠেন। শিশুকাল থেকে তাঁর অভাবনীয় প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটে। শত কষ্টে বেড়ে ওঠা নজরুল জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার জন্য এমন হেনো কাজ নেই করেননি। তিনি একাধারে মক্তবের শিক্ষক, মসজিদের মুয়াজ্জিন, সৈনিক নজরুল। সেনাবাহিনীতে দক্ষতার জন্য অল্প বয়সে হাবিলদার পদে উন্নীত হন । কবিরা ছকবদ্ধ জীবনে আবদ্ধ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করে না। কবিরা হয় সত্যের ধারক বাহক। স্বাধীন চেতা নজরুল ভারতবর্ষের পরাধীনতাকে মেনে নিতে পারেননি। তাঁর কন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে -
“কারার ঐ লৌহ কপাট
ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট
শিকল পূজার পাষাণ বেদী।”
নজরুলের এসব বিদ্রোহী কবিতা শুধুমাত্র তাঁর কন্ঠেই মানায়। তিনি সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। বিদ্রোহ করছেন সামাজিক বৈষম্যর বিরুদ্ধে। বিদ্রোহ করেছেন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তিনি বারবার কারাবরণ করেছেন। তিনি প্রাচীন রীতির বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। রবীন্দ্রনাথ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে তিনি স্বতন্ত্র ধারায় কাব্য রচনা করেছেন। তিনি রাতারাতি বিদ্রোহী কবিতার জন্য প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁর বিদ্রোহ ধ্বনিত হয়েছে কবিতায়, উপন্যাসে, গল্পে, কিবা গানে। তিনি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে স্বল্প সময়ে যে সাহিত্য ভাণ্ডার রেখে গেছেন তা বাংলা সাহিত্যে অকল্পনীয় । বাংলা সংবাদপত্রে তিনি যে অনন্য অবদান রেখে গেছেন তা ইতিহাসে কালজয়ী হয়ে থাকবে।
বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৮৩৯ সালের ১৪ জুন যুগসন্ধিক্ষণের কবি ঈশ্বর গুপ্তের সম্পাদনায় দৈনিক ‘সংবাদ প্রভাকর’প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রভাকরে তৎকালীন বড় বড় কবি সাহিত্যিকরা সাহিত্যকর্ম রচনা করে গেলেও রাজনৈতিক, সামাজিক ও বৈপ্লবিক কোন সংবাদ বা সম্পাদকীয় রচিত হয়নি। শাসকগোষ্ঠীর চক্ষুরাঙানিকে কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত উপেক্ষা করতে পারেননি। রাজনৈতিক চেতনার প্রথম স্ফূলিঙ্গের বিস্ফোরণ ঘটে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘হিন্দু পেট্রিয়ট’ । দ্বারকানাথ বিদ্যাভুষণ সম্পাদিত সাপ্তাহিক সোমপ্রকাশ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৫ নবেম্বর ১৮৫৮ সালে। কৃষ্ণকুমার মিত্রের সাপ্তাহিক ‘সঞ্জীবনী’প্রকাশিত হয় ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে। এসব পত্রিকায় রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন অপরাধচিত্র কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছিল । কিন্তু কবি কাজী নজরুল ইসলাম অদম্য সাহসিকতায় বিদ্রোহী সব রচনা কিংবা সম্পাদকীয় লিখে শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। নজরুল পূর্বসূরীদের মধ্যে বিপিন চন্দ্র পাল দ্বারা নজরুল কিছুটা হলেও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। এছাড়া ব্রহ্মবান্ধব উপাদ্যায় সম্পাদিত দৈনিক ‘সন্ধ্যা’ ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ‘যুগান্তর’ ; পত্রিকাটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন ভুবনেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁরা কিছুটা বিদ্রোহী সম্পাদকীয় ও স্বাধীনতার কথা বলায় ভূপেন্দ্রনাথ ও ব্রহ্মবান্ধবকে রাজদ্রোহীতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ব্রহ্মবান্ধব বিদেশী শাসকের বিচারকের সামনে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানান এবং তিনি কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় বসুমতি নামে একটি সাপ্তাহিক প্রকাশিত হয়। তখনকার দিনে প্রায় সব পত্রিকা হিন্দুদের দখলে ছিলো। মুসলমানদের কথা বলার জন্য তেমন কোন সংবাদপত্র ছিলো না। এরই মাঝে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নেতৃত্বে ‘নবযুগ’ প্রকাশিত হয়। তাঁকে সম্পাদকীয় লেখার জন্য হিন্দুদের দ্বারস্থ হতে হতো। আবুল কাশেম ফজলুল হক হিন্দুদের প্রতি আস্থা রাখতে পারছিলেন না। তখন তিনি যুগ্মভাবে সম্পাদক নিয়োগ দেন মোজাফফর আহমদ ও কাজী নজরুল ইসলামকে। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ভয় ছিলো যে, সম্পাদক দুজনেই মুসলমানের ছেলে হওয়ায় হয়তো তারা ভালো বাংলা লিখতে পারবেন না। তিনি তখনকার শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক ও লেখক পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়কে অর্থের বিনিময়ে সম্পাদকীয় লিখিয়ে নিতেন। কিন্তু পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশের মতো নিজস্বতা ছিলো না। টাকার বিনিময়ে তাঁকে দিয়ে যা খুশি তা লিখিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু নজরুল সম্পাদকীয়তে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনলেন। তিনি একের পর এক বিদ্রোহী সম্পাদকীয় লিখতে লাগলেন। যার ভাষাগত দক্ষতা সাহিত্যিক মূল্য গণসচেতনতা অসাধারণ ছিলো। নজরুলের বিদ্রোহী সম্পাদকীয়তে দেশের মানুষ বৈপ্লবিক হয়ে ওঠে। তাঁর বিখ্যাত সম্পাদকীয় গুলো এত ধারালো ছিলো যে কারণে স্বাধীনতার সংগ্রামে মানুষ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। নবযুগ প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠেছে হিন্দু মুসলিম উভয় সমাজের পাঠকের কাছে। এমনকি কর্তৃপক্ষ নবযুগের চাহিদা মেটাতে পারতেন না। পাঠক সমাজ হকারকে পত্রিকা প্রকাশিত হওয়ার আগেই অর্ডার দিয়ে রাখতেন। নবযুগে কাজ করার সময় নজরুলের অভাবনীয় প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে থাকে। এ সময় তাঁর সাংবাদিকসত্তা স্বাধীনতার জন্য গর্জে ওঠে। তিনি এক একটি বিদ্রোহী সম্পাদকীয় লিখে দেশের মানুষের কাছে জননন্দিত হয়ে ওঠেন। মোজাফফর আহমদ নজরুলের সাংবাদিকতা বিষয়ে অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “এ কথা মানতেই হবে যে নজরুলের জোরালো লেখার গুণে নবযুগ জনপ্রিয় হয়েছিল। শুধু জোরালো লেখা বললেই সব কিছু বলা হলো না । নজরুলের লেখা হেডিংগুলোও ছিল অতুলনীয়। রয়েল সাইজের কাগজ কতটুকুই বা সাইজ ? নজরুল দক্ষতার সহিত বড় বড় সংবাদগুলিকে খুব সংক্ষিপ্ত করে আকর্ষণীয় সংবাদে পরিণত করতো। আজ ভেবে আশ্চর্য হয়ে যাই যে, কি করে কিভাবে নজরুল আয়ত্ত করেছিল এই ক্ষমতা। “নবযুগে ইতোমধ্যে নজরুলের কয়েকটি কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় তার খ্যাতি সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়ে নজরুলের সাংবাদিকতার দক্ষতা সবার নজরে আসে। তখন বিশ্বকবি রবি ঠাকুর খ্যাতির মধ্যগগনে বিরাজমান । এরই মধ্যে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সাংবাদিকতা ও কাব্য প্রতিভা দিয়ে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হন। নবযুগ যখন সবার পত্রিকা হয়ে ওঠে তখন শেরে বাংলা ফজলুল হকের সাথে নজরুলের মনোমালিন্য হলে তিনি নবযুগ পত্রিকা থেকে ইস্তফা দেন। নবযুগে প্রকাশিত নজরুলের বিদ্রোহী প্রবন্ধগুলো নিয়ে ১৯২২ সালে যুগবাণী নাম দিয়ে প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশ করা হয় কিন্তু রাজদ্রোহের অভিযোগে যুগবাণী সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়। নবযুগ থেকে নজরুল ইস্তফা দেয়ার পর মোজাফফর আহমদও কিছুদিন পর নবযুগ ছেড়ে চলে যান । এরপর স্বভাবত জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নবযুগ পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায় । বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর নজরুলের সম্পাদনায় পুনরায় নবযুগ প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে । নজরুল কুমিল্লায় থাকাকালীন কলকাতার দৈনিক সেবক এর কাছ থেকে একটি পত্র পান এবং সেখানে লেখার জন্য তাঁকে অনুরোধ করা হয় । নজরুল পুরোদমে সেবকে লিখতে শুরু করেন । যদিও পত্রিকাটি ছিলো মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খার কাগজ । তখন মাওলানা আকরাম খা কারারুদ্ধ ছিলেন। নজরুলের সাংবাদিকতার আশ্চর্য প্রতিফলন ঘটে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত ধূমকেতু পত্রিকায়। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ১১আগস্ট শুক্রবার ধূমকেতু প্রকাশিত হয়। যা সপ্তাহে দুইবার প্রকাশিত হতো। পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিলো আট । প্রতি সংখ্যার নগদ মূল্য ছিলো এক আনা। বার্ষিক ৫ টাকা।
রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে নজরুল সম্পাদিত ধূমকেতু যেদিন প্রকাশিত হয় সেদিন সারা শহরময় আনন্দ উৎসব চলে এবং প্রথম প্রকাশের ২০০০ কপি ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। ধূমকেতুর বৈপ্লবিক লেখা ও সমাচারের জন্য অচিরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহণ করে। পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় ধূমকেতুর জনপ্রিয়তা নিয়ে অভাবনীয় একটি মূল্যায়ন করেন, বিক্রি সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলে। কাগজ বের হওয়ার আগেই হকারের কাছে পাঠকরা কাগজের জন্য অর্ডার দিয়ে দেন এবং হকার কাগজ বের হওয়ার আগেই অগ্রিম বুকিং দিয়ে যায়। ধূমকেতু নিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে ছাত্র হোস্টেলে বৈঠকখানায় আলোচনার পর আলোচনা চলে । গরম বৈঠক হয়। মানে এমনভাবে আলোচিত হয়ে উঠে ধূমকেতু বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা চলে ধূমকেতু কৃষক শ্রমিক সাধারণ জনগণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতি, সমাজনীতি ,অর্থনীতি সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ- নিবন্ধ, কবিতা প্রকাশ করে সবার পত্রিকা হয়ে ওঠে। তখনকার দিনে ধূমকেতুর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। শুধুমাত্র ধূমকেতু হয়ে উঠেছিলো নজরুলের অভাবনীয় দৃষ্টিভঙ্গি, বিপ্লবী লিখা, বিদ্রোহী গান, বিদ্রোহী প্রবন্ধ ও বিদ্রোহী সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে স্বরাজ লেবার পার্টি গঠিত হলে লেবার পার্টির মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক লাঙল পত্রিকা। লাঙলের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর তারিখে। এই সংখ্যায় নজরুলের অসামান্য কৃতিত্বের পরিচয় সাম্যবাদী কবিতাগুচ্ছ প্রকাশিত হয়। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার খবর প্রকাশিত হলে লাঙ্গলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। মূলত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক নজরুল সংবাদ পরিবেশন করায় হিন্দুরা লাঙ্গলকে বয়কট করে। লাঙ্গলের কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর তার নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ‘গণবাণী’। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই আগস্ট গণবাণীর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ১৯২৬ সালের দাঙ্গায় নজরুল খুবই ব্যথিত হন এবং তিনি এরই প্রেক্ষিতে কয়েকটি প্রবন্ধ লিখেন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ আগস্ট তাঁর জনপ্রিয় প্রবন্ধ ‘মন্দির ও মসজিদ’ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটি নজরুলের রৌদ্রমঙ্গল প্রবন্ধগ্রন্থে সংকলন করা হয়েছে। আসলে বলা যায় নজরুল সাংবাদিকতায় যেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন তা অবিস্মরণীয়। তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। মূলত তার সম্পাদিত কাগজগুলি ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার কাগজ। নবযুগ থেকে শুরু করে ধূমকেতু, লাঙ্গল , গণবাণী সব পত্রিকায় তিনি অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি কবি হিসেবে যে খ্যাতি অর্জন করেন সাংবাদিক হিসেবেও তিনি উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছেন। মূলত সাংবাদিককে হতে হয় বস্তুনিরপেক্ষ ও সত্য প্রকাশে অকুতোভয়।
নজরুল সাংবাদিকতায় অনন্য উচ্চতার শিখরে আরোহণ করার কারণ হলো তিনি সত্য প্রকাশে কখনো মাথা নোয়ায়নি। তিনি প্রচার করেছেন সম্প্রীতির বাণী অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। কলম ধরেছেন দেশের স্বাধীনতার পক্ষে , দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে। সুতরাং কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে আমরা বলতে পারি তিনি যেমন বাংলা সাহিত্যে বিশাল সাহিত্যসম্ভার রেখে গেছেন। তেমনি সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃত হয়ে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।