গণমাধ্যম
রিউমর স্ক্যানার
আছিয়ার ভাইরাল ভিডিওটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন
শিরোনামহীন’ লোগোর সূত্র ধরে ‘Shironamhin – শিরোনামহীন’ নামক ফেসবুক পেজে গত ১০ মার্চ ‘বোন থাকা...মায়ের থেকে কম কিসের’ শীর্ষক ক্যাপশনে আপলোডকৃত ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এখানে ভিডিওটি কার, তা উল্লেখ করা হয়নি।

সম্প্রতি, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার হাসপাতালের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে এ ঘটনাকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর নয় বরং, ইন্টারনেট থেকে ভিন্ন শিশুর একটি ভিডিও সংগ্রহ করে মাগুরার শিশুটির হাসপাতালের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিডিওতে থাকা ‘ শিরোনামহীন’ লোগোর সূত্র ধরে ‘Shironamhin – শিরোনামহীন’ নামক ফেসবুক পেজে গত ১০ মার্চ ‘বোন থাকা...মায়ের থেকে কম কিসের’ শীর্ষক ক্যাপশনে আপলোডকৃত ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এখানে ভিডিওটি কার, তা উল্লেখ করা হয়নি।
পরে ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতের কন্নড় ভাষার সংবাদ চ্যানেল টিভি৯ কান্নাডার (TV9 Kannada) ওয়েবসাইটে শর্টস ভিডিও আকারে ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটির বর্ণনায় বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু দৃশ্য আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়, চোখে জল এনে দেয়। তেমনই একটি ভিডিও এখন ভাইরাল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা এক কিশোরী, এক সপ্তাহ পর তার প্রিয় ভাইকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ল। দৃশ্যটি দেখে নেটিজেনরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। ১২ বছর বয়সী মেয়েটি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত।
তা ছাড়া ভিডিওটি ‘ganpatbhati888’ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসেও প্রচার করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ভিডিওর সাথে মাগুরার শিশুটির কোনো সম্পর্ক নেই।
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটিকে গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর গত ৮ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)- এ ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। শিশুটি আজ ১৩ মার্চ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে ভিডিও সংগ্রহ করে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর হাসপাতালের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।