DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গণমাধ্যম

সাংবাদিকতার বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াই করা : কাদের গনি চৌধুরী

খুলনা ব্যুরো
WhatsApp Image 2025-03-04 at 22.13.08_cb1e49f4

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা। তাই সত্য নিয়ে কাজ করলে ঝুঁকি থাকে বেশি। এদিক বিবেচনায় সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকবেই। ভয়কে জয় করাই সাংবাদিকের কাজ। সজাগ ও সচেতন থাকলে সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা হারিয়ে যাবে না। সাংবাদিকতার ডিকশনারি থেকে সততা ও পেশাদারিত্ব শব্দ দুটি কখনই বিলীন হতে দেয়া যাবে না। অসৎ আর হলুদ সাংবাদিকতার মর্যাদাকে ম্লান করে দিচ্ছে।

আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব বলেন। এসময় বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, এইচ এম আলানুদ্দিন, রাশিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক রানা, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি আনিসুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক হিমালয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এনেতা বলেন,সাংবাদিকের অন্যতম কাজ বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যের আরাধনা। এজন্য সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মনে রাখবেন যে প্রতিবেদকের যোগাযোগ যত ভাল তার প্রতিবেদন তত উন্নততর এবং বস্তুনিষ্ঠ হয় এবং দর্শক,পাঠক ও শ্রোতার নিকট ততটা গুরুত্ববহন করে। অনুমান নির্ভর লিখা সাংবাদিকতা নয়। সাংবাদিক হতে হবে পুরো সত্য, আংশিক নয়।।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। অপর তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে- আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ। বোঝাই যাচ্ছে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও অবস্থান কোথায়। জনস্বার্থ অভিমুখী মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পূর্ণতা পায় না। সরকার ও প্রশাসনের অসঙ্গতি ধরিয়ে দেওয়াসহ জনগণের সংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসেবে গণমাধ্যমকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশে সেটি খুব একটা হচ্ছে না। বিশেষ করে পতিত সরকার এদেশের সাংবাদিকতার সর্বনাশ করে গেছে। একধরণের দলদাস সাংবাদিক তৈরি করে তাদের দিয়ে অসত্য লিখিয়ে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের যে আস্থা ছিল তা নষ্ট করে ফেলেছে। সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের পাহারাদার। গণমাধ্যমই সঠিক পথ বাতলে দেয় যাতে সরকার, প্রশাসন ও জনগণ সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। গণমাধ্যম সরকার, প্রশাসন ও জনগণের প্রতিপক্ষ নয়; তবে জনস্বার্থে নজরদারী করবে। কাজেই বলিষ্ট ও শক্তিশালী গণমাধ্যম ছাড়া জনস্বার্থের রাষ্ট্রব্যবস্থা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে না। রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেলেও চতুর্থ স্তম্ভ শক্ত থাকলে রাষ্ট্রকে গণমুখী রাখা যায়। আর চতুর্থ স্তম্ভ নড়বড়ে হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়।

সন্ধ্যায় তিনি খুলনা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। ইফতার মাহফিলে খুলনা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী,খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মেহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, বিএনপি নেত্রী রেহানা ঈসা, বিএনপি নেতা বদরুল আনাম খান ও ফকরুল আলম ও ইসলামী আন্দোলনের নাসির উদ্দিন।

এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ, খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাংগীর হোসেন, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্, পুলিশ সুপার টি.এম.মোশাররফ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় এনএসআই এর অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, জেলা এনএসআই এর উপ-পরিচালক এস এম আখতারুজ্জামান, এনএসআই খুলনা মেট্রো শাখার যুগ্ম-পরিচালক আতাউর রসুল সোভা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম ও প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌঃ মোঃ রোকনউজ্জামান, কেডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ সাবিরুল আলম, বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোঃ আবু সাইদ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক

ডাঃ মোঃ মহসীন আলী ফারাজি, এনডিএফ খুলনা মহানগরের সভাপতি ডাঃ আসাদুল্লাহিল গালিব, এনডিএফ খুলনা মেডিকেল কলেজের সভাপতি ডাঃ ফররুখ আহম্মদ, ড্যাব খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি ডাঃ মোস্তফা কামাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট আবু সাইদ মুহাম্মাদ মামুন শাহিন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিকুল ইসলাম জহির, নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ কামরুল আলম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মো. আব্দুল বাকী, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, প্রগতি জুট ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত¡াধিকারী শেখ আব্দুল মান্নান, কাইফেং চাইনিজ রেস্টুরেন্টের স্বত্ত¡াধিকারী এস এম আকতার উদ্দিন পান্নু, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, টোয়াস’র সভাপতি মইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গাজী তফসির আহমেদ, আইনজীবী মোঃ জাকিরুল ইসলাম, জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যনিকেতনের সভাপতি মোঃ তৌফিক রহমান, এস এস মটরস এর স্বত্ত¡াধিকারী এজাজ আহমেদ সুমন, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বেগম ফেরদৌসী আলী, আহমদ আলী খান, শেখ আবু হাসান ও এস এম হাবিব, সাবেক সধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী সহ ক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক ও সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ইফতার মাহফিলে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়সমূহ